স্বপ্ন পুরণ করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার আর কারো স্বপ্ন পুরণে সহযোগিতা করা মহৎ কাজ। কিন্তু আমরা কজন সেটা করি।আমরা দেখেছি বিশ্ব বিখ্যাত অনেকেই অন্যের স্বপ্ন পুরণে এগিয়ে আসে। সেই তালিকায় লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও আছে।বিশেষ করে আমরা চাই ছোটদের প্রতিটি স্বপ্ন পুরণ হোক।আজ আমরা তেমনই এক স্বপ্ন দেখা মানুষের কথা বলতে চাই যে আমাদের ছেড়ে যেতে পারে যে কোন সময় যে কোন দিন।যে মানুষটি আমাদেরকে ছেড়ে যেতে পারে যে কোন সময় তার নাম ইশান। মাত্র ছয় বছর বয়স ওর এবং বুকের মধ্যে আছে একটি দারুণ স্বপ্ন,পুলিশ কমিশনার হওয়া।কিন্তু ওর সেই স্বপ্নটা পুরণ হতে হলে ওকে যে বেচে থাকতে হবে আরো অনেক বছর। কিন্তু ওর হাতে কি সেই সময়টুকু আছে?সৃস্টিকর্তাই হয়তো ওর জন্য সময় বেধে দিয়েছেন স্বপ্ন পুরণ হওয়ার বয়স হওয়ার আগেই ওকে চলে যেতে হবে।ওর যে ব্লাড ক্যান্সার।
ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত বালক দুদেকালা ইশান। মাত্র ছয় বছর বয়সেই তাকে গুণতে হচ্ছে মৃত্যুর দিন। মৃত্যুর আগে তার ইচ্ছে ছিল পুলিশ কমিশনার হওয়ার। এখানে ছিল বলা এজন্যই, অবশেষে তার ইচ্ছেটি আর অপূর্ণ রয়ে নেই। একদিনের জন্য সে হয়েছে ভারতের তেলেঙ্গানার রাচাকান্দার পুলিশ কমিশনার।
বুধবার (০৪ এপ্রিল) তেলেঙ্গানার পুলিশ কর্মকর্তারা ইশানের পাশে এসে দাঁড়ান এবং তার ইচ্ছে পূরণে সহায়তা করেন। রাচাকান্দার পুলিশ কমিশনার মহেশ মুরালিধর ভাগওয়াট একদিনের জন্য নিজ আসন ছেড়ে দেন রোগাক্রান্ত ইশানের জন্য।
২য় শ্রেণির ছাত্র ইশানের একদিনের জন্য পুলিশ কমিশনার হওয়ার স্মার্ট লুকের ছবি ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ছবিতে দেখা যায়, ভারতীয় পুলিশের খাকি পোশাকে বেশ পরিপাটি হয়ে কমিশনারের ডেস্কে বসে আছে ইশান। পাশে সহকর্মী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশ কমিশনার মুরালিধর ভাগওয়াট।
আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, দাঁড়িয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মান প্রদর্শন করছে স্মার্ট পুলিশ অফিসার ইশান।
ইশানকে নিয়ে টুইটারে রাচাকান্দা পুলিশ জানায়, মেডাক জেলার কাঞ্চনপল্লীর ছয় বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত বালক দুদেকালা ইশান। তার ইচ্ছা পূরণ করতে আইপিএস অফিসারদের সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন পুলিশ কমিশনার মহেশ মুরালিধর। একদিনের জন্য তিনি নিজ আসন ছেড়ে দিয়ে ওই শিশুটিকে পুলিশ কমিশনার বানিয়েছেন।
ইশানের একদিনের জন্য পুলিশ কমিশনার হওয়ার দিন তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও।
ইশানের ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অনেকে। এতে শিশুটিকে অভিবাদন জানিয়ে কেউ কেউ লিখেছেন, ‘হিরোকে শুভেচ্ছা’, ‘লড়াই চালিয়ে যাও’।
তেলেঙ্গানা রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করে আরেকটি টুইটে বলা হয়, এটি জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশের সংযোগের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
আমরা ছোটদেরবন্ধু পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং শ্রদ্ধা জানাই। আমরা চাই সবার সব ভালো স্বপ্নগুলো বেচে থাকুক যেমন ইশানের স্বপ্নটুকু বেচে আছে। আর আমরা চাই সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিপাক যারা অন্যের স্বপ্ন বাচিয়ে রাখতে চায়।