সাফল্য কিভাবে আসে?সাফল্যের জন্য কি কি করতে হয়?কতটুকু চেষ্টা করা উচিত?কখন হাল ছেড়ে দিতে হয়? সফলরা কি করে? কিভাবে তারা সফল হয় এসব নিয়ে ভাবতে গেলে সবার আগে যে নামটি আমাদের সামনে চলে আসে তিনি বিশ্বের সব থেকে সম্পদশালী মানুষ মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিলগেটস। তার বাল্যকাল কেমন ছিল?তিনি কিভাবে শুরু করেছিলেন এবং তার শুরুটা কেমন ছিল তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। এই বিখ্যাত মানুষটির মা তাকে কি বলতেন? আমাদের মত স্কুলে যেতে বলতেন?এ প্লাসের বন্যা বইয়ে দিতে বলতেন নাকি অন্য কিছু বলতেন? বিলগেটসের মা কি তাকে জোর করে গন্ডায় গন্ডায় হাউজ টিউটরের কাছে পড়াতেন নাকি নানা নামের কোচিং সেন্টারে পাঠাতেন? এমন কিছুই করতেন না। আমরা এখানে খুব অল্প কথায় বিলগেটস আর তার মায়ের স্মৃতিচারণ করছি।
বিল গেটসকে দেওয়া মায়ের তিনটি উপদেশ : পরীক্ষার ফলাফল শেষে শিশুটি মায়ের কোলে দৌড়ে গেল। মা প্রশ্ন করল, “তোর পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে বাবা?” ছেলেটি বলল, “হ্যঁা মা দিয়েছে। মা বলল, ” কত পেয়েছিস বাবা?” ছেলেটি বলল,”মা আমি শূন্য পেয়েছি। ” মা বলল,” আর কি কেউ শূন্য পেয়েছে?” ছেলেটি বলল, ” না, মা। ” মা তখন বলল, “দেখেছিস বাবা, তোর মতো নম্বর আর কেউ পাইনি।তুই ৮০ কিংবা ৯০ পেলেও আমি রাগ করতাম। কিন্তু তুই একেবারে শূন্য পেয়েছিস। আজ থেকে তুই মায়ের এই তিনটি উপদেশ মেনে চলবি: ১. প্রচুর বই পড়বি। নিজের পাঠ্য বইয়ের বাইরেও একটি বিশাল জগৎ গড়ে তুলবি। ২.সবসময় বড় বড় স্বপ্ন দেখবি। এমন এমন স্বপ্ন দেখবি যা অন্য কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। ৩.এমন কাজ করবি যা কেউ করছে না। মানুষকে সবসময় স্বপ্ন দেখাবি। মায়ের এই তিনটি উপদেশ মেনে চললে কোন পরীক্ষায় কত পেয়েছিস সেটা কোন ব্যাপার না।সময়টা তখন ১৯৬৩ সালের কথা। এবং এই কথাগুলো ছিলো ৮ বছরের শিশু বিল গেটস কে দেওয়া মা মেরি বেকছিল গেটসের উপদেশ। —————— তাই কোন পরীক্ষায় খারাপ করলে আমরা ভেঙে না পড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।তাহলে সাফল্য এমনিতেই ধরা দেবে।
তাই আসুন আমাদের ছোট্ট শিশু কিশোর কিশোরীদের উপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে না দিয়ে কোচিং প্রাইভেট হোমটিউটর আর এ প্লাসের যন্ত্রনা থেকে ওদের মুক্তি দিই এবং ওদের জন্য সুন্দর একটি আগামীর স্বপ্ন ওদের মনের মধ্যে বুনে দেই। ওরা ওদের মত করে বড় হোক এবং আমরা ওদেরকে অনুপ্রেরণা দেই বড় হওয়ার সুযোগ দেই।
লেখাঃ নাহিদ হাসান।
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ।
Comments are closed.