পুরো নাম নির্ঝর বিশাল,পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে,বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই নাচের খুব সখ। বাবা প্রায়ই বলে বিশালের বয়স যখন দুই বছর তখন একুশে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠানে ও ষ্টেজে উঠার জন্য খুব কান্নাকাটি করে পরে বাবা স্টেজে তুলে দেয় আর ছোট্ট বিশাল নাচতে শুরু করে।সবাই ওর নাচ খুব উপভোগ করে, যদি ও তখন ও নাচের কিছুই বুঝতো না।পরে বাবা মা ওকে নাচে ভর্তি করে দেয়। বিশালের প্রথম নাচের শিক্ষক শফিক স্যার।শফিক স্যারের কাছেই নাচ শেখা শুরু করে।এর পর স্কুলে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করে। স্কুলে নাচ করার সময় অনেক আনন্দ পায় পুরু অডিটোরিয়াম থেকে দারুন সাড়া পায় কারন বিশালই এক মাত্র ছেলে,যে ওদের স্কুলে নাচ করে।
চলো এবার বিশালের মুখ থেকেই শুনি ওর কথাঃ
আমার বয়স যখন তিন বছর তখন দূর্গাপুজাতে কলাবাগান মাঠে স্টেজে ব্যান্ড এর বিপ্লব আঙ্কেলর গানের লাইভ টিভি প্রচারিত হওয়ার সময় আমি স্টেজে উঠার জন্য বায়না ধরি। পরে বাবা তুলে দেয় কিন্তু একটা লোক আমাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেয় বাবা যে পাশে ছিল তার উল্টো পাশে,এত লোকের ভীড়ে আমি খুব ভয় পেয়ে কান্না শুরু করি। পরে বাবা আমাকে খুঁজে পায়। পরে অন্য আরেক জন আমার কান্না দেখে আবার স্টেজে তুলে দেয় এবং বিপ্লর আঙ্কলের সাথে নাচ করি। এ ভাবে অনেক ঘটনার কথা বাবা প্রায় বলে।
জন্ম ৮ ই অক্টোবর ২০০৮ ইং।বাবার নাম- বিক্রম পাল মায়ের নাম- নীলা পাল। প্রিন্স বাই সাইকেল এর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু তার পর কোকোলা ওয়েফার রোল,বাংলা লিংক, নসিলা,কোকোলা নসিলা স্টিক,কোকোলা টি টাইম বিস্কুট, কোকোলা চকোস্টিক,কোকোলা কাপ চকোলেট,কোকোলা চকো স্টিক,শিশু শ্রম নিরসনের উপর ডকুমেন্টারি, শর্ট ফিল্ম, ধারাবাহিক নাটক-জ্বীন মামা।কিছু ফটোশুট করেছি, বাংলা টিভি তে ছোটদের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করি।আমরা দুইভাই। আমি বড় আর আমার ছোট ভাই এর বয়স ২ বছর।শিশু একাডেমীতে নৃত্য ও নাট্যকলার ২য় বর্ষের ছাত্র। আমি বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে।
আমি কেজি তে পড়ার সময় পায়েলা বৈশাখে নাচ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু মিস আমাকে নাচ করতে দেয় নি।পরে স্কুল থেকে নাচে প্রথম হয়ে উপজেলা ও জে্লা পর্যায়ে অংশ গ্রহন করে তৃতীয় হই।। প্রিন্স বাই সাইকেল বিজ্ঞাপনে কাজ করার পূর্বে আমি তিন চাকার সাইকেল চালাতে পারতাম কিন্তু দুই চাকার সাইকেল চালাতে পারতাম না। কিন্তু আমাকে যে দূই চাকার সাইকেল চালাতে হবে, শুটিং এর আগের দিন বাবা বিকেল বেলা নিউ মার্কেট থেকে সাইকেল এনেদেয়। আমি গ্যারাজে সাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে অনেক ব্যথা পাই। এতোটাই ব্যথা পয়েছি দাড়াতে পারছিলাম না। তার পর ও হাল ছাড়িনি, শিখে রাত আট টায় গাড়ি আসলে পূবাইলের উদ্দেশে রওনা হই।