spot_img
More
    Homeপুরস্কার ও সম্মাননানক্ষত্রের নিজস্ব আলো থাকে,নিজস্ব আলো আছে ফাতিহার

    নক্ষত্রের নিজস্ব আলো থাকে,নিজস্ব আলো আছে ফাতিহার

    সনদ হাতে ফাতিহা আয়াত

    জ্যাকসন হাইটস হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠলো।যেন মনে হচ্ছিল একসাথে অনেক গুলো নক্ষত্র তাদের সমস্ত আলো নিয়ে জ্বলে উঠেছে।সেই সব নক্ষত্রের নিজস্ব আলো আছে যে আলো দিয়ে তারা প্রতিনিয়তই আলোকিত করছে চারপাশ।সব গুলো নক্ষত্রের ভীড়ে একটি ছোট্ট নক্ষত্রও ছিল কিন্তু কে জানতো ছোট্ট নক্ষত্রের আলোর রোশনাই অন্য সব নক্ষত্রকে ছাপিয়ে যাবে।এই নক্ষত্রটির নাম ফাতিহা আয়াত।আমরা যাকে রাজকন্যা বলে ডাকি।ওর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে যে কোন দুঃখ ব্যথা ভুলে থাকা যায় আর ও যখন ওর পুর্ন আলো ছড়িয়ে দেয় তখন চারদিকে যত অন্ধকার যত হতাশা থাকে সব দুর হয়ে যায়।

    বাংলার আকাশের সব থেকে বড় সুর্য ডুবে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট।যে সুর্যের আলোয় পথ দেখে একটি বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল যিনি এই ছোট্ট সুন্দর দেশটির নাম রেখেছিলেন বাংলাদেশ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বাংলার আকাশের সব থেকে উজ্জল এই নক্ষত্রটির জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ।আলোর কারিগরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জ্যাকসন হাইটসে আয়োজন করা হয়েছিল “শিশু কিশোর মেলা-২০১৮”।জাতীয় শিশু দিবসের সেই আয়োজনে বাংলাপ্রেমীদের ভীড় ছিল আর ছিলো অগণিত শিশু কিশোর।যাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল বাংলা লিখন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা সহ আরো অনেক কিছু।সেই প্রতিযোগিতায় দুটো বিভাগেই সেরাদের সেরা হয়েছে ছোট্ট ফাতিহা।

    যারা অলরেডি জানেন এবং যারা জানেন না তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ফাতিহা হলো আমাদের ক্ষুদে বন্ধু সেই রাজকন্যাটি যে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করে আর মন দিয়ে সব শিখে নেয় তার পর বাসায় বাবাকে সাথে নিয়ে নিজেই শিক্ষক হয়ে গোটা পৃথিবীতে তার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়।বার বার মুগ্ধ হয়ে শুনি “ওয়েলকাম টু ম্যাথ ম্যাজিক উইথ ফাতিহা” ছোট্ট ফাতিহা নিয়মিত গণিত এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করে এবং গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে খুব সহজে সবাইকে শিখিয়ে দেয়।সে মনে করে “সন্তানকে মুখস্থ করাবেন নাকি আবিস্কারের নেশা ধরিয়ে দেবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনার”।জ্যাকসন হাইটসের আকাশ সেদিন ছায়া দিয়েছিল ছোট্ট ফাতিহাকে।বিদেশ বিভুইয়ে থেকেও ব্যরিষ্টার আফতাব আহমেদের কলিজার টুকরা আমাদের ছোট্ট রাজকন্যা ফাতিহা আয়াত বাংলাকে বুকে ধরেছে এবং সেটির প্রমাণ স্বরুপ শ্রেষ্ট আবৃত্তিশিল্পী এবং শ্রেষ্ঠতম লিখন শৈলী দেখিয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছে।আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ফাতিহা একটি নক্ষত্র যার নিজস্ব আলো আছে এবং সেই আলো ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে।ফাতিহার এই সাফল্যে আমরা আনন্দিত এবং ওকে অভিনন্দন জানাই।

    প্রতিটি অভিভাবককে বলতে চাই আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই নানা কিছুতে যুক্ত করি এবং উৎসাহ দেই।তাহলেই আমাদের ছোট্ট রাজকন্যা রাজপুত্ররা স্বপ্নেরমত বেড়ে উঠবে এবং তাদের সাফল্যের খাতার প্রতিটি পাতা কানায় কানায় পুর্ন হয়ে থাকবে।

    –ছোটদের বন্ধু

    ১৯ মার্চ ২০১৮

    RELATED ARTICLES

    16 COMMENTS

    Comments are closed.

    Most Popular