দিনবদলের কথা শুনতে শুনতে কখন যেন সত্যি সত্যিই দিন বদলে গেছে।আমাদের শৈশব কৈশর এখন আর আগের মত রঙীন নয়।সেই দূরন্তপনা,ছুটে চলা,ইচ্ছেমত নদীতে সাতার কাটা এমনকি স্কুল পালানো এখন অতীত স্মৃতি।বাবা কিংবা অন্য কারো সাইকেল দেখলেই সেটা কিভাবে চালাতে হয় তা শেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে থাকার দিন বুঝি শেষ হয়ে গেলো। অথচ আমাদের কাম্য ছিলো সাইকেল হোক ছোটদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তার পরিবর্তে ছোটরা এখন ভিডিওগেমস,কম্পিউটার আর টেলিভিশন নিয়ে মেতে আছে। এতে করে তাদের শরীর চর্চা একেবারেই হচ্ছেনা বলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।ভোরে উঠে রিকশা নয়তো গাড়িতে করে স্কুলে যাওয়া। স্কুলে সারাক্ষণ বসে থাকা এবং আবার স্কুল শেষে বাসায় ফিরে বিছানায় নয়তো সোফায় বসে মোবাইলে গেমস খেলা নয়তো টিভি দেখা এটা আমাদের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়ে গেছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছি আমরা সব বয়সীরা।
আপনার সন্তান মুটিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন অলস হয়ে পড়ছে। শরীরে এনার্জি পাচ্ছে না। সিড়ি বেয়ে উঠতে গেলে হাপিয়ে উঠছে।আমরা জানি এসবই এখনকার সমাজে খুব কমন।এ থেকে পরিত্রাণ দরকার। সে ক্ষেত্রে সাইকেল হতে পারে একই সাথে দারুন বদলে দেওয়ার উপকরণ। এটি একই সাথে খেলার সামগ্রি এবং শরীর চর্চার বিষয় বলেও বিবেচিত হতে পারে। এখনকার দিনে বড়রা জিমে গিয়ে সাইকেল চালায়। আপনি আপনার সন্তানকে শারীরিক ভাবে সুস্থ্য এবং সক্ষম দেখতে চাইলে সাইকেল কিনে দিতে পারেন।এতে করে সে টিভি দেখে,কম্পিউটারে গেমস খেলে অলস সময় পার করা কমিয়ে দেবে,চোখের ক্ষতি থেকে বাচবে পাশাপাশি সাইকেল চালানোর মাধ্যমে শরীরচর্চা হবে। শরীরে শক্তি বাড়বে।
আমরা যদি আমেরিকার মত উন্নত দেশের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই ওই দেশের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় সাইকেল চালিয়ে নয়তো স্ক্রেটিং করতে করতে। আমাদের দেশের রাস্তাঘাট অতোটা উন্নত নয় এবং নিরাপদ নয় বলে এখনি ওদেশের মত আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে সাইকেলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারবে না তবে দৈনন্দিন জীবনে তারা সাইকলে ব্যবহার করতেপারে। শরীর চর্চার এ এক দারুনমাধ্যম হতে পারে।তাছাড়া নিজ এলাকায় সাইকেল চালালে সময় এবং অর্থওবাচতে পারে। আমরা সবাইমিলে চেষ্টা করলে এই ঢাকা শহরে সাইকেল চালানোর উপযোগিতা তৈরি করতে সক্ষম হবো বলেই মনে করি। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন দামের সাইকেল বিক্রি হচ্ছে। ছোটদের জন্য দারুন সব ডিজাইনের সাইকেল দেখতে পাওয়া যায়। সাইকেল চালানো এক রকম এডভেঞ্চার মনে হয়।বিশেষ করে ছোটদের কাছে। তাই সন্তানের নানা দিক বিবেচনা করে ওদের সাইকেল কিনে দেওয়া যেতে পারে।
ছোটদের সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরী। হেলমেট এবং সেফটি গার্ড ব্যবহার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সহযোগিতা করবে।
ছবিঃ তোফায়েল আহমেদ লিটন