আজ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সোনার ছেলেরা মেয়েরা আনন্দে মেতে উঠেছে।তারা আজ গোল্ডেন পেয়ে আনন্দে উল্লাসে জানিয়ে দিচ্ছে তারা বিজয়ী। তেমনই একদল স্বর্ণকিশোরী মেতে উঠেছিল ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে।সকাল গড়িয়ে সবে মাত্র সুর্য তার উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে।আকাশী সাদায় মিশে তখন একটু একটু করে জমছে ভিকারুননিসার স্বর্ণকিশোরীরা।
বেলা দেড়টা বাজে। রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। স্কুলের বারান্দায় ড্রামের স্টিক হাতে ঘুরছে কয়েকজন। ফলাফল ঘোষণা হলেই ওরা ছুটবে মাঠে। বেলা পৌনে দুইটার দিকে স্কুলের মূল ফটকের পাশে ফলাফল সাঁটানো বোর্ড রাখা হয়। উদ্গ্রীব পরীক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেখানে। বোর্ডের সামনের জটলা থেকে কিছুক্ষণ পরপরই শোনা যাচ্ছিল আনন্দ চিৎকার। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যায় ড্রাম বাজিয়ে উদ্যাপন।
আজ রোববার সারা দেশে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার পাসের হার ৯৯.৮৮ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বলছেন, তাঁর স্কুলের মেয়েরা ভালো করেছে। স্কুলের সামগ্রিক ফলাফল আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
মায়ের সঙ্গে স্কুলে এসেছে আফরিন রহমান। তবে ফলাফল জানতে নয়, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। মা ইয়াসমিন রহমান বলেন, ‘মেয়ে তো সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ওর খুশিই আমার খুশি। রেজাল্ট জানার পর বাসায় থাকতে চায়নি।’
ফলাফল জানার পর বিজ্ঞান বিভাগের আদ্রিন সারওয়ারের চোখমুখে ছিল উচ্ছ্বাস। জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। আশিফা তাসনিম একটু বেশিই খুশি। কারণ জিজ্ঞেস করতেই সে বলে, ‘পরীক্ষা দেওয়ার পর একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। রেজাল্ট জানার আগ পর্যন্ত খুব টেনশন হচ্ছিল। জিপিএ-৫ পেয়েছি। তাই একটু বেশিই ভালো লাগছে।’
পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনিন ফেরদৌস সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার পরীক্ষা দিয়েছে ১ হাজার ৬১২ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১ হাজার ৬১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৪১ জন। বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বাণিজ্য বিভাগে দুজন অকৃতকার্য হয়েছে।
ফলাফলে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনিন ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের রেজাল্ট অত্যন্ত ভালো হয়েছে। গতবারের চেয়ে ভালো। আমরা সবাই খুশি।’ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা ভালোভাবে গাইড করেছেন এবং সবাই সচেতন ছিল। প্রশ্ন ফাঁসের কোনো বিষয় তাঁর কাছে আসেনি।