একটা ছোট্ট মেয়ে কিন্তু অলরাউন্ডার। সে ক্লাসে বরাবরই প্রথম হয় আবার নাচতে পারে,অভিনয় করে,মডেলিং করে আরও কত কি। ছোট্ট এই মেয়েটির নাম সখ। পুরো নাম সাদিকা মালিহা সখ। সখের বাবা ব্যাংকার আর মা গৃহিনী। দুই ভাই বোনের মধ্যে সখ সবার বড়। ওর ছোট একটা রাজপুত্রর মত ভাই আছে তার নাম সাদাফ। সেও মডেলিং করে। সখের রয়েছে অনেক সখ। বড় হয়ে সে কি হবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও সে ভালো মানুষ হতে চায় এটা সে নিশ্চিত করে বলতে পারে। অনেকেই মনে করে যারা অভিনয় করে তারা খারাপ হয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন পচা কথা সে অনেকের কাছেই শুনেছে। কিন্তু সখ চায় সে অন্যরকম হবে। শাবানা,কবরীর মত ভালো অভিনেত্রী হবে। সমাজকে বদলে দেওয়ার জন্য সে অনেক রকম ভালো কাজ করতে চায়। গাছ লাগাতে চায়,পরিবেশকে সুন্দররাখতে চায়। সখ এখন রাজধানী ঢাকার অন্যতম সেরা স্কুল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশোনা করছে।পাশাপাশি নাচ করছে অভিনয় ও মডেলিং করছে এবং মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর ছবিও আকছে। ওর ছবি আকার হাত খুব ভালো।
সাদিকা মালিহা সখ
একটা ছোট্ট মেয়ে কিন্তু অলরাউন্ডার। সে ক্লাসে বরাবরই প্রথম হয় আবার নাচতে পারে,অভিনয় করে,মডেলিং করে আরও কত কি। ছোট্ট এই মেয়েটির নাম সখ। পুরো নাম সাদিকা মালিহা সখ। সখের বাবা ব্যাংকার আর মা গৃহিনী। দুই ভাই বোনের মধ্যে সখ সবার বড়। ওর ছোট একটা রাজপুত্রর মত ভাই আছে তার নাম সাদাফ। সেও মডেলিং করে। সখের রয়েছে অনেক সখ। বড় হয়ে সে কি হবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও সে ভালো মানুষ হতে চায় এটা সে নিশ্চিত করে বলতে পারে। অনেকেই মনে করে যারা অভিনয় করে তারা খারাপ হয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন পচা কথা সে অনেকের কাছেই শুনেছে। কিন্তু সখ চায় সে অন্যরকম হবে। শাবানা,কবরীর মত ভালো অভিনেত্রী হবে। সমাজকে বদলে দেওয়ার জন্য সে অনেক রকম ভালো কাজ করতে চায়। গাছ লাগাতে চায়,পরিবেশকে সুন্দররাখতে চায়। সখ এখন রাজধানী ঢাকার অন্যতম সেরা স্কুল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশোনা করছে।পাশাপাশি নাচ করছে অভিনয় ও মডেলিং করছে এবং মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর ছবিও আকছে। ওর ছবি আকার হাত খুব ভালো।
আরিয়ান মোহাম্মদ দিহান
বাবার নামঃ জোবায়ের হোসাইন সোহাগ
মায়ের নামঃ লায়লা মাহাদিয়া
তিন ভাই বোনের মধ্যে দিহান দ্বিতীয়। পড়াশোনা করছে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে। মডেল হান্টিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে সে মিডিয়াতে এসেছে। এখন পর্যন্ত সে অনেক গুলো বিজ্ঞাপন করেছে পাশাপাশি ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছে। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
দুইটা তিনটা চারটা পাঁচটা দশ বারটা হামি
স্প্যাগেত্তি আর কালোজামের বন্ধুত্ব হলে কেমন হয়? তিয়াসা পাল ও ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বও ঠিক তেমনই নোনতা-মিষ্টি। কথায়-কথায় দু’জনের ঝগড়া! খানিক পরেই আবার গলা মিলিয়ে গান ধরছে, ‘ঝগড়াঝাঁটি রাগ, মারামারি ভাগ… সাতটা-আটটা হামি।’ এই দুই খুদেকে অভিনয় করতে দেখা যাবে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘হামি’তে।
দক্ষিণ কলকাতার নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তিয়াসা। ব্রত পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। পড়াশোনার ফাঁকেও শুটিং চালিয়ে গিয়েছে জোরকদমে। এ দিকে সিনেমার পোস্টারে তাদের ছবি দেখে স্কুলের বন্ধুরা ভীষণ উত্তেজিত! ব্রত লাফিয়ে উঠে বলল, ‘‘আজ বাসের মধ্যে সকলে ভুটু ভাইজান গাইতে শুরু করে দিয়েছে।
আমার আসল নামটাই তো বন্ধুরা ভুলে গিয়েছে, শুধু ভুটু বলে ডাকছে। আর বাড়িতে কী হচ্ছে বলো তো? দিদাকে সকলে ফোন করে বলছে, ‘তোর নাতির এই দেখলাম, ওই দেখলাম।’ আর দিদা বলছে, ‘তোমরা এত কী দেখলা ভাই? আমি তো এখনও কিসুই দেখতে পেলাম না।’
কথা শেষ হওয়ার আগেই ব্রত রেগেমেগে চেয়ার থেকে উঠে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল, ‘‘ও! আমাকে সবাই মোটু বলে ডাকছে? আমার কান অনেক শার্প, নাকও শার্প। আমি সব শুনতে পাই। আমি মোটু? শোন, আমার তরফ থেকে তোর বন্ধুদের বলে দিবি যে-যে-যে (ঠিক তিন বার বলার পর), আমায় এ রকম বলার পরিণাম ভাল হবে না।’’ নিজেকে মোটা বলে মানতে বিলকুল নারাজ ব্রত। তার কথায় ছবির পরিচালকদ্বয় তাকে ‘কিংকংয়ের ভাই কং’ বানিয়ে ছেড়েছে! এবং আসলে সে নাকি বিশেষ কিছু খেতে ভালবাসে না, মিষ্টি ছা়়ড়া। শুধু শুটিং চলাকালীন মাত্র তিরিশটা কালোজাম খেয়েছে!
তিয়াসার কাছ থেকে কিন্তু অন্য গল্পই শোনা গেল। এক দিন শুটিংয়ের জন্য নাকি এক বাটি স্প্যাগেত্তি আর লুচি-আলুর দম এনে রাখা হয়েছিল। তখন পরিচালকদ্বয় ব্যস্ত মনিটরে। সেই ফাঁকে গায়েব দুই টিফিনবক্সের খাবার। এ বার আসল কথাটা স্বীকার করল ব্রত, ‘‘আমাদের লোভ অনেক। এই অ্যাত্তোটা…’’ বলেই দু’হাত দু’দিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। তার পর মুখ কাঁচুমাচু করে মাথা চুলকে বলল, ‘‘সব আবার রান্না করতে হয়েছিল।
আমাদের উপর শিবুদা রেগে অ্যাটম বোম হয়ে গিয়েছিল। পুরো গোল খয়েরি বোম! মাথার উপর একটা সুতো আর তাতে আগুন লাগিয়ে দিলেই দুম ফটাস!’’ বলেই হাসতে শুরু করল। তিয়াসা খুব সাবধানী, সে আবার ব্রতকে কনুই দিয়ে ঠেলল, ‘‘তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? এই সব তো ছাপা হবে। তখন শিবুদা তোকে সত্যিই ফাটিয়ে দেবে!’’
কিন্তু একা ব্রতই খেতে ভালবাসে না, তিয়াসাও খেতে খুব ভালবাসে। তার প্রিয় খাবার মাটন বিরিয়ানি। সেটা আবার ব্রতর পছন্দ নয়। নাক সিঁটকে সে বলল, ‘‘ছাগল আবার কেউ খায় নাকি?’’ তা হলে কি মুরগি পছন্দ? সাফ জবাব তার, ‘‘নন ভেজ, ভেজ কোনওটাই পছন্দ নয়। আমার পছন্দ মাঝেরগুলো, যেমন, সয়াবিন, পনির, ধোকা…’’ তবে রোজ একটা খাবার তার মাস্ট, বকুনি খাওয়া। নিজেই স্বীকার করল, ‘‘হাতের লেখার জন্য বকুনি খাই। আসলে আমার হাতের লেখা খুবই সুন্দর। স্কুলে গিয়ে সব বাজে করে লিখি। ব্যস! বাড়ি ফিরেই বকুনি।’’
পড়াশোনা করতে ব্রতর মোটেই ভাল লাগে না। পড়াশোনার কথা উঠতেই বলল, ‘‘আমি না এ বার মাটির মধ্যে ঝাঁপ দেব!’’
সুতরাং প়ড়াশোনা থেকে সরে এলাম সিনেমা প্রসঙ্গে। পরপর ছবি করছে ব্রত, এর পরেই ‘রসগোল্লা’, তার পরে ‘কণ্ঠ।’ কিন্তু সিনেমা, শুটিংয়ে তার আগ্রহ নেই খুব একটা। ইচ্ছে বিজ্ঞানী হওয়ার। মঙ্গল, ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো… এই সব গ্রহ সম্পর্কেই জানতে চায় সে। অন্য দিকে তিয়াসারও বড় হয়ে গায়িকা হওয়ার ইচ্ছে।
সিনেমা করার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ না থাকার মিল দেখে দু’জনেই বেশ খুশি হয়ে গেল। এত ক্ষণ ধরে দু’জনে মাঝেমধ্যেই একে অপরের কান ধরে টানাটানি করছিল। এ বার ঠোকাঠুকি ছেড়ে হেসে হাত মেলাল। কিন্তু এত ঝগড়াঝাঁটি করলেও তাদের বন্ধুত্ব অটুট। মাঝেমধ্যেই তারা হানা দেয় একে অপরের বাড়িতে। তাদের কথায়, ‘হামি’ ছবিতেও তাদের বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করেই মূল গল্প এগোয়। কিন্তু ক্রমশ তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে এত কিছু চলে আসে যে, বন্ধুত্ব রক্ষা করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
এর চেয়ে বেশি ছবির গল্প অবিশ্যি তাদের কাছে থেকে আদায় করা গেল না! তিয়াসা ইশারায় বোঝাতে লাগল, তাদের নাকি এ সব বলা বারণ। ব্রত অনেক ক্ষণ ভেবে গম্ভীর গলায় বলল, ‘‘আমি কনট্র্যাক্ট সই করেছি, আমার সব বলা বারণ।’’
‘হামি’র গল্প না বললেও, প্রিয় সিনেমা নিয়ে গল্প জুড়ে দিল দুই খুদে। দু’জনেই সিনেমা দেখতে ভালবাসে। তিয়াসার ভাল লাগে এমন সিনেমা, যাতে কোনও বার্তা রয়েছে। ‘তুমহারি সুলু’ ওর খুব ভাল লেগেছে শুনে মুখ ভেংচাল ব্রত, ‘‘…‘তুমহারি সু্লু’? এটা আবার কোন সিনেমা? আমার তো ভাল লাগে ‘পদ্মাবত’ আর ‘বা-হু-উ-উ-বলী’…’’ মনে হল, তার বোধহয় বড় হয়ে বাহুবলীর মতো হিরো হওয়ার ইচ্ছে। চিৎকার করে চেয়ার থেকে লাফিয়ে নেমে প়ড়ল ব্রত, ‘‘হিরোগুলো সব ছাই লাগে আমার। আমি হব ‘ভ-ল্-লা-ল-দে-ব।’’ গম্ভীর গলায় নামটা বলেই কাল্পনিক তরোয়াল হাতে ব্রত যুদ্ধ শুরু করল। অতঃপর আড্ডা শেষ করতেই হল।
আরো পড়ুন:
ছোট্ট বন্ধু অদ্বিতীয়ার ভালো কাজের গল্প
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে চারদিকে সব কিছু থেমে গেছে। স্কুল ছুটি হয়ে গেছে,অফিস বন্ধ হয়ে গেছে।সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছে আমাদের ছোটরা।বাইরে যেতে না পারলে কি আর মন ভালো থাকে?
এই সময়ে বড়দের সহযোগিতায় ছোটরাও তাদের সময়টাকে কিছুটা হলেও আনন্দে কাটাতে পারে। ক্লাসের পড়া আর কতক্ষনইবা পড়া যায়? টিভিইবা কতসময় দেখা যায়? কোন কিছুই টানা করে যাওয়া যায় না। আর সারাদিন বাসায় থাকলে ঘরদোর নোংরা হতে পারে।
এই সময়ে তাই একটি রুটিন করে সময় কাটানো যেতে পারে। অদ্বিতীয়া এই সময়ে বাসায় অনেক কিছু করছে। শুধু পড়াশোনা,খাওয়াদাওয়া আরটিভি দেখা নয় বরং সে বাবা মাকে সাহায্য করার জন্য বাসার কিছু কিছু কাজও করছে।
সব কাজতো সে করতে পারবে না তাই সে যে কাজ গুলো পারে তা করতে চেষ্টা করছে। এই যেমন ঘর ঝাড়ু দেওয়া,মব দিয়ে ঘর মোছা,ওয়ারড্রব গুছিয়ে রাখা। বিছানা গুছিয়ে রাখা,পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখা। এতে করে বাবা মায়ের কাজ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এ সবই হচ্ছে বাবা মায়ের উত্তম শিক্ষার মাধ্যমে।
ছোটদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন দেখবে ওরাও অদ্বিতীয়ার মত নিজের কাজ গুছিয়ে রাখবে এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হবে।
ছবিঃ অদ্বিতীয়ার বাবা মাসুক এলাহীর পক্ষ থেকে।
ছোট থেকেই গড়ে উঠুক ভালো অভ্যাস
ছোট থেকেই আমাদের শিশুদের মধ্যে গড়ে উঠুক ভালো অভ্যাস। তাহলেই বড় হয়ে তারা সেই অভ্যাসগুলির কারনে সমাজকে বদলে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজ আমরা তুর্য আর তুর্ণ নামে দুই ভাইয়ের গল্প বলবো। দুজনই মডেলিং করে,অভিনয় করে। দূরন্ত টেলিভিশনে তুর্যতো জনপ্রিয় একটি মুখ। মেছো তোতা গেছো ভূত যারা দেখেছে তারা নিশ্চই তুর্যকে চিনবে। এছাড়াও বিজ্ঞাপনে তুর্য নিয়মিত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ করে ওদের যখন শ্যুটিং থাকে না তখন ওরা দুই ভাই মিলে বাসায় সবাইকে নানা ভাবে সাহায্য করে।ওদের বাসায় বড়রাও দারুন অনুপ্রেরণার গল্প তৈরি করেছে। তুর্য আর তুর্ণ যে নানা ভাবে হেল্প করছে সেটা তারা করছে নিজ দায়িত্বে কিন্তু বড়রা তার বিনিময়ে ওদের সম্মানি দিচ্ছে ফলে কাজগুলো করে ওরা আরো বেশি আনন্দ পাচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে অথবা অবসরে তূর্য, তূর্ণ ঘরের টুকটাক কাজে সাহায্য করে( যেমন- ঝাড়ামোছা, বাবার মাথা বিলি,ফুপির চশমা আনা,দাদীর রসুন বাছা,নিজের পড়ার টেবিল গুছানো ইত্যাদি) করে ১০,২০,৫০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে।এখান থেকে ওরা কিছু নিজেদের ইচ্ছে মতো খরচ করে কিছু জমায়। এই যে ভালো অভ্যাস তৈরি হচ্ছে,টাকা জমাচ্ছে,অন্যকে হেল্প করছে এটি সত্যিই খুব দরকার। প্রত্যেকের উচিত ছোটদের এসব শেখানো।
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন থেকে আগামী দুইদিন ওদের আরো কিছু কাজের বিনিময়ে যা পারিশ্রমিক দেয়া হবে সেটা এবং আগের কিছু অংশ সহ একটা অংশ ওরা “বিদ্যানন্দ” কে ডোনেট করবে।হয়তো সেটা সামান্য তবুও ওদের জন্য অনেক আনন্দের………. সবাই সহযোগীতার হাত বাড়াই,হয়তো কষ্টের সময় তাড়াতাড়ি শেষ হবে।ইনশাআল্লাহ।
আমরা চাই ছোটরা বেড়ে উঠুক তুর্য,তুর্ণর মত দারুণ পরিবেশে যেখানে বড়রা ছোটদের উৎসাহ দিবে,ভালো কাজের প্রতি আকর্শন বাড়াবে আর ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠবে।
— জাজাফী
হাত ধোয়ারও কিছু নিয়ম আছে
পৃথিবীতে আজ মহামারি আকারে করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু করোনা ভাইরাস নয় বরং অন্যান্য অনেক কিছুই প্রতিনিয়ত আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে। হাতের মাধ্যমে মুখ হয়ে সেটা আমাদের শরীরে প্রবেশ করেছে তাই দরকার জরুরী সচেতনতা।
করোনা প্রতিরোধে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে হাত ধোয়ার বিষয়টিকে। বেসিক পার্সোনাল হাইজিন মেনে চলতে হবে। এ ছাড়াও যাদের ঠাণ্ডা লেগেছে, হাঁচি-কাশি হচ্ছে, তাদের থেকে দূরে থাকা, মাস্ক পরা এগুলো তো থাকছেই।
হাত ধোয়া বনাম হ্যান্ড স্যানিটাইজার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাত না-ধুয়ে শুধু স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই হাত থেকে সব ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়া তাড়ানো যায় না। তাই যখন হাত ধোয়ার জন্য আপনার কাছে একেবারেই জল নেই, শুধুমাত্র তখনই শুধুমাত্র স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। একইসঙ্গে, হাত সাবান দিয়ে ধুলেই যে আপনার হাতের সব জীবাণু উধাও হয়ে যাবে, তাও সঠিক নয়। তাহলে কী করবেন? দেখে নেওয়া যাক, ভাইরাস হাত থেকে দূর করতে হলে কী উপায়ে হাত ধুতে হবে।
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
১. পরিষ্কার রানিং ওয়াটারে হাতটা প্রথমে ভিজিয়ে নিন। এ বার কনুইয়ের সাহায্যে কলটা বন্ধ করুন। হাত দিয়ে কল বন্ধ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
২. সাবানের সাহায্যে হাতে-আঙুলে ফ্যানা তৈরি করুন।
৩. খেয়াল রাখবেন, ফ্যানা যেন হাতের পেছন দিক, আঙুলের ফাঁক ও নখের নিচ পর্যন্ত পৌঁছায়।
৪. অন্তত ২০ সেকেন্ড দুটো হাত ঘষাটা জরুরি। এর ফলে হাতের ময়লা, ত্বকের মাইক্রোবগুলি ওঠে যায়।
৫. কতক্ষণ ধরে হাত ধোবেন? এক কাজ করুন। হাত ধোয়ার সময় হ্যাপি বার্থ ডে গানটা দুবার গান। সেই সময় ধরেই হাত ধুতে হবে।
৬. হাত ঘষে ধোয়া শেষ হলে ফের পরিষ্কার রানিং পানিতে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৭. শুধু নিজে ব্যবহার করেন, এমন পরিষ্কার তোয়ালে নিয়ে হাতটা মুছে নিন বা এয়ার-ড্রাই করে নিন।
এসব নিয়ম মেনে চলুন সুস্থ থাকুন। সতর্ক থাকুন।
যে বিষয়গুলো ছেলেদের শেখানো দরকার!
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা নিজেরাই ছেলে মেয়েদের লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য সৃষ্টি করে থাকি। রান্না করা এবং পরিষ্কারের মত মৌলিক বিষয়গুলির ক্ষেত্রে শিশুদের তাদের লিঙ্গ ভিত্তিক বিভক্ত করা হয়। এখানে কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা শেখার জন্য প্রতিটি ছেলেকে উৎসাহিত করতে হবে-
১. মেয়েদের মতো, সব ছেলেদের ‘ভালো স্পর্শ’ এবং ‘খারাপ স্পর্শ’ এর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখানো উচিত। ছেলেরা যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হন তবে তাদের কথা বলতে শিখাতে হবে। অনেকেই এই ভুল ধারণা করে থাকে যে, শুধুমাত্র মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু একইভাবে একটি ছেলেও যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে।
২. ছেলে, কেঁদোনা- এটা একটা সাধারণ ধারণা। ছেলেদের সাধারণত বোঝানো হয় কান্নাকাটি বা আবেগ প্রকাশ কর ঠিক আছে, কিন্তু এটা পুরুষোচিত নয়। ছেলেদের আবেগ চেপে রাখতে হয় কারণ তাদের বিশ্বাস করানো হয় যে আবেগ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। এ ধারণা থেকে ছেলেদের বের করে নিয়ে আসতে হবে।
৩. একটি ছোট্ট মেয়ে যদি রাতের একটি পার্টিতে অংশগ্রহণ করতে চায় বা অন্য কোথাও যেতে চায় তবে তার পিতা-মাতার সম্মতি নিতে হয়। কিন্তু কোন ছেলেকে এমন সম্মতি নিতে হয় না। কারণ সে বিশ্বাস করে যে সম্মতি চাওয়া পুরুষ মানুষের কাজ নয়, যা ভুল। একটি ছেলেকে খুব অল্প বয়স থেকে সম্মতি চাওয়ার গুরুত্ব শেখানো উচিত।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কোন রকেট বিজ্ঞান নয় এবং এটির জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকেও তাদের মায়েদের সাহায্য করার জন্য উৎসাহিত করতে পারি।
৫. নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য খাদ্য একটি মৌলিক প্রয়োজন। তাই ছেলেদেরও রান্না করা শেখায় কোন ক্ষতি নেই। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের তাদের মেয়েদের মতো ছেলেদেরও অল্প বয়সে রান্নাঘরের কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত।
সূত্র : দি টাইমস অব ইন্ডিয়া
আপনার ছেলে সন্তানকে যা শেখাবেন
ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখা মাত্রই পারিবারিক নির্যাতন, ইভ-টিজিং কিংবা এসিড নিক্ষেপের খবর চোখে পড়ে। আর তাই নারীদের নিরাপত্তার জন্য অভিভাবকরা মেয়েকে খুব করে সাবধান করে দেন, মার্জিত পোশাক পরিয়ে রাখেন কিংবা একা কোথাও যেতে দেন না। কিন্তু নিজের ছেলে সন্তানটিকে নারীর প্রতি সম্মান দেখাতে শেখাচ্ছেন তো? ছেলেকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি এই শিক্ষাটাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। জেনে রাখুন ছেলে সন্তানটিকে কীভাবে নারীকে সম্মান করা শেখাবেন সেই সম্পর্কে।
কান্না খারাপ নয়
ছোটবেলা থেকেই ছেলেদেরকে শেখানো হয় ‘কান্না তো পুরুষের কাজ নয়, এটা মেয়েদের
কাজ’। এই কথাটি ছেলেদের মনে খুব বিরূপ প্রভাব ফেলে। নিজের খারাপ লাগার
অনুভূতি প্রকাশ করতে দিন তাকে। শুধু নারীরাই কাঁদবে এবং কাঁদাই স্বাভাবিক,
এই ধারণা যেন তার মনে গেঁথে না যায়।
ঘরের কাজে সাহায্য করতে বলুন
ঘরের কিছু কাজ মেয়ের পাশাপাশি ছেলে সন্তানকেও ভাগ করে দিন। শুধু মেয়েটিই
কাজ করবে এবং ছেলেটি বসে গেম খেলবে এমনটা যেন না হয়। এতে ছেলেটির মনে ধারণা
তৈরি হয় যে ঘরের কাজ শুধু নারীদেরই দায়িত্ব। সেই সঙ্গে কাজ না শেখার কারণে
জীবনের চলার পথেও নানান ঝামেলায় পড়তে হয়।
সাহসী নারীর গল্প শোনান
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাহসী নারীদের গল্প শোনান ছেলে সন্তানটিকে। আমাদের
মুক্তিযুদ্ধে সাহসী নারীদের অবদানও জানান। দেশের এবং বিদেশের সফল নারীদের
জীবনী পড়ে শোনান তাকে। এতে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি হবে মনে।
নিজে শ্রদ্ধা করুন
ছেলেকে শেখানোর আগে নিজেকে শুধরে নিন। ছেলের সামনে কোনো নারীকে কটাক্ষ করে
কথা বলবেন না। স্ত্রীর সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করুন। পথে-ঘাটে নারীদেরকে
সম্মান প্রদর্শন করুন। ভুলে যাবেন না, আপনার সন্তান আপনাকে দেখেই শিখছে।
ফেমিনা।
ছোট্ট মেয়ের কানের দুলের সৌন্দর্য
ছোট্ট শিশুর কতই-না বায়না। কখনো খেলনা কেনার শখ, কখনো আবার শখ মায়ের মতো গয়না পরার। মা-বাবারও কখনোসখনো শখ হয় আদুরে মেয়েটিকে সাজানোর। তবে শিশুর কানে গয়না পরানোর আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের থেকে।
স্বস্তি পাবে এমন দুল পরাতে হবে শিশুর কানে মডেল: মোহনা ছবি: খালেদ সরকার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দীন খান জানালেন, শিশুর কানের লতির গঠন সম্পন্ন হওয়ার আগে কান ফোঁড়ানো ঠিক নয়, এতে শিশুর কানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই শিশুর জন্মের পরপরই যাঁরা শখ করে কান ফুঁড়িয়ে নিতে চান, তাঁদের নিরুৎসাহিত করলেন তিনি।
যেকোনো বয়সে কান ফোঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি জানিয়ে রাখলেন আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কানের লতি ছাড়া অন্য কোনো অংশ ফোঁড়ানো উচিত নয় কারোরই। লতি ছাড়া অন্য অংশ ফোঁড়াতে গেলে অনেক সময় কানের আকৃতি বিকৃত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানালেন তিনি।
তবু ইচ্ছেরা তো ডানা মেলবেই। সাবধানে থেকেই ইচ্ছেপূরণ করতে শিশুর জন্য কৃত্রিম কানের দুল কেনার পরামর্শ দিলেন মিউনিজ ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন। কান না ফুঁড়িয়েই এগুলো পরানো যায়। আজকাল বাজারে বিভিন্ন কানের দুলে কার্টুনসহ নানা মজার অবয়ব দেখা যায়। এমন কিছুই বেছে নিতে পারেন ছোট্টমণির জন্য।
কান ফোঁড়ানোর আগে ও পরে
জেনে নিন অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দীন খানের কিছু পরামর্শ—
সাধারণত সাত-আট বছর বয়সে শিশুর কানের গঠন সম্পন্ন হয়। তবে কেউ আগেই তা করতে পারেন। কারও আবার একটু দেরিও হতে পারে। কানের গঠন সম্পন্ন হয়েছে কি না, তা বুঝতে কোনো রকম সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কোনো ঝুঁকি নেবেন না।
শিশুর কান ফোঁড়ানোর আগে রক্তের ব্লিডিং টাইম ও ক্লটিং টাইম নামক দুটি পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেওয়া উচিত। কারও কারও কান-নাক ফোঁড়ানোর পর রক্তক্ষরণ ও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরীক্ষা দুটি করিয়ে জেনে নিন, আপনার শিশুর তেমন আশঙ্কা রয়েছে কি না। পরীক্ষার ফলাফলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
শিশুর কানে সোনার অলংকারই পরাতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে খেয়াল রাখুন, অলংকারের কোনো উপাদানে শিশুর অ্যালার্জি রয়েছে কি না। কোনো নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরি অলংকারে অ্যালার্জি ধরা পড়লে ভবিষ্যতে তা কখনোই শিশুর কানে দেবেন না।
কখনো ফোঁড়ানোর স্থানে জীবাণুর সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এমনকি শিশুর কানের দুলে টান লেগে বা ঘুমানোর সময় চাপ লেগে শিশু কোনো অস্বস্তিতে পরলে, শিশুর কান ব্যথা করলে বা কানের রঙে কোনো পরিবর্তন এলে কখনোই নিজেরা কোনো ধরনের চিকিৎসার চেষ্টা করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
তানজিমা শারমিনের কাছে জেনে নিন শিশুর কান ফোঁড়ানোর নিরাপদ উপায়
কান ফোঁড়ানোর সময় প্রাথমিকভাবে যে দুলটি পরিয়ে দেওয়া হয়, সেটি দু-তিন দিন পর খুলে ফেলা হয়। এ কাজটি বাড়িতে নিজেরা চেষ্টা না করাই ভালো। ঠিকমতো তা খোলা না গেলে পরে কানে দুল পরতে অসুবিধা হতে পারে। তাই এ কাজেও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাহায্য নিন।
প্রাথমিকভাবে পরানো দুল খুলে নেওয়ার পর সাধারণত অভিভাবকের আনা দুল পরিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত অভিভাবকেরা ২২ ক্যারেট সোনার দুল আনেন। এই দুলজোড়া বেশ কয়েক দিন একটানা পরিয়ে রাখতে হবে, তাই কেনার সময় শিশুর স্বস্তির কথা খেয়াল রাখুন। পুশ লাগানো কানের দুল অনেক সময় শিশুর কান থেকে খুলে যায়। তাই রিং-জাতীয় দুল কিনতে পারেন।
কোনো কোনো শিশু কান ফোঁড়াতে ভয় পেতে পারে। তাকে আশ্বস্ত করুন, এতে তার কোনো ব্যথা লাগবে না। কান ফোঁড়ানোর আগে ব্যথারোধী স্প্রে দিয়ে নেওয়া হয়।
লেখকঃ রাফিয়া আলম
কান ফোড়ানোর সখ ও সৌন্দর্য
বড় হয়ে মেয়েটি কানে পরবে দুল, বাহারি গয়না। তাই কান ফোঁড়াতে হবে আগেই। আগে
দেখা যেত গ্রামের নানি-দাদিরা কাঁথা সেলাইয়ের সুই দিয়ে কান ফুঁড়িয়ে দিতেন।
ফোঁড়ানোর পর কানে সুতা পরিয়ে দেওয়া হতো। কয়েক দিন পর সেটা খুলে কানে
দুল পরিয়ে দিতেন। তবে এখন এ কাজটা করা হয় বিভিন্ন বিউটি পারলারে। ‘আগে ছয়
মাসের বাচ্চা থেকে শুরু হতো কান ফোঁড়ানো। এখন বয়স আরও বেশি হলে কান
ফোঁড়ানো হয়। মোটামুটি ১২ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের কান ফোঁড়ানোর কাজটা
সেরে ফেলা ভালো। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের গঠনের
পরিবর্তন হয়, কানের হাড় শক্ত হয়ে যায়। ফলে কান ফোঁড়ালে কানে ইনফেকশনের
সম্ভাবনা বেশি থাকে।’—বলছিলেন রেড বিউটি স্যালনের স্বত্বাধিকারী আফরোজা
পারভীন। কান ফোঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি দিলেন কিছু পরামর্শ।
মডেল: জেরিন। ছবি: নকশাl প্রথমেই যার কান ফোঁড়ানো হবে তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পারলারে যে সময়টাতে কান ফোঁড়ানোর জন্য আনা হবে, সে সময়টাতে ছোট্টমণির কানের লতিতে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। এরপর সুইযুক্ত বিশেষ যন্ত্র (গান) দিয়ে কান ফোঁড়ানো হয়।
কান ফোঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই কানে গোল্ড প্লেটেড বা ইমিটেশনের কানের দুল পরানো যেতে পারে। তবে তিন দিনের বেশি দুলটা কানে রাখা যাবে না। কারণ, এতে ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে।
তিন দিনের মাথায় কানে সোনার ছোট্ট দুল পরাতে হবে ইমিটেশনের জিনিস খুলে।
যেদিন যে মুহূর্তে কান ফোঁড়ানো হবে, শরীরের কোথাও কোনো ধরনের ইনফেকশন আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। সহজ, স্বাভাবিক, সুস্থ অবস্থায় থাকলে তারপর কান ফোঁড়াতে হবে।
কান ফোঁড়ানোর পরে লেবু, কমলার মতো ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেলে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়।
যেসব খাবারে শিশুর অ্যালার্জি আছে, সেসব একেবারেই খাওয়ানো যাবে না।
কান ফোঁড়ানোর স্থানে যদি পেকে যায় বা ইনফেকশন হয়ে যায়, ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে শুকিয়ে যায়।
যদি সুচ দিয়ে কান ফোঁড়ানো হয়, তবে সুচটাকে মোমের আগুনে পুড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
অনেক সময় কানের পেছনের অংশে বাচ্চারা পরিষ্কার করতে দেয় না। এতে ইনফেকশন হতে পারে।
কান ফোঁড়ানোর সময় যে স্থানটা ফোঁড়ানো হবে, সেটা অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কান ফোঁড়ানোর পরে অভিভাবকদের প্রতিদিন একবার করে দেখতে হবে কানের অবস্থা কী।
ঘুমানোর সময় শিশুকে নরম বালিশ দিতে হবে।
খেলতে গিয়ে বা কোনোভাবে ব্যথা যেন না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ফোঁড়ানোর স্থানে নিজে বা অন্য কেউ হাত দিলে অনেক সময় কানে ইনফেকশন হতে পারে।
ইনফেকশন হলে
কান ফোঁড়ানোর পর অনেক সময় জায়গাটা পেকে যায় বা ইনফেকশন হতে পারে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব মোতানাব্বি জানান, ‘সাধারণত এক বছরের নিচের বাচ্চাদের চামড়া, হাড় নমনীয় থাকে, তাই এ সময়ে তাদের কান না ফোঁড়ানোই ভালো। অবশ্যই কান ফোঁড়াতে যারা দক্ষ,ÿতাদের দিয়ে কান ফোঁড়ানোটা ভালো।
কান ফোঁড়ানোর সময় যথাযথভাবে হাত ধোয়া, হাতে গ্লাভস পরা—এ রকম জীবাণুমুক্ত উপায়ে করতে হবে। কান ফোঁড়ানোর আগে জানতে হবে শিশুকে ধনুষ্টঙ্কারের টিকা দেওয়া আছে কি না। না থাকলে টিকা দিয়ে নিতে হবে। কান ফোঁড়ানোর পরে ক্ষতস্থানে পুঁজ হলে বা পাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে দিতে হবে। কান ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে ক্ষতস্থান যেন জীবাণুমুক্ত, ধুলোবালিমুক্ত থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কোনোভাবেই ক্ষতস্থান শুকানোর আগে যেন ভেজা না থাকে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ক্ষত শুকাতে সহায়তা করে। যেহেতু ছোট্টমণিদের পাতলা চামড়া, তাই কান ফোঁড়ালে সেটা শুকিয়ে যায়। কিন্তু চামড়ার মধ্যে নরম হাড় বা তরুণাস্থিতে ফোঁড়ালে সেটা সহজে শুকিয়ে যাবে না। তাতে জীবাণু সংক্রমণ হবে। কান ফোঁড়ানোর সময় অবশ্যই খেয়াল করতে হবে কানের কোন জায়গায়, কোন পদ্ধতিতে সতর্ক এবং জীবাণুমুক্ত উপায়ে করা হচ্ছে কি না। কোনো ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা হলেও সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে যেন জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ না থাকে।’
লেখকঃ নাঈমা আমিন