শিশুকে ব্যস্ত রাখুন নতুন কিছু শিখতে। নতুন কিছু শিখতে এবং ইতিবাচক ও নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিশুদের সাহায্য করে প্রযুক্তি। পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে।এজন্য সহায়ক কার্যকলাপ যেমন: বাগান তৈরি করায় তদারকি করতে পারেন বাবা-মা। বাগান করা নিছক খেলা নয়, বরং রপ্ত করা যায় নিত্য নতুন কৌশল, গড়ে ওঠে আত্ন-নির্ভরশীলতা এবং দায়িত্ববোধ।
শিশুদের বিকাশে সহায়ক এবং বিকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করে এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন ভারতীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কাশিশ এ সাব্রিয়া এবং হেমন্ত মিত্তাল।
* শিশুর ভিডিও গেইম খেলা, টেলিভিশন ও সিনেমা দেখা, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদির উপর তদারকি করতে হবে। শিশুকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেওয়ার আগে সব ধরনের আপত্তিকর সাইটে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে হবে।
* ভিডিও গেইম, টেলিভিশন কিংবা সিনেমা থেকে শিশু কী শিক্ষা গ্রহণ করছে সেদিকে নজর দিতে হবে। জেরা করে নয়, তাদের সঙ্গে কথা বলে কৌশলে এই বিষয়গুলো জানতে হবে।
* শিশুকে নিত্যনতুন কাজের সঙ্গে জড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে। এই কাজগুলো শিক্ষামূলক এবং মজাদার হওয়া জরুরি। যেমন, বাগান করা নিয়ে অসংখ্য গেইম আছে, সেগুলো খেলার উৎসাহ দিতে পারেন।
* শিশুকে বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। ঘরের নিরাপদ পরিবেশে বদ্ধ না রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের বেড়াতে নিয়ে যান। এতে ইন্টারনেট জগতের বাইরের বাস্তব জগতের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে।
* পরিচ্ছন্নতার নামে শিশুকে মাটির স্পর্শ থেকে দূরে রাখা উচিত নয়। বিশেষ শারীরিক অসুস্থতা না থাকলে কালেভদ্রে শিশুকে গ্যাজেটস ফেলে কাদামাটির নিয়ে খেলতে উৎসাহ দিন।
* শিশুর সঙ্গে বোঝাপড়া করার কৌশল রপ্ত করতে হবে। আপনার সন্তান যখন বাজারে নতুন আসা ট্যাব কিংবা মোবাইল ফোনের বায়না ধরবে তখন তার সঙ্গে জুড়ে দিন মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করা কিংবা গ্রামের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার শর্ত।
* বৈদ্যুতিক গ্যাজেটসগুলো যাতে শিশু শোবার ঘরে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
* টেলিভিশন, সিনেমা, কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদির লাগামহীন ব্যবহার রোধ করতে হবে। সময় বেঁধে দিতে হবে এবং তা শক্ত হাতে মেনে চলতে হবে, শিশুর জেদ কিংবা কান্নাকাটির কাছে হেরে যাওয়া চলবে না।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম
Comments are closed.