আমরা চাই আমাদের শিশু কিশোর কিশোরী কখনো অসুখে না পড়ুক। তারা অপার আনন্দে হেসে খেলে বেড়াক আর স্বপ্ন বুকে বেড়ে উঠুক। কিন্তু তার পরও নানা কারণে ওদের অসুখে পড়তে হয়।তার পর ওরা যখন হাসপাতালে যায় তখন ওদের মন খারাপ হয়ে যায়।খেলতে পারেনা বন্ধুদের সাথে মিশতে পারেনা।তার চেয়ে বড় কথা হলো হাসপাতালের ওয়ার্ড গুলো সুন্দর না! এ কেক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী সংবাদ আপনার পেয়েছি।
আজ বছরের প্রথম দিন। আনন্দ আর ভালোর প্রত্যাশায় পালন করে সবাই। তবে হাসপাতালে থাকা শিশুদের শারীরিক কষ্ট বাধা দেয় তাদের আনন্দে। ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবার। হাসপাতালে শিশুদের সেকশনকে সুন্দর করে সাজিয়েছে সন্ধানী মেডিকেল কলেজ ইউনিট।
হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডের দেয়ালগুলোতে লেখা হয়েছে বিভিন্ন বাণী, চমৎকার সব ছবি ও শিশুতোষ কার্টুন। ছাদের নিচে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা ধরনের খেলনা। অসুস্থ ছোট্ট শিশুগুলোর মনেও এসেছে খুশির আমেজ।
আজ সোমবার মেডিকেল কলেজ শিশু ওয়ার্ডে এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুরা সাধারণত কোমল হয়। তারা নতুন সব পরিবেশে নিজেকে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। সন্ধানীর এ আয়োজন শিশু ওয়ার্ডটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। শিশু ওয়ার্ডের নানা ধরনের খেলনা ও কার্টুন চিত্র শিশুদের আনন্দ দিয়েছে, তারা খুশি।
বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের সেকশনকে সাজানো হয়েছে।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিশু বিভাগের প্রধান অলোক কুমার সাহা, চিকিৎসক মো. কামরুল হাসান, শীলা রানি দাস, মো. তৌহিদুল ইসলাম, সন্ধানীর সভাপতি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধানী মেডিকেল কলেজ ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মোহন কুমার পাল বলেন, সিরাজ খালেদা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থায়নে সাজানো হয় শিশু ওয়ার্ড। আমরা এ ইউনিটের মাধ্যমে নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করে থাকি।
আমরা মনে করি দেশের সব হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড গুলো শিশুদের পছন্দ হয় এমন করে সাজানো উচিত।এতে করে শিশুরা আরো দ্রুত সেরে উঠবে কারণ ওদের মন প্রফুল্ল থাকবে। আমরা জানি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটছে তাই এদিকে বাজেটের কিছু অংশ ব্যয় করলে সেটি অত্যন্ত উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি।ব্যক্তিগত ভাবেও আমরা এটা করতে পারি।সবাই সাধ্যমত নিজেদের থেকে একটা দুটো খেলনা দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারি শিশু ওয়ার্ড গুলো।