১৯৫২ সালে ঢাকায় আসে এক শিশু তখন তার বাবা কারাগারে ছিল। এরপর তার বাবাকে বদলি করে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে। তার বাবার বদলির কারণে তারাও ফরিদপুরে চলে যায়। ১৯৫৪ সালে তার বাবা আবার তাদের পরিবারসহ ঢাকায় আসল। সেই শিশুটি ছোট থেকেই বাবার অভাববোধ করতেন।
এরপর সেই শিশুটির বাবা মিনিস্টার ছিলেন। আর শিশুটিকে স্কুলে ভর্তি করা হলো। যখন শিশুটি কারাগারে তখন তারা বাড়ি ছাড়া হলেন। তার বাবা কারাগারে থাকার কারণে বার বার স্কুল থেকে নাম কেটে দেওয়া হতো। ৭ই মার্চের পর তাদের পরিবারকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তিনি সন্তান সম্ভাবনা ছিল। তাদের পুরান ঢাকায় একটি সরু গলিতে একটি বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় থাকতে দেওয়া হয়। তাদের কাছে কোনো কিছুই ছিল না। তাদের সরকারিভাবে একটি কম্বল দেওয়া হয়। তাদের কোনো গোপনীয়তা ছিল না। তার যখন একটি মেয়ে শিশু হলো, তখন তাদের কাছে শিশুটিকে পড়ানোর কোনো কাপড় ছিল না। তারা হাসপাতালের কাপড় দিয়ে মেয়ে শিশুটিকে রাখে। পাশের কক্ষেই তার একজন বান্ধবি ছিল। বান্ধবীরও শিশু হয়েছিল। সেই বান্ধবিও তার শিশুকে হাসপাতালের কাপড় রেখেছিল তাই তিনি পরে তার শিশু ও সেই মেয়ে শিশুর জন্য কাপড় কিনে। আর সেই শিশুটিকে কাপড় দেয়।
১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও তারা কারাগারে থেকে মুক্তি পান না। এই কষ্টে যিনি জীবনযাপন করেছেন তিনি দীর্ঘ দশ বছর ধরে রাজনীতির মাধ্যমে দেশ উন্নয়ন করে চলেছে। আজ তিনি মুক্ত।
লেখাঃ ফাহিদা ইসলাম ; পঞ্চম শ্রেণী ;
প্রতিষ্ঠান: ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ
অনুর্ধ্ব আঠারো লেখক সন্ধান ; ছোটগল্প ; প্রাথমিক বিভাগ
আরো পড়ুনঃ আমি বৃক্ষ বলছি