পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা নিজেরাই ছেলে মেয়েদের লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য সৃষ্টি করে থাকি। রান্না করা এবং পরিষ্কারের মত মৌলিক বিষয়গুলির ক্ষেত্রে শিশুদের তাদের লিঙ্গ ভিত্তিক বিভক্ত করা হয়। এখানে কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা শেখার জন্য প্রতিটি ছেলেকে উৎসাহিত করতে হবে-
১. মেয়েদের মতো, সব ছেলেদের ‘ভালো স্পর্শ’ এবং ‘খারাপ স্পর্শ’ এর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখানো উচিত। ছেলেরা যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হন তবে তাদের কথা বলতে শিখাতে হবে। অনেকেই এই ভুল ধারণা করে থাকে যে, শুধুমাত্র মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু একইভাবে একটি ছেলেও যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে।
২. ছেলে, কেঁদোনা- এটা একটা সাধারণ ধারণা। ছেলেদের সাধারণত বোঝানো হয় কান্নাকাটি বা আবেগ প্রকাশ কর ঠিক আছে, কিন্তু এটা পুরুষোচিত নয়। ছেলেদের আবেগ চেপে রাখতে হয় কারণ তাদের বিশ্বাস করানো হয় যে আবেগ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। এ ধারণা থেকে ছেলেদের বের করে নিয়ে আসতে হবে।
৩. একটি ছোট্ট মেয়ে যদি রাতের একটি পার্টিতে অংশগ্রহণ করতে চায় বা অন্য কোথাও যেতে চায় তবে তার পিতা-মাতার সম্মতি নিতে হয়। কিন্তু কোন ছেলেকে এমন সম্মতি নিতে হয় না। কারণ সে বিশ্বাস করে যে সম্মতি চাওয়া পুরুষ মানুষের কাজ নয়, যা ভুল। একটি ছেলেকে খুব অল্প বয়স থেকে সম্মতি চাওয়ার গুরুত্ব শেখানো উচিত।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কোন রকেট বিজ্ঞান নয় এবং এটির জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকেও তাদের মায়েদের সাহায্য করার জন্য উৎসাহিত করতে পারি।
৫. নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য খাদ্য একটি মৌলিক প্রয়োজন। তাই ছেলেদেরও রান্না করা শেখায় কোন ক্ষতি নেই। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের তাদের মেয়েদের মতো ছেলেদেরও অল্প বয়সে রান্নাঘরের কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত।
সূত্র : দি টাইমস অব ইন্ডিয়া
Comments are closed.