লেখকঃ ডি.হুসাইন
—
দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েক দিন ধরে আবার হাড়কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন স্কুলগামী শিশু-কিশোর, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও শ্রমিকেরা। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে দুস্থদের। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ নীলফামারীতে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস , ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনাজপুরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে । পঞ্চগড়ে ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । প্রচন্ড এই শীতে সবচেয়ে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । চরম বিপাকে পড়তে হয় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের । শীতে শিশুরা নিউমোনিয়া, সর্দিকাশি, জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচণ্ড শীত ও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক শিশু হাসপতালে ভর্তি হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দুই শতাধিক শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে । তাছাড়াও নবজাতকদের জন্য শীতকাল বেশি বিপজ্জনক। তাই এ সময় নবজাতক এবং শিশুদের দিকে বেশি নজর রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন শিশু চিকিৎসকরা। শিশুদের পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধ মানুষদেরও ভোগান্তির আন্ত নেই । ঠান্ড জনিত জ্বর,এলার্জি, মাথা ব্যথায় ভোগতে হয় বৃদ্ধদের ।
#কয়েকটি আবেদন —
#শীতকালীন রোগে শিশুরা যাতে আক্রান্ত না হয়, সেজন্য স্কুলগুলোতে শীতকালীন ছুটির (সাময়িক) ব্যবস্থা করা ।
#ঠান্ডাজনিত রোগের ব্যাপারে সচেতন থাকা এবং অবহেলা না করে চিকিৎসা নেয়া ।
#স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ।
#ঢাকাস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ঐ সব এলাকায় শীতবস্ত্র, ওষুধ বিতরণ এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা উচিত।
মু.দেলোয়ার হুসাইন
শিশু অধিকার কর্মী