স্বর্ণ কিশোরী একদল বদলে যাওয়া এবং বদলে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর আলোকিত কিশোরীর সংগঠন।যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়,নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়াজ তোলে,বাল্য বিবাহ রোধে তাদের কন্ঠ উচু হয় এবং একই সাথে তারা কিশোরী সাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে আত্মপ্রত্যয়ি ভূমিকা রেখে চলেছে।ওদের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই এরাইতো আমাদের এই দেশকে বদলে দেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্বর্ণ কিশোরী নামটা তাই ওদের ক্ষেত্রে সার্থক হয়েছে।আমাদের এই কিশোরী বন্ধুরা ইতমধ্যে বিশ্বব্যাপী তাদের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং তারা দেখিয়েছে তারা আলো ছড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
২০৪১ সালের মধ্যে কিশোরী পুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও বলিষ্ঠ জাতি গঠনে কাজ করছে স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশন। ইচ্ছাই শক্তি-কৈশোর পুষ্টি নিশ্চিত করি, বাল্য বিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি শ্লোগানে শুরু হয় স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের ৪র্থ জাতীয় কনভেনশন।
রাজধানীর ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে স্বর্ণ কিশোরীর ৪র্থ জাতীয় কনভেনশন।দেশের বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ‘অন্ধকারে জ্বালিয়ে আলো’ প্রত্যয়ে শিখা উদ্ভাস অনুষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুই দিনের জাতীয় সম্মেলন।
২০১২ সাল থেকে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ কররে আসছে স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশন। বাল্য বিবাহ রোধ করে, সুস্থ্য কৈশোর গঠনের মাধ্যমে মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনাই স্বর্ণকিশোরীর লক্ষ্য।
স্বর্ণ কিশোরীর জাতীয় কনভেনশন উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।
এবারের দুই দিনের কনভেনশনে অংশ নিচ্ছে ৫ হাজার কিশোরী।
কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি কালের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরী করতে আয়োজন করা হয়ে থাকে স্বর্ণ কিশোরীর জাতীয় কনভেনশন। ইচ্ছাই শক্তি-কৈশোর পুষ্টি নিশ্চিত করি, বাল্য বিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি শ্লোগানে নিজ নিজ ইউনিয়ন থেকে বিজয় যাত্রার মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আসতে শুরু করেছে কিশোরীরা।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। নারীর অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করতে জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সফল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে স্বর্ণ কিশোরীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন অতিথিরা। আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক প্রধান ফারজানা ব্রাউনিয়া।
দেশের ৪ হাজার ৫শ’৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার কিশোরী সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন গেইন, ইউনিসেফ, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, নেদারল্যান্ডস এম্বাসি ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের জাতীয় সম্মেলনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।স্বর্ণ কিশোরী একদল বদলে যাওয়া এবং বদলে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর আলোকিত কিশোরীর গল্প। আশা করি এই গল্প সমান তালে এগিয়ে যাবে। নিরাপদ হোক আমাদের প্রতিটি কিশোর কিশোরী বন্ধু সেই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে ছোটদেরবন্ধু।
সুত্রঃ চ্যানেল আই ও স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশান।
কৃতজ্ঞতাঃ স্বর্ণ কিশোরী সারাকে।
Comments are closed.