মঞ্চের দারুন জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী আর্যমেঘদূত।নদ্দিউ নতিম নাটকে তার অভিনয় দক্ষতা দেখে দেশ ও বিদেশে অগণিত দর্শক মুগ্ধ হয়ে আছে।এমন মুগ্ধতা যে একই নাটক বার বার দেখেছে এমন অগণিত দর্শক আছে।সবাই যখন ভাবছিলো আর্যমেঘদূত কি সব সময় মঞ্চ নিয়েই থাকবে নাকি আরো বৃহত্তর পরিসরে তাকে দেখা যাবে।জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমাদের মত অগনিত দর্শককে মুগ্ধ করে রাখা আর্যমেঘদূত এবার সরবে উপস্থিত হয়েছে সিনেমার পর্দায়।ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৯ এ প্রদর্শিত হলো মেঘদূতের সিনেমা।
ব্যস্ত জীবনে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম সিনেমা।আমাদের সামনে স্বপ্নের এক দুনিয়া নিয়ে হাজির হয়।সেই আনন্দকে উৎসবে পরিনত করেছে ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।হাটি হাটি পা পা করে এবার সে পদার্পন করেছে ১৭ তম বছরে।আর এই মহাযজ্ঞের নেপথ্যে আছে “রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ”। নয় দিনব্যাপী উৎসব চলবে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে ৭২টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, লেবানন, ভারত, আরব-আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বলছিলাম আর্যমেঘদুতের কথা।আমাদের বন্ধু আর্যমেঘদূতের অভিনীত একটি সিনেমাও প্রদর্শিত হবে বলে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।মঞ্চে দক্ষতার সাথে অভিনয় করে দর্শক মন জয় করা আযর্মেঘদূত চলচ্চিত্রে কেমন করবে সেটা নিয়ে কেউ ভাবেনি কারণ সবার বিশ্বাস জন্মেছে এই গুণী অভিনেত্রী নিশ্চই অসাধারণ ভাবে সবার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেবে।আমাদের বন্ধু আযর্মেঘদূতের সিনেমা ‘সী ইউ”। প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলো আমাদের বন্ধু ও তার প্রিয় বাবা।সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রী কলাকুশলী। ২৪ মিনিট দৈর্ঘের সিনেমাটি তিনটি মাত্র চরিত্রকে ঘিরে গল্প এগিয়েছে।অভিনয় করেছেন ত্রপা মজুমদার,মৌঠুসী বিশ্বাস আর আমাদের প্রিয় বন্ধু আর্যমেঘদূত।
চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে সবার মধ্যেই থাকে উত্তেজনা।আভিজাত্যের আরেক নাম ঢাকা ক্লাব।রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজন করা হয় এবারের উৎসব ঘিরে সংবাদ সম্মেলন । এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ২৭ বছর ধরে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের উৎসবের মূল স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, এবারের আসরে বিচারক হিসেবে বিদেশি চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে থাকছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন।
চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা ক্যাটাগরিঃ
নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো কয়েকটি সেশনে প্রদর্শিত হবে। সেশনগুলো হচ্ছে ,
- এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ।
- রেট্টোস্পেকটিভ বিভাগ।
- বাংলাদেশ প্যানোরমা।
- সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড।
- চিলড্রেসন ফিল্ম।
- স্প্রিরিচুয়াল ফিল্মস।
- ইনপিপেন্ডট ফিল্ম।
- উইমেন্স ফিল্মস।
প্রদর্শনী হলের তালিকাঃ
- রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার।
- শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন।
- জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল ও প্রধান মিলনায়তন।
- শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন।
- অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তন।
- যমুনা ফিউচারপার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমা হল।
সিনেমা সব বয়সীদেরই প্রিয়।বিশেষ করে আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এমন সব সিনেমা প্রদর্শিত হয় যা পরিবার নিয়ে একসাথে দেখা যায়।কিছু কিছু চলচ্চিত্র দারুন মেসেজ দেয়।সে ক্ষেত্রে এই ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসা একটি মোক্ষম সুযোগ।শুধু মাত্র সিনেমা দেখাই নয় বরং এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে পারস্পারিক বন্ধন।দেখা মিলতে পারে নতুন মুখের যাদের সাথে গড়ে উঠতে পারে বন্ধুত্ব।বিশেষ করে আমাদের কিশোর কিশোরী বন্ধুদের মধ্যে যারা ভবিষ্যতে সিনেমা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা দারুন অনুপ্রাণিত হতে পারে।সিনেমা কিভাবে তৈরি হয় এর সাথে অভিনয়ে যুক্তদের সাথেও দেখা হওয়ার সুযোগ মেলে।আমরা আশা করি ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দিয়ে যেমন আমাদের বন্ধু আর্যমেঘদূতের সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বিশ্বব্যাপী ওর অভিনীত সিনেমা সমাদর পাবে।হাটিহাটি পা পা করে নিশ্চই একদিন ও আমাদের জন্য বয়ে আনবে বড় সম্মান।আমরা সেই সোনালী দিনের অপেক্ষায় থাকবো।প্রিয় আর্য মেঘদূতকে অনেক অনেক অভিনন্দন তার এই মুগ্ধতা ছড়ানো কাজের জন্য।
-লেখাঃ জাজাফী
ছবিঃ আসাদুল ইসলাম (নাট্যকার ও অভিনেতা)
Comments are closed.