প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানদের ভালোবাসেন এবং কতটুকু ভালোবাসেন তা পরিমাপ করার মত কোন যন্ত্র পৃথিবীতে তৈরি হয়নি।বাবা মায়ের ভালোবাসা কখনো পরিমাপ করা যায়না।তবে অনেক সময় আমরা দেখি সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তায় বাবা মা দিন রাত পরিশ্রম করছেন,মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন।কিন্তু সন্তান হিসেবে বাবা মায়ের কাছে আমরা প্রথমে যেটা চেয়েছি সেটাই তারা কম দিয়েছেন আর সেটা হলো সময়।
আমাদের সুখের জন্য পরিশ্রম করতে গিয়ে আমাদেরকে বাবা মায়েরা হয়তো ঠিকমত সময়ই দিতে পারেন না।এবং দেখতে দেখতে আমরা যখনবড় হয়ে যাই তখন একদিন দুরত্ব তৈরি হয় সেই দুরত্ব আর কোন দিন ঘোচেনা।তার পর একসময় বাবা মার অখন্ড অবসর আসে,অনেক সময় আসে সন্তানদের দেওয়ার জন্য কিন্তু সন্তানেরা তখন খুবইব্যস্ত তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে করতে একই ভাবে দিনাতিপাত করে।
আজ আমরা অন্য এক বাবার কথা বলতে চাই অন্য এক সন্তানের কথা বলতে চাই। যে বাবা আর সব বাবার চেয়ে অনন্য যে সন্তান আর সব সন্তানের চেয়ে আলাদা।বলছিলাম ফাতিহা আয়াতের কথা এবং তার প্রিয় বাবা ব্যারিষ্টার আফতাব আহমেদের কথা।ফাতিহা আমাদের ছোট্ট বন্ধুটি যে স্কুলে টিচারের কাছে পড়া শিখে এসে সেগুলি নিজের মত করে বাসায় প্র্যাকটিস করে এবং একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে দিয়ে দেয় যেন সারা পৃথিবীর ক্ষুদে বন্ধুরা সেটা দেখে শিখতে পারে।ওর এইকাজের প্রধান সহকারী ওর প্রিয় বাবা ব্যারিষ্টার আফতাব আহমেদ।মেয়েকে তিনি যতটা সময় দেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
পৃথিবীতে আর খুব কম বাবা মা আছেন যারা তাদের সন্তানদের এতোটা সময় দিতে পারেন।ছোট্ট ফাতিহা তাই বাবা মায়ের আদরে এবং সহযোগিতায় তার ছোট্ট বয়সেই অনেক গুলো সাফল্য পেয়ে গেছে।আমরা বিশ্বাস করি ছোটরা সুযোগ পেলে তাদের উদ্ভাবনী শক্তি তারা দেখাতে পারে তারা তাদের মেধাকে আরো ঝালিয়ে নিতে পারে। কদিন আগেই আমেরিকার জাতীয় গণিত উৎসবে ফাতিহা তিনটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়ে অনারেবল মেনশান পেয়েছে যা গোটা বাঙ্গালী জাতির জন্য সম্মানের।
সম্প্রতি ফাতিহাকে নিয়ে তার বাবা গিয়েছিলেন অ্যাস্ট্রোনটের সাথে দেখা করতে।অ্যাস্ট্রনট ডন থমাস এর সাথে মিশন কন্ট্রোল রুম ঘুরে এসে ফাতিহা ঘরের এক কোণে বানিয়েছে নিজের ব্যক্তিগত Space Research Corner, নাম দিয়েছে الْبَيْتِ الْ آيَةُ (বায়তুল আয়াত) বা ‘আয়াতের ঘর’।যে বয়সে আমাদের অন্যান্য বাচ্চারা কার্টুন দেখতে ব্যস্ত সেই বয়সে বা তার চেয়েও ছোট বয়সে আমাদের ফাতিহা অ্যাস্ট্রোনটের সাথে দেখা করে অনেক কিছু জেনেছে।তারপর বাসায় ফিরে এসে নিজের ঘরকেই একটা গবেষণাগার বানিয়ে নিয়েছে।ফাতিহার সংগ্রহ তাই আমাদেরকে বিস্মিত করেছ।
আমরা জানি শিশুদের ব্রেন খুব শার্প থাকে এবং এ সময়ে ওদেরকে যা শেখানো হয় তা ওরা মনে রাখতে পারে।আমরা আমাদের শিশু কিশোর কিশোরীদের যত বেশি উৎসাহ দেবো ওরা ততো বেশি ভালো করতে পারবে। আমার সব সময় চাই পরিবার থেকে সবার আগে বাবা মা তাদের সন্তানদের বেশি বেশি সময় দিক।সন্তানের জন্যইতো আমাদের এতো চিন্তা,এতো আয় উপার্জন তাহলে সেই সন্তানকে সবার আগে সময় দেওয়া উচিত। বাবা মায়ের সাথে সন্তানদের দুরত্ব কমে যাক এবং আমাদের ছোট্ট ফাতিহার মত সব শিশু কিশোর ক্রমাগত এগিয়ে যাক সাফল্যের পথে সেই প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ জানাই ব্যারিষ্টার আফতাব আহমেদকে এ জন্য যে তিনি তার কন্যাটিকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন এবং ফাতিহাকে ধন্যবাদ জানাই বাবার সাথে সাথে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করার জন্য।
Comments are closed.