৪ জানুয়ারি বাড়ির পাশে থেকে নিখোঁজ হয় জয়নাব। ৯ জানুয়ারি একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় তার লাশ। এ ঘটনার পর ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ দাবিতে ১০ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ। অপরাধীর খোঁজ দিলে এক কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
তদন্তকারীরা জয়নাবের লাশের পাশে একটি খালি বাক্স পায়। ফরেনসিক পরীক্ষার সূত্র ধরে গতকাল একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যক্তি ধর্ষণের ছয় মামলায় জড়িত। অপরজন তার ভাই। সে-ও ওই সব মামলার কয়েকটির আসামি।
সূত্র জানায়, এই দুই ভাই কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা। তারা কোথায় আছে, তা নিশ্চিত হতে কাসুরে তিন দিন ধরে কাজ করেছে লোকেটর ভ্যান। সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ জয়নাবের ধর্ষনকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে সোচ্চার ছিল।নিষ্পাপ শিশুটিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তেমনি প্রতিনিয়ত শিশু কিশোর কিশোরী নির্যাাতনের শিকার হচ্ছে।সুতরাং এ অবস্থা বেশিদিন চলতে দেওয়া যেতে পারে না।
জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ১০ জানুয়ারি যৌথ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তারা ৩০০টি মোবাইল ফোনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেখান থেকে ছয়জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে পাওয়া গেছে, যাদের সম্পর্কে আরও তদন্ত করা হবে। তারা জানায়, পুলিশ প্রায় ১ হাজার ৩০০ লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের অনেককে ডিএনএ পরীক্ষার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক আরিফ নওয়াজ সাংবাদিকদের বলেছেন, সঠিক পথেই তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় জয়নাবের বাড়ির পাশে ঘোরাঘুরি করছে—এমন এক সন্দেহভাজনের নতুন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, পুলিশের যৌথ তদন্ত দল এ নিয়ে কোনো ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেনি। আমরা চাই এই নির্যাতনকারীদের এই হত্যাকারীদের এমন শাস্তিপ্রদান করা হোক যেন শাস্তির ভয়াবহতা দেখে আর কোন দিন কেউ এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।
আমরা চাই এই পৃথিবীকে শিশু কিশোর কিশোরীদের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তুলতে।ওরা হাসবে খেলবে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করবে। এ জন্য চাই সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ।পৃথিবীর প্রতিটি বিবেকবান মানুষের উচিত যে কোন অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করা। এভাবে জনমত গড়ে তুলে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে তবেই অপরাধীরা ভয় পাবে এবং অপরাধ কমতে থাকবে।