শিশুরা সৌন্দর্যের প্রতীক। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম বলেছিলেন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আমি একটি শিশুর মুখ দেখতে চাই এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগেও শিশুদের হাসিমুখ দেখতে চাই। সেই সুন্দর শিশুদের যত্ন এবং তাদের শিশুদের ঘর গুছিয়ে রাখা সহজ না। ঘরের মধ্যেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে খেলনা, বই-খাতা। তাই শিশুকে ছোট থেকেই ঘর গুছিয়ে রাখা শেখালে বড় হয়ে নিজেরাই গুছিয়ে রাখবে নিজের ঘর। জেনে নিন কীভাবে ওদের ঘর গুছিয়ে রাখবেন।
খেলনা:
খেলনা কিন্তু বাচ্চাদের খুবই প্রিয়। ওরা খেলতে খুবই ভালোবাসে।খেলনা বা পুতুলের ক্ষেত্রে ওয়ান ইন-ওয়ান-আউট নিয়ম মেনে চলুন। যখনই নতুন কোনও খেলনা কেনা হবে পুরনো খেলনা কাউকে দিয়ে দিন। কারণ বাচ্চারা কখনই একই খেলনা নিয়ে বেশি দিন খেলে আর ভেঙে যাওয়া কোনো খেলনা ফেলে দিন।
মনে রাখা দরকার, ঘরে নতুন খেলনা আসলেই পুরনো খেলনার প্রতি তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। বাচ্চার ঘরের জন্য ট্রান্সপারেন্ট বক্স কিনে আনুন। যে খেলনা প্রয়োজন সেটা বের আনুন সহজে।
বই:
কালার কো়ড মেনে বাচ্চাদের বইগুলো সাজাতে পারেন। থবা আলাদা আলাদা সেলফে ছবির বই, গল্পের বই, রিডিং মেটিরিয়াল করে রাখুন। এ ভাবে সাজিয়ে রাখা অভ্যাস করালে বাচ্চা বড় হলে নিজেই সাজিয়ে রাখবে।
জামা-কাপড়:
বাচ্চাদের বড় হবার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের জামা-কাপড়ও দ্রুত ছোট হয়ে যায়। এসব জামা-কাপড় জমিয়ে না রেখে পরিবারের মধ্যে ছোট কাউকে দিতে পারেন। না হলে দুঃস্থ শিশুদের মধ্যেও দিয়ে দিতে পারেন। জিনিসটাও কাজে লাগবে, বাড়িতেও জঞ্জাল হবে না।
আসবাব:
বাচ্চাদের ঘরে আসবাবপত্র বেশি হয়ে গেলে ওদের চলাফেরা, খেলা করতে অসুবিধা হয়। ঘর বেশি ছড়ানো-ছিটানো থাকলে বাচ্চারা পড়াশোনাতেও মনোযোগ হতে পারেনা। হয়তো বাচ্চা বড় হয়ে গিয়েছে, অথচ ছোটবেলার চেয়ার-টেবিল এখনও ঘরে রয়ে গিয়েছে। এগুলো সরিয়ে ফেলুন। শিশুর ঘরে রাখার জন্য ফোল্ডেবল ফার্নিচার কিনুন। যাতে ঘর গোছানো লাগে এবং ঘরের জায়গাটাও বাড়ে।
গ্যাজেট:
আইপ্যাড, আইপড বা ভিডিও গেমস আজকাল খেলনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বাচ্চাদের কাছে। বেশির ভাগ সময়ই বাচ্চারা তার, চার্জার, অ্যাডপটর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। যা বিপজ্জনকও হয়ে উঠতে পারে। তাই আলাদা টেক ড্রয়ার রাখুন। সেখানেই সব গ্যাজেট, চার্জার রাখতে শেখান শিশুকে। এতে ঘর পরিষ্কারও থাকবে, বাচ্চার জন্যও নিরাপদ হবে।