ঈদের মতই বাংলা নববর্ষেও সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের জন্য নতুন জামা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়।আমাদের সোনার বাংলাদেশে সব থেকে মন খারাপ করা বিষয় হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরী।ওদের অধিকাংশের থাকার কোন ঘর নেই মাথাগোজার কোন ঠাই নেই,দু বেলা নিশ্চিন্তে খাবার মত কোন খাদ্য নেই,জামা জুতো নেই,স্কুল নেই,অভিভাবক নেই।ওরা খুবই দুঃখী।আমরা দেখতে পাই কিছু বিবেকবান মানুষ ঈদের সময় নিজেরা বন্ধুরা মিলে সমাজের অন্যদের কাছ থেকে কিছু চাঁদা তুলে বঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নতুন কিংবা অর্ধ নতুন পোষাক কিনে দিয়ে থাকে যা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
আমাদের দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের কোন একক তালিকা আছে কিনা আমাদের জানা নেই।আমরা ছোটদেরবন্ধু পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের একটি তালিকা করবো।
![](https://chotoderbondhu.com/wp-content/uploads/2018/04/divon-300x182.jpg)
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীদের সব থেকে বড় উৎসব বলে স্বীকৃত হওয়ায় সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের প্রসঙ্গটা টেনে আনছি। ঈদের মতই বাংলা নববর্ষেও ওই সব শিশু কিশোর কিশোরীদের জন্য নতুন জামা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়।যেটিকে আমরা সামগ্রিক উৎসব বলছি সেটিতেই যদি আমাদের এই সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীরা আনন্দ বঞ্চিত থাকে তাহলে বিষয়টি কষ্টের বলেই মনে করি।তবে আশার কথা হলো এবারও বাংলা নববর্ষে আমরা যখন নতুন জামা কাপড় পরে বৈশাখী মেলায় ঘুরছি অন্যদের কথা ভাবছিনা বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের কথা ভাবছিনা ঠিক তখন একজন ভাবছে।জান্নাতুল ফেরদৌস আকি।ছোটদেরবন্ধু বলে আজ আমরা তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।আজ থেকে তিনিও ছোটদের বন্ধু।
বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে জান্নাতুল ফেরদৌস আকি এবারও মেয়ে শিশুদেরকে পোশাক উপহার দিয়েছে।যদিও এ ক্ষেত্রে ছেলে শিশু মেয়ে শিশু উভয়কেই প্রাধান্য দিতে পারলে ভালো হতো তবে আশা কথা হচ্ছে হতে পারে তাকে দেখে কোন ছেলে এগিয়ে আসবে আগামীতে ছেলে শিশুদেরকে উপহার দিতে।
ডিভন ফ্যাশন হাউসের প্রধান ডিজাইনার জান্নাতুল ফেরদৌস আকি শুক্রবার তেজগাঁওয়ের সরকারি শিশু পরিবারে এসব পোশাক বিতরণ করেছে।
ডিভন ফ্যাশন হাউসের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও প্রধান ডিজাইনার জান্নাতুল ফেরদৌস আকি শিশুদের হাতে এসব পোশাক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তা ঝর্ণা জাহিন।
জান্নাতুল ফেরদৌস আকি জানান, নতুন বছরের যে আনন্দ তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ডিভন ফ্যাশন হাউসের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, এই ফ্যাশন হাউসের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ সুবিধা বঞ্চিত নারী ও শিশুদেরকে দেওয়া হয়।
আমাদের সমাজে এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন যারা একটুখানি চেষ্টা করলেই সুবিধা বঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের জন্য কিছু করতে পারে।জান্নাতুল ফেরদৌস আকিকে ছোটদের বন্ধুর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যহত থাকবে। পাশাপাশি সমাজের অন্যান্যদেরকেও অনুরোধ করবো তারাও যেন এভাবে এগিয়ে আসে।আমরা সেদিনই পৃথিবীর সব থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠবো যেদিন আমরা বিশ্বাস করবো মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য,একটু সহানুভূতি মানুষকি পেতে পারে না ও বন্ধু? এবং তার পর সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেব।
পৃথিবীর প্রতিটি শিশু কিশোর কিশোরীর জন্য সুন্দর একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি আমরা ছোটদেরবন্ধু।
Comments are closed.