বাড়তি বয়সে শিশুদের মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু কিছু অভ্যাস অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দেয়, তা হলো সন্তানের মিথ্যা কথার বলার প্রবণতা। বড়দের বকা খাওয়ার ভয়ে তারা অনেক কিছু লুকিয়ে যায়। অনেক সময় মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে বা ওই বয়সে অতটা গুরুত্ব দেয় না। এই করলে কিন্তু পরে এই স্বাভাব বড় আকার ধারণ করতে পারে। কথায় কথায় মিথ্যা বলা শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে। তাই ছোট থেকেই এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বড়দেও অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। কিন্তু যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো। শিশুরা যেহেতু মিথ্যা বলার ক্ষতির দিকটা জানে না, তাই তাদের আগে থেকে সচেতন করে ফেলা ভালো।
যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন:
-শিশুদের গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, ঈশপের গল্প, নীতিকথা শেখাতে পারেন। কেউ মিথ্যা পছন্দ করে না সে ধারণা ছোট থেকেই তাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।
– শিশুদের সামনে মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলুন। কারণ অভিভাবকদের থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখে ছোটরা।
– মিথ্যা বলা কতটা খারাপ এবং মিথ্যা বলাকে কতটা ঘৃণা করে সবাই সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা শিশুকে দিন। শিশু মিথ্যা কথা বললে বকাবকি করবেন না। তার সঙ্গে কিছু সময় কথা বলা বন্ধ করে দিন। দেখুন সমস্যা কমে কি না।
– কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে সেদিকে লক্ষ রাখুন। বন্ধুরা কেমন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কারণ তাদের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে, সেটা যেনো আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে।
– কোনটা মিথ্যা আর কোনটা কল্পনা, বাবা-মাকে আগে বুঝতে হবে। কিছু কল্পনা কিন্তু শিশুর বয়সের ওপর নির্ভর করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সেটা চলে যায়। তাই কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। শাসনের বাড়াবাড়ি না করে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চিন্তা করুন।
– এই সমস্যার কোনো সমাধান না পেলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।