আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের ভালোবাসি এবং সব সময় চাই তারা ভালো থাকুক।বিশেষ করে ছোটদের ব্যাপারে আমাদের থাকতে হয় আরো বেশি সচেতন। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কিংবা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে অনেক মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।আপনার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে ভুলবেন না।আমাদের ছোট্ট শিশুরা বেড়ে উঠুক পরিপুর্ন যত্নে আমরা সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৩ লাখ ৮২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল সোমবার ডিএসসিসি মিলনায়তনে জাতীয় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন সভায় এ কথা জানানো হয়। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ২৮৬ জন সুপারভাইজরের তত্ত্বাবধানে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. এ বি এম মুজহারুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. বিভাষ চন্দ্র মানী। উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে (২য় রাউন্ড) ডিএসসিসি এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৩১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সরকারের সরবরাহ করা এসব ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়, যা শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ভিটামিন খাওয়ানো কিংবা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভাবেই কোন অবহেলা করা চলবে না। শিশুদের সুস্থ্য জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হরে অবশ্যই সময়মত টিকা দিতে হবে। এখন শীত কাল তাই শিশুদের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হওয়া উচিত।
আপনার বাচ্চাকে টিকা নেওয়া এবং টিকা খাওয়াতে ভুলবেন না।আপনার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে ভুলবেন না।
Comments are closed.