যদি প্রশ্ন করা হয় আপনার কিশোরী মেয়েটি কি নিরাপদ ধর্ষকের হাত থেকে? আপনি কি উত্তর দিবেন? আজ দেশের কোথাও শিশু কিশোর কিশোরী নিরাপদ নয়। যেদিকে তাকাই কিছু কুলাঙ্গার বিকৃতযৌনক্ষুধায় আক্রান্ত পশুর লালায়িত জিহ্বা বের করে থাকতে দেখি। তাদের হাত গুলো যেন হিংস্র হায়েনার মত ধারালো নখ নিয়ে ওৎ পেতে আছে শিশু কিশোর কিশোরীকে ছোবল মারবে বলে। যে সন্তানটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে,ভাল রেজাল্টের কথা ভেবে আমরা কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছি সেই শিশু কন্যাটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক দ্বারাই লাঞ্চিত হচ্ছে। আপনার কিশোরী মেয়েটি কি নিরাপদ ধর্ষকের হাত থেকে? না মোটেই নিরাপদ নয়। শিশু কন্যার শিক্ষাকে আরো প্রবল করতে যখন গৃহশিক্ষক রাখছি তখনো সে নিরপাদ নয়। আমার আপনার অনুপস্থিতিতে গৃহশিক্ষক দ্বারাও অগণিত শিশু কন্যা কিশোরী নিযার্তিত হচ্ছে।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোচিং সেন্টারে শিশুটি পড়তে যায়। কোচিং শুরু হওয়ার আগে সেখানকার এক শিক্ষক শিশুটিকে একা প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে স্থানীয় এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। শিশুটিকে প্রথমে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিবচর থানা-পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিক্ষককে পুলিশ আটক করে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আলবিধান মোহম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার এক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। শনিবার সকালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।’
শিবচর থানার কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে রাতেই এক কলেজছাত্রকে আটক করেছি। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার এখনো মামলা করতে আসেনি। এলে মামলা নেওয়া হবে।’
এখন কথা হচ্ছে মামলা হলেও ওই আসামীর কতটা সাজা হবে সেটা দেখার বিষয়। বিগত দিনগুলিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষকদের ছাড়া পাওয়ারঘটনা আমাদেরকে আরো বেশি শঙ্কিত করে তুলছে।