স্মৃতিময় একটি দিন বলতে হয়তো প্রথমেই মাথায় আসে চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালিন একটি রচনার কথা। কারো কারো আবার স্মৃতিময় একটি দিন বলতে মনে পড়ে জীবনের প্রথম বিদ্যালয়ে যাওয়া। কারো প্রথম কোনো পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বা অন্য কোনো সুখকর বিষয়।
কারো-কারো ক্ষেত্রে সেটা আবার হতে পারে দুঃখের কোনো স্মৃতিও। তবে আমার বেলায় সেটা সুখকর ই বলা চলে।
স্কুলে থাকতে নানান রকম স্মৃতিময় মুহূর্ত গড়ে উঠেছে। যেমন খুব ছোটবেলায় ই কবিতা আবৃত্তিতে পুরস্কার অর্জন, চতুর্থ শ্রেণীতে থাকতে শ্রেষ্ঠ প্রাবন্ধিক হিসেবে পুরস্কার অর্জন ইত্যাদি।
মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হতে হয় সেই ১৪ বছরের পরিবার ছেড়ে এসে।
স্মৃতিময় একটি দিনঃ
আজ, ১৯শে অক্টোবর, আমার দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্তি হলো।
১৪-বছরের শিক্ষাজীবনে স্কুল এ থাকাকালিন প্রত্যেকটি শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান সমতুল্য ছিলাম। স্কুলই ছিলো আমার দ্বিতীয় পরিবার হিসেবে।
তবে এখানেও নানান কারণে কিছুদিনের মধ্যেই নতুন বন্ধু-বান্ধব হয় এবং নিজের যোগ্যতার মাধ্যমেই বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকার প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে সক্ষম হই।
কলেজ জীবনে আমার সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতির মধ্যে ১৮ই অক্টোবর, ২০১৯। দিনটি আজীবন মনে থাকবে।
আমাদের পরিসংখ্যান শিক্ষক আতাম হোসেন চৌধুরী স্যার আমাদের প্রথমদিকের ক্লাসেই বলেছিলেন,
তিনি প্রতি বছর তাঁর সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষার্থীকে “Student of the Year” হিসেবে ঘোষণা করেন।
আজ স্যার এর সাথে আমাদের শেষের আগের দিনের ক্লাস ছিলো। আজ তিনি আমাদের ক্লাসের দুইজনকে “Student of the Year” হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সৌভাগ্যবশত আমি সেই দুই জনের একজন!
আমার কলেজ জীবনে আর কোনো কিছু মনে থাকুক আর নাই থাকুক, দু’টো বিশেষ ঘটনা চিরকাল মনে রাখার মতো।
প্রথমত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় Indoor Event এ ক্যারম এ চ্যাম্পিওন হওয়া। আর দ্বিতীয়টি আজকের দিনটি।
একজন শিক্ষার্থী হয়ে একজন শিক্ষক এর কাছ থেকে এই সন্মানটি পাওয়া সত্যিই একজন সৌভাগ্যবতী শিক্ষার্থী হওয়ার লক্ষণ বলে আমি মনে করি। স্যার এর দেওয়া এই সন্মানের যোগ্য আমি আসলেই কি না আমি জানি না।
তবে আজীবন এই সন্মানটি ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
আরো পড়ুন:
Comments are closed.