ন্যাশনাল জেমস হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।বর্তমান সময়ে দুই বাংলায় জনপ্রিয় শিশু অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে অঙ্কিত সব থেকে জনপ্রিয়।
কিছু মানুষ খুব অল্প বয়সেই খ্যাতিমান হয়ে ওঠে,ভীষন জনপ্রিয়তা পায়।হতে পারে সেটা তার যে কোন প্রতিভা দিয়ে।কেউ ক্রিকেটার হয়ে কেউ আর্টিষ্ট হয়ে,কেউ সঙ্গীত শিল্পী হয়ে আবার কেউ অভিনেতা হয়ে। আমরা আজ এমন একজনের কথাই বলতে এসেছি যে তার অভিনয় দিয়ে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ওর নাম অঙ্কিত মজুমদার।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর জীবনী ভিত্তিক সিরিয়ালে নেতাজির কিশোর বয়সের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর আগেও অঙ্কিত কিছু কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছিল তবে সব ছোট ছোট চরিত্র।একদিন টিভিতে নেতাজি আসছে এই বিজ্ঞাপনটা দেখে সে।সেখানে মোবাইল নাম্বার দেওয়া ছিলো। অঙ্কিতের মা সেটা টুকে নেয় এবং তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে।আড্ডার ফাকে অঙ্কিত সেই গল্পটাও শোনালো।কিছুদিন পরেই অডিশনের জন্য অঙ্কিতের বাবাকে ফোন করা হয় প্রযোজনা সংস্থার তরফে। অনেক ছোট ছোট ছেলের সঙ্গে অডিশন দেয় সে। অডিশন দিয়ে আসার পর এক মাস যায় কোন খোজ পায় না,দুই মাস যায় কোন খোজ পায় না তার পর একদিন ফোন আসে। সেই সব অগণিত প্রতিভাধরদের মধ্য থেকেই অঙ্কিত মজুমদারকে ক্ষুদে সুভাষের চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য নেতাজির সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় পড়াশোনাও করতে হয়েছে অঙ্কিতকে। নেতাজিকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক জবাবও দিয়েছেসে।
ক্যামেরার বাইরে অঙ্কিত ভীষণ চঞ্চল আর দুষ্টুমীতে ভরপুর। সে দারুন উপস্থাপনাও করতে পারে।উপস্থিত বুদ্ধিতে সে সবার সেরা। ক্যামেরার ব্রুম কেড়ে নিয়ে সে নিজেই তার বাবা মা সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পটু।অঙ্কিত ভালোবাসে ছবি আকতে।গেমস খুব একটা খেলেনা বললেই চলে।মাইথলজিক্যাল ক্যারেক্টারে অভিনয় করতে সে ভীষন আগ্রহী।বড় হয়ে কি হতে চাও জানতে চাইলে অঙ্কিত জানায় সে অভিনেতাই হতে চায় পাশাপাশি আর্টিস্ট। ছবি আকা ওর এক প্রকার নেশার মত। অঙ্কিত ভালো মিমিক্রি করতে পারে। টিভি সাক্ষাৎকারে সে তার শ্যুটিং সেটের অনেকের মিমিক্রি করে দেখিয়েছে পাশাপাশি বুম্বাদা মানে প্রসেঞ্জিতেরও মিমিক্রি করেছে। যখন ওকে বলা হলো এই যাহ যদি বুম্বাদা এটা দেখে তাহলে কি হবে? সে হাসি হাসি মুখে বললো দেখলে দেখুক। সুভাষ চন্দ্র বোস কাউকে ডরায় না। অঙ্কিত যখন শ্যুটিং এ যায় তখন বাবা নয়তো মা কেউ না কেউ সাথেই থাকে।পড়াশোনা কম করলেও মেধাবী সে। ওর টেবিলে অনেক অনেক বই দেখিয়ে ও বললো এসব দেখে আবার ভেবো না যে অঙ্কিত খুব পড়ে। আসলে আমি কম পড়ি।যখনই যে বই পছন্দ হয় কিনে আনি কিন্তু পরে আর তেমন পড়া হয় না।
যখন অঙ্কিতকে বলা চলো চলো তোমার ঘর দেখি তখন অঙ্কিত মুখের এক্সপ্রেশান চেঞ্জ করে বললো আমার নিজেরতো কোন ঘর নেই! আমি থাকি দিদার ঘরে।ওই ঘরটাকে আমি অনেকটা ইংরেজদের মত দখল করেছি। ঘরটা দিদার কিন্তু আমি দখলদার। অঙ্কিতের বাবা মা দিদা এই তিনজন নিয়ে ছোট্ট পরিবার। ওর সাবলিল অভিনয়ে দর্শক এতোটাই মুগ্ধ যে অঙ্কিত নিজেও অবাক। সুযোগ পেলে সে অভিনয়ে নিয়মিত হবে। আমাদের মনে হয়েছে অঙ্কিত সত্যিই এক অসাধারণ অভিনেতা। ওর দুষ্টুমী,সারল্য সবই দারুন। শ্যুটিং সেটে সবাই ওকে খুবই আদর করে এবং পছন্দ করে। যে কোন চরিত্রে সে খুব সহজেই ঢুকে যাওয়ার প্রবনতা রাখে।