লেখাঃ জাজাফী
বিশ্বের সবথেকে বেশি আইকিউ যাদের তারাই কেবল মেনসার সদস্য হতে পারে।যেমন আইনস্টাইন,স্টিফেন হকিং,বিলগেটস!সেই তালিকায় তুমিও নাম লেখাতে পারো যদি তোমার সেরকম আইকিউ থাকে!আজ আমরা যার কথা বলবো তার বয়স এখন পাঁচ আর সে মাত্র তিন বছর বয়সেই মেনসা’র সদস্যপদ পেয়েছে! বর্তমানে তার আইকিউ ১৬০ মানে হলো ঠিক আইনস্টাইন এবং স্টিফেন হকিং এর আইকিউএর সমান!!শেরউইন মাত্র তিন বছর বয়সে মেনসা’র সদস্য হয়েছে।আমরাতো পাঁচ বছর বয়সে আমরাতো পড়তেই শিখিনা,স্কুলেও যাই না।আর এই বয়সেই সে মেনসা’র সদস্য!
এই বিস্ময়কর বালকের নাম শেরউইন।বাড়ি ব্রিটেরে দক্ষিন ইয়র্কশায়ারে।ওর বাড়ির কথা শুনে মনে হতেই পারে তাহলে বোধহয় মেনসার সদস্য যারা হয় তাদের সবার বাড়িই ব্রিটেনে হতে হয়।আসলে কিন্তু তা নয়। যে কোন দেশে জন্ম নিয়ে মেনসার সদস্য হওয়ার লড়াইয়ে নামা যায়।এ জন্য নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয় এবং পরীক্ষা দিতে হয়।শেরউইনের কথা যখন বলছি তখন অন্য একটি তথ্য দিয়ে রাখি। এখন ওর বয়স পাঁচ বছর হলেও ও মেনসাতে যোগ দিয়েছিল যখন ওর বয়স ছিলো মাত্র তিন বছর।ও যে বড় হতে হতে অনেক চমক দেখাবে তা বুঝা গিয়েছিল বয়স দশ মাস হতে না হতেই কথা বলা শুরু করায় এবং বিশ মাস বয়সে সে পুর্নাঙ্গ বাক্য তৈরি করা শিখে যায়।তার মানসিক বয়স এখন ৯ এর বেশি। এই বয়সে কেউ বলতে গেলে স্কুলেই যায় না কিন্তু শেরউইন এখন র্যাস্ট্রিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলে ৯ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের স্তরে পড়াশোনা করছে।
কিভাবে এমন শুরু হলো এটা প্রশ্ন করতেই ওর মা আমান্ডা বললেন শেরউইন ছোটবেলা থেকেই সারাদিন প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বেড়াতো।আমরা চেষ্টা করতাম ওর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে।আমাদের মনে হয় প্রশ্ন করার অভ্যাসই ওকে বুদ্ধিমান করেছে।
শেরউইনের মায়ের কথার সাথে ছোটদেরবন্ধু একমত পোষণ করে।সত্যিকার অর্থেই শিশু কিশোর কিশোরীদের প্রশ্ন করতে দিলে এবং তারা যদি তাদের সেই সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পায় তাহলে তাদের মধ্যে জানার আগ্রহ বাড়তে থাকে। এতে করে তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। শেরউইনের বয়স যখন তিন ছুই ছুই তখনই সে ২০০ পযর্ন্ত গুনতে পারতো আর বিশ্বের প্রায় সব দেশের নাম বলতে পারতো।তার মানে সে কিন্তু বাংলাদেশের নামও জানতো!সেই সাথে সে আইপ্যাড ব্যবহার করতে পারতো।পাচ বছর না হলে স্কুলে ভর্তি হওয়ার নিয়ম না থাকলেও ওর বুদ্ধিমত্তা দেখে ওকে ভর্তি করে নেওয়া হয় এবং সে তিন থেকে চারে আসার আগেই ক্লাসে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে।
আমরা যখন আমাদের দেশের রাজধানীর নামই জানিনা,মুক্তিযুদ্ধ কবে হয়েছিল জানিনা,সুর্যের কয়টি গ্রহ আছে জানিনা তখন এই ছোট্ট শেরউইন জানে কিভাবে ভলক্যানো বা আগ্নেয়গিরি কাজ করে কিভাবে উল্কা পতিত হয় কিভাবে দেহাঙ্গুনগুলো কাজ করে।
একদিন রাত তিনটার দিকে সে তার মা আমান্ডাকে ডেকে তুলে বললো মাম তুমি শোনো কিভাবে নিউটন মধ্যাকর্ষণ আবিস্কার করেছিল!!
সুতরাং আমাদের উচিৎ ছোটদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া এবং প্রশ্ন করতে উৎসাহীত করা।শুধু তাই নয় তাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো।কদিন আগেই মেনসার সদস্য হয়েছে আমাদের বাংলাদেশী ইশাল মাহমুদ ।আমরা সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি।
১ জুন ২০১৯
আরও পড়ুনঃ
Comments are closed.