আমরা রোজই কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও উচু গলায় শিশু কিশোর কিশোরীদের নিরাপত্তার কথা বলছি প্রতিবাদ করছি কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।সুর্য যেমন রোজ উদয় হয় আর অস্ত যায় তেমনি শিশু কিশোর কিশোরী নির্যাতন যেন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।শিশুদের ধর্ষনের মাত্রা বেড়ে গেছে বহুগুন।শিশুরা বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা আজ আর কোথাও নিরাপদ নয়।তারা বাইরের মানুষ দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে,গৃহশিক্ষক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।এমনকি ঘরেও ধর্ষিত হচ্ছে খুব আপন কারো মাধ্যমে।তার মানে কি দাড়াচ্ছে? আমরা যেমন প্রশ্নপত্র ফাস ঠেকাতে পারছিনা তেমনি শিশু কিশোরী ধর্ষণও ঠেকাতে পারছি না।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অবশ্যই জঘন্য এবং নিন্দনীয় কাজ। বাবা প্রবাসী হওয়ায় মেয়েটি এমনিতেই বাবাহীন ছিল।সেই সময়ে তার মা তাকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে।এর পর বাবা বিদেশ থেকে ফিরে এসে ওদের কথা ভেবে আবার বিয়ে করলে বাচ্চাটি সৎমায়ের কাছেই থাকা শুরু করে।কিন্তু লোকটি আবার বিদেশে চলে যাওয়ায় সৎমা তার নিজের ভাইকে নিয়ে আসে তাদের সাথে থাকার জন্য।সেই সৎমায়ের ভাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে যে এখন ৩৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সৎমামার বিরুদ্ধে স্কুলপড়ুয়া কিশোরী ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের কারণে মেয়েটি এখন ৩৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে সৎমামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে সৎমাকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্থানীয় এক স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সৎমামার নাম আবু হাসান (১৯)।
ওই স্কুলছাত্রী, তার পরিবার ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর ধরে চাকরিসূত্রে সৌদি আরবে রয়েছেন। আট-নয় বছর আগে শিশু অবস্থায় মেয়েটিকে রেখে তাঁর মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। এরপর চার বছর আগে সৎমা রোজিনাকে বিয়ে করেন বাবা। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় সৎমা রোজিনা এক বছর ধরে তাঁর ভাইকে বাড়িতে এনে রাখছেন। হাসান একা ঘরে থাকলে স্বপ্নে তাঁকে ‘বোবায়’ ধরে এমন অজুহাতে রোজিনা মেয়েটিকে মামার ঘরেই থাকার জন্য অনুরোধ করেন। মেয়েটি জানায়, এক রাতে ঘুমানোর পর ওই সৎমামা তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরের দিন তাঁর সৎমাকে জানালেও তিনি কান দেননি। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
মেয়েটি এখন ৩৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি ক্লিনিকের চিকিৎসক।
মেয়েটির চাচা অভিযোগ করেন, তিন মাস ধরে বিষয়টি জানাজানি হলেও আবু হাসান ও তাঁর বোন বিষয়টি আমলে নেননি।
এদিকে আবু হাসান সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মেয়ের চাচারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাত নয়টার দিকে মেয়ে ও মেয়ের চাচা থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা করেছেন।
আমরা আমাদের নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি এবং এখন আমরা আমাদের শিশুদেরও নিরাপত্তা দিতে পারছি না।প্রতিনিয়ত শিশু কিশোর কিশোরীরা নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং এখন সেটা যৌননির্যাতনের নিকৃষ্টতম অবস্থানে চলে গেছে।যেন এমন হয়েছে যে কন্যা শিশুর জন্মহওয়াই একটি অভিশাপের মত।নরাধমেরা নিজেদের বিকৃত মানসিকতাকে শিশুদের উপর প্রয়োগ করছে।এই সব নরাধমদের শাস্তি হয়না বলেই প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।আমরা চাই প্রশ্নফাস যেমন ঠেকানো যাচ্ছেনা এটি যেন তেমন না হয়।আমরা চাই প্রতিটি শিশু কিশোর কিশোরীর জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়তে যেখানে শিশুটি নিজের মত করে চলবে কিশোরী নিজের মত করে ঘুরবে কেউ তার কোন ক্ষতি করবে না বরং সবাই তাকে আগলে রাখবে।
বিশ্বাস বলে যে একটি বিষয় ছিল তা এখন আর নেই।কাকে বিশ্বাস করবেন?কার কাছে আমাদের কন্যা শিশুটি নিরাপদ?যাকে দেখি তার ভিতরেই যেন লুকিয়ে আছে একজন ধর্ষক। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া চাই।আপনারাও লিখুন এবং মতামত দিন।গড়ে তুলুন একটি বন্ধন এবং আগলে রাখুন আমাদের শিশু কিশোর কিশোরীদেরকে।
আরও পড়ুনঃ