দেশের ৩৯ শতাংশ শিশুর পেটে কৃমি। শিশু অপুষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ কৃমির সংক্রমণ। কৃমি সংক্রমিত শিশু স্কুলে ভালো করে না। নিয়মিত কৃমিনাশক খেলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানলে কৃমি দূর করা যায়। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বড়।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কথা বলেন। কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সামনে রেখে অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। ৪ নভেম্বর থেকে সারা দেশের স্কুলশিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো শুরু হবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছর যে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হবে, তা নিরাপদ। এর মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৪ থেকে ৯ নভেম্বর দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হবে। এরপর ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বর সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে এই বড়ি খাওয়ানো হবে।