শিশুরা কাঁদামাটির মতো। তাকে আপনি শিশুকাল থেকে যেই আকার দেবেন সে সেই আকারই ধারণ করবে। আর এই শিশু বয়সটাই উত্তম সময় যখন তার মাঝে বন্ধুত্বের গুরুত্ব এবং মানুষের সাথে কিভাবে পরিচিত হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। অনেক শিশুই আছে যারা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। তাদের আশেপাশে কী ঘটে যাচ্ছে তাদের তা খেয়ালে থাকে না। এটি করতে তাদের মন থেকে ইচ্ছে না থাকলেও তারা আনমনে তা করে থাকে। তাই শিশুকে এই সময়ে কিভাবে বন্ধুত্ব পরায়ণ করে তুলবেন তা নির্ভর করে মা বাবার ওপর। তাকে তার মতো না ছেড়ে তার মাঝে সেই অনুভুতিটি গড়ে তুলুন।
তাকে সাহায্য করুন
প্রত্যক শিশুই আলাদা। সব শিশুকে এক তোলায় মাপলে আপনি ভুল করবেন। শিশু কী বিষয়ে ভয় পায় তা আগে খুঁজে বের করুন। তাকে সেই বিষয়ে অবগত করুন। যেন সে ওই বিষয়টিতে ভয় না পেয়ে আপনাকে খুলে বলে। সে যদি কারো সাথে কথা বলতে না পারে তবে তাকে শিখিয়ে দিন। কোনোভাবেই এই সময়ে তাকে ছোট করবেন না। তাকে বলুন আমি তো আছি। তাকে আস্থা দিন। তার সমস্যা শুনুন এবং তাকে তার মতো করে বুঝিয়ে বলুন।
বন্ধুত্বের গুরুত্ব
তাকে বন্ধুত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। মানুষের জীবনে বন্ধুর গুরুত্ব কতটুকু তাকে তা উদাহরণ দিয়ে হলেও বোঝান। বিভিন্নভাবে ঐতিহাসিক মানুষের কথা বলে তাকে বন্ধুত্বের গুরুত্বের কথা বুঝিয়ে বলুন। এতে তার মাঝে বন্ধুত্ব কিংবা নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হওয়ার যে ভয় তা চলে যাবে।
খেলনা
শিশুকে তার খেলনা দিয়ে আপনি তাকে বন্ধুত্বের কথা বিবেচনা করাতে পারেন। তার মনে বন্ধুত্ব নিয়ে কেন ভয় তা আগে জানুন। এর পরে তা নিয়ে কাজ করুন। তবে বন্ধুত্ব কিভাবে করতে হয় তা শেখানোর আগে তার সাথে নিজে বন্ধুত্ব করে নিন।
সমবয়সীদের সাথে পরিচয়
বাড়ির আশেপাশে যারা আছে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন আপনার শিশুকে। কারো সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় কিংবা বন্ধুত্ব গড়তে হয় তা সেখাতে এর চেয়ে ভালো কোনো পথ হতে পারে না। শিশুর সাথে তার মনের মতো করে কথা বলতে বলুন। দেখবেন এতে শিশু যেমন নিজেকে মুক্ত অনুভব করছে আবার নিজেকে তাদের বন্ধু হিসেবে তৈরি করেও নিচ্ছে।