শুধু মাত্র রাজকন্যা হয়ে থাকার সেই রূপকথার দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো। এখন রাজকন্যারা শুধু রঙ্গীন ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে না বরং সত্যি সত্যিই তারা এখন নানা ভাবে নিজেদেরকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে শুরু করেছে। এখনতো রাজকন্যারা হরহামেশাই এভারেষ্টের চুড়ায় উঠে দেশের পতাকা ওড়াচ্ছে। আজ আমরা তেমনই এক রাজকন্যার গল্প শুনবো যে ভালো বাসে গণিত। ওর নাম সুবহা নাওয়ার পুষ্পিতা, চলতি বছরের গণিত উৎসবে সারা দেশের মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়ে পেয়েছে ‘লুৎফর রহমান স্মৃতি গণিত পুরস্কার’। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেবে পুষ্পিতা। তার মা জেসমিন রোজি গৃহিণী।গণিতে পুষ্পিতার সবকিছুই ভালো লাগে। প্রতিটা বিষয় দক্ষতার পার্থক্য থাকলেও সব ভালো।পুষ্পিতার মা যখন ওর মত ছিল তখন তিনি অবশ্য বীজগণিতকে খুব ভয় পেতেন।
পুষ্পিতা গণিতের রাজকন্যা হলেও সে কিন্তু বই পড়তেও ভালোবাসে।ওর প্রিয় যেকোনো গণিতের বই। তবে প্রিয় বই আলেক্সান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ।এরকম একজন মানুষ যখণ বলেছে তার প্রিয় বই আলেক্সান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ তার মানে বন্ধুরা এই বইটি আমরা পড়ে দেখতেই পারি।আমরা অবাক হয়ে দেখলাম গণিত প্রেমী এই রাজকন্যাটির প্রিয় ব্যক্তি সত্যজিৎরায় আর প্রিয় সিনেমা? অ্যানিমেটেড সিনেমা মোয়ানা। আমরা সবাই জানি বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুদে ভক্ত আছে মোয়ানার এমনকি বড়রাও এর ভক্ত। আর যে কোন ধরনের অ্যানিমেশানতো সবারই প্রিয়। যেমন কুংফু পান্ডাতো এক কথায় অসাধারণ।
আমরা বলছিলাম পুষ্পিতার কথা।ভিকারুননিসা নুন স্কুলের এই মেধাবী গোটা বাংলাদেশের সব মেয়েদের মধ্যে গণিতে সেরা বলে নির্বাচিত হয়ে নিজেকে যেমন চিনিয়েছে তেমনি নিজের স্কুলকে সম্মানিত করেছে।আমাদের প্রতিটি অর্জন আমাদের পরিবার বন্ধু স্কুল সবার জন্য সম্মানের।একবার পুষ্পিতা চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে গিয়েছিল সেই স্মৃতি সে এখনো ভুলতে পারেনি। সুযোগ পেলেই সে আবার চীনের মহাপ্রাচীর ঘুরতে যাবে। বহু বছর আগে চেঙ্গিসখানের বাহিনীর আক্রমন থেকে বাচার জন্য এই মহাপ্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল বলে অনেকে মত দিয়ে থাকেন। কিছুদিন আগে সাকিব আল হাসানওকিন্তু চীনের মহাপ্রাচীরে ভ্রমন করতে গিয়েছিল।
পুষ্পিতা অবসের গণিত আর বিজ্ঞানের নানা সমস্যার সমাধান করে এবং নিজেই সমস্যা তৈরি করে অন্যদেরকে সেটা সমাধান করতে দেয়।এভাবে করলে জ্ঞান বাড়ে বুদ্ধি বাড়ে। আর বুদ্ধি বাড়লে কি হয় তাতো দেখতেই পারছো। পুষ্পিতা তার মেধার জোরে সারা দেশের মধ্যে সেরা হয়েছে! এসো সবাই মিলে পুষ্পিতাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তবে ওকে এখন বিরক্ত করা যাবেনা কারণ ও এখন এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। ওর পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই ওকে নামতে হবে ভর্তি পরীক্ষার লড়াইয়ে। ওর জন্য অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।