হেনরীর মা একটি রেস্তোরায় কাজ করে।হেনরি তার ছোটভাইকে দেখে রাখে একসাথে স্কুলে নিয়ে যায়।হেনরির বয়স ১২ বছর।কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তার মা তার সাথে পরামর্শ করা ছাড়া কোন কিছুই করেনা।সবাই অবাক হয়ে ভাবে কী আশ্চর্য তুমি পরামর্শ নিতে চাইছো তোমার ১২ বছর বয়সী ছেলের কাছে! কিন্তু হেনরির মা জানে হেনরি ছোট হলেও অত্যন্ত মেধাবী এবং বড়দের চেয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বুদ্ধিদীপ্ত।
হেনরির বাবা নেই।সিনেমায় দেখা যাবে হেনরি খুব ছবি আকা আর বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে ভালোবাসে।সে ফার্ম হাউসে বসে তার ভাইকে নিয়ে কত কিছু বানায় আর নিয়মিত ডায়েরি লেখে।মূলত এই ডায়েরিটাকে ঘিরেই এই সিনেমাটি।
হেনরি প্রতিনিয়ত সেখানে অনেক কিছু লেখে।দর্শকের মন খারাপ হয়ে যাবে যখন দেখবে ছোট্ট হেনরির মাথায় টিউমার হওয়ায় সে মারা যায়।তবে মারা যাবার আগে সে তার ছোট ভাইকে বলে পৃথিবীতে তোমার চেয়ে বেশি আর কাউকে আমি বিশ্বাস করিনা তাই তুমি অবশ্যই আমার লেখা ডায়েরিটা মাকে পড়তে দেবে।
কী লেখা ছিল ডায়েরিতে?অনেক কিছু।হেনরির পাশের বাসায় ওর ক্লাসে পড়ুয়া একটি মেয়ে ছিল যে তার সৎবাবার সাথে থাকতো এবং সৎবাবা তাকে যৌন হয়রানি করতো।হেনরি তাকে খুব ভালোবাসতো এবং একদিন হেনরির মা হেনরিকে বললো ওতো আমার ছেলের বউ হয়ে আসবে ভবিষ্যতে।মেয়েটির বাবা যে তাকে অত্যাচার করতো সেটা সে কাউকে বলতো না তবে হেনরি বুঝতো এবং এ থেকে পরিত্রানের উপায় খুজতো।
তবে সে ছিল পুলিশের লোক তাই হেনরি ৯১১ এ ফোন করে অভিযোগ করার পরও তেমন কিছু হলো না কারণ পুলিশ আসলে লোকটি তাকে আগেই বুঝিয়েছে পুলিশের সামনে কোন কিছু না বলতে।
হেনরি মারা যাবার পর ওর মা যখন ওর ডায়েরিটা হাতে নিলো তখন এসব জানতেপারলো।কিভাবে তাহলে মেয়েটিকে উদ্ধার করা যায় তাও সে লিখে গেছে।একটা সময় সেই লেখা ফুরিয়ে গেল এবং দেখা গেল হেনরি একটি লকারের কথা বলেছে। লকার খুলে সেখানে একটি টেপরেকোর্ডার পাওয়া গেল।হেনরি সেই রেকর্ডারে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে।
এই অংশটুকু বেদনার।আমরা শুনতে পাই হেনরির টেপ চালু করার পর সে তার মাকে বলছে মা তুমি যদি এই রেকর্ড শুনে থাকো তবে এই মুহুর্তে আমি আর নেই। হেনরি মাকে বলে গেছে একটি স্লাইপার কিনতে যার দাম পড়বে ১১০০ ডলার।হেনরি একটি অস্ত্রের দোকান থেকে গোপনে জানতে পেরেছিল।এছাড়াও কি কি বললে দোকানদার কোন কথা না বলে অস্ত্র দিয়ে দেবে তাও লিখে রেখেছিল।
ক্যাভেলরি এলিমেন্ট্রি স্কুলে পড়তো হেনরি।যেদিন ওদের স্কুলে ফাইনাল শো হচ্ছিল সেদিনই হেনরির কথা মত(রেকর্ড করা নির্দেশ) ওর মা সেই মেয়ে নিযার্তনকারীকে খুন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো।এর আগে সে ফার্ম হাউসে গিয়ে একাকী প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং নিশানা পাকা হয়েছে।সেই অংশেও হেনরি রেকর্ড করা নির্দেশনা দিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে সত্যিইকি মেয়েটিকে তার সৎ বাবার যৌন হয়রানি থেকে বাচাতে পারবে হেনরির মা?পারবে লোকটিকে খুন করতে?জানতে হলে দেখতে হবে দ্য বুক অব হেনরি।
সিনেমাঃ দ্য বুক অব হেনরি
পরিচালকঃ কলিন ট্রেভরো
লেখকঃ গ্রেগ হারউইটজ
মুক্তিঃ ২০১৭
ট্রেলার দেখুন।
লেখাঃ জাজাফী
Comments are closed.