শিশুদের বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার উৎকর্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে নীতিনির্ধারক এবং বৃহত্তর জনসাধারণের কাছ থেকে শিশুদের জন্য সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে ইউনিসেফ।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মরত প্রিন্ট, ফটো ও ভিডিও সাংবাদিকদের জমা দেওয়া প্রায় ৩০০ প্রতিবেদন থেকে বিচারকদের একটি স্বাধীন দল প্রতিবেদনগুলো নির্বাচন করে। বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে সেসব শিশুদের কথা যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়; সেসব মেয়েদের কথা যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব সংক্রার স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়; সেসব ছেলেদের কথা যাদের একমাত্র আয় রাস্তা এবং সেসব শিশুদের কথা যাদের জীবন, জলবায়ু, অভিঘাত ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত।
আয়োজনে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, আমরা শক্তিশালী যেসব প্রতিবেদনকে সম্মান জানাচ্ছি সেগুলো শিশু অধিকারের কথা সবার সামনে তুলে ধরতে এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সাংবাদিকরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তার-ই প্রতিফলন।
১৮ বছরের কম বয়সী প্রতিভাবান শিশু সাংবাদিকদেরও পুরষ্কৃত করা হয়। তাদের প্রতিবেদনগুলো শিশুদের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের নিজস্ব মতামত, ধারণা ও চিন্তাভাবনা প্রকাশে সক্ষম করে তুলতে উপকরণ ও প্ল্যাটফর্ম প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে।
রয়টার্স বাংলাদেশের চিফ কারেসপন্ডেন্ট এবং এবছরের এই অ্যাওয়ার্ডের একজন বিচারক রুমা পাল বলেন, আমরা এই বছর অসংখ্য শক্তিশালী প্রতিবেদন দেখেছি। যেখান থেকে ১০ জনকে নির্বাচন করা সত্যিই কঠিন ছিল। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের প্রতিবেদনগুলোও কোনো অংশে কম নয়।
আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, উপন্যাসিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনসহ গণমান্য ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার নিয়ে অসামান্য প্রতিবেদনের জন্য ১১ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করেছে ইউনিসেফ। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর-২০২২) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের গ্ল্যান্ড বলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে নীতিনির্ধারক এবং বৃহত্তর জনসাধারণের কাছ থেকে শিশুদের জন্য সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে ইউনিসেফ।বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মরত প্রিন্ট, অনলাইন, ফটো এবং ভিডিও সাংবাদিকদের জমা দেওয়া প্রায় ৩০০ প্রতিবেদন থেকে বিচারকদের একটি স্বাধীন দল প্রতিবেদনগুলো নির্বাচন করে।
বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোয় উঠে এসেছে সেসব শিশুর কথা, যাদের জোর করে বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়; সেসব মেয়ের কথা, যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়; সেসব ছেলের কথা, যাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাস্তা এবং সেসব শিশুর কথা, যাদের জীবন, জলবায়ু, অভিঘাত, নিপীড়ন ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ঔপন্যাসিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পাঠশালা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শামীম আখতার ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং রয়টার্স বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট রুমা পাল।
এ বছর ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন ঢাকা ট্রিবিউনের নওয়াজ ফারহিন অন্তরা, কালের কণ্ঠের এমরান হাসান সোহেল, বিডিনিউজ২৪.কম-এর হিমু চন্দ্র শীল, হিমুচন্দ্র শীল ছোটদেরবন্ধুর একজন সদস্য। এছাড়াও নিউজবাংলা২৪-এর জেসমিন আক্তার পাপড়ি, প্রথম আলোর মো. সাজিদ হোসেন, নাগরিক টিভির শাহনাজ শারমিন, ঢাকা পোস্টের তানভিরুল ইসলাম, প্রথম আলোর জাহিদুল করিম, জাগোনিউজ২৪-এর মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, এটিএন বাংলার খালিদুল ইসলাম তানভির এবং হ্যালো বিডি নিউজের ধী অরণী পাল।
ইউনিসেফ জানায়, ২০০৫ সাল থেকে মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে ইউনিসেফ শিশু অধিকার বিষয়ক সাংবাদিকতামূলক প্রতিবেদনের উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।