স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীদের জামা খুলে নেওয়ার ধৃষ্টতা দেখালো শিক্ষক।শিক্ষকের নামে কাগজে অমার্জিত শব্দ লেখার অভিযোগে পুরো স্কুলের সামনে ৮৮ ছাত্রীর জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। শুধু জোর করে পোশাক খোলাই নয়, ওই ছাত্রীদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও করা হয়। এই হেনস্তার শিকার ছাত্রীরা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
হিন্দুস্থান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের অরুণাচল রাজ্যের পাপুম পারে জেলার তানি হাপ্পা (নতুন সাগালি) গ্রামের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে ২৩ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ আছে, ছাত্রীদের মধ্যে কে বা কারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক ছাত্রীর নাম করে একটি কাগজে অমার্জিত কথা লিখেছিল। যেকোনোভাবে সেই কাগজ শিক্ষকদের হাতে পড়ে। কিন্তু কে এই কাজ করেছে, তা জানাতে অস্বীকার করে শিক্ষার্থীরা। তখনই বিদ্যালয়ের দুজন সহকারী শিক্ষক ও একজন জুনিয়র শিক্ষক ছাত্রীদের স্কুলের পোশাক খুলে শাস্তি দেন। সঙ্গে ছাত্রীদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে ভারতের ‘অল সাগালি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএসএসইউ)। ২৭ নভেম্বর এএসএসইউয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পাপুম পারের পুলিশ সুপার তুম্মে আমো বলেন, মামলাটি ইটানগর নারী থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু হয়েছে।
ইটানগর নারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ওই শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কথা বলা হবে ভুক্তভোগীদের সঙ্গেও।
অল পাপুম পারে ডিস্ট্রিক্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এপিপিডিএসইউ) পক্ষ নিগৃহীত ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এপিপিডিএসইউয়ের প্রেসিডেন্ট নাবাম টাডো বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
স্কুলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ ধরনের ঘটনা শিশুমনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ঘটনার কঠোর নিন্দা করেছে অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি।