আজকের দিনে বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবনতাও বেড়েছে বেশ।সেই অপরাধের বলি হচ্ছে আমাদের শিশু কিশোর কিশোরীরা।ওদের জন্য সুন্দর একটি আগামী উপহার দেওয়ার তেমন কোন চেষ্টাই আমরা করছি না। নানা কারণে এখন শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ছে।এর মধ্যে কখনোকখনো শিশুরা বড়দের লালসার শিকার হচ্ছে,খুন হচ্ছে অপহরনের শিকার হচ্ছে।শিশু অপহরণ কারীদের থেকে সতর্ক থাকুন। আপনার শিশুটিকি শিশু অপহরনকারীদের হাত থেকে নিরাপদ?কি করে বুঝবেন কে শিশু অপহরণকারী আর কে ভালো মানুষ।এসব নিয়ে আমাদের প্রচুর ভাবতে হবে।ওদের জন্য নিরাপদ একটি পরিবেশ গড়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
সম্প্রতি ময়মনসিংহে এক শিশু অপহৃত হয়েছিল তবে এক কলেজ ছাত্রের মাধ্যমে সে উদ্ধার হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলেজ ছাত্র হিমায়েত উল আকিকের বুদ্ধিমত্তায় কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু মেহেদী হাসান মিরান (৬) কে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর জিআরপি থানার পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় রবিবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভৈরবগামী ঈশাখাঁ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে রবিউল ইসলাম নাহিদ (১৫) ও মাসুদ রানা (১৬) নামে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপহৃত মিরান কুমিল্লা সদর উপজেলার টমসন ব্রিজ সংলগ্ন মানহাবিল্লাহ এলাকার সৌদি প্রবাসী তোফায়েত খান ও গৃহিনী নুসরাত জাহানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্ডেনের কেজি শ্রেণি ছাত্র। অপহরণকারী দুই জনের বাড়ি কুমিল্লা উপজেলায়। তবে গ্রেফতারকৃত দুই কিশোর অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা মিরানদের বাড়িতে ভাড়া থাকি। তাকে নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছিলাম’।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে কলেজ শিক্ষার্থী আকিক ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈশা খাঁন এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে গৌরীপুর আসছিল। এ সময় ট্রেনের বগিতে দুইজন কিশোর ছেলে একটি শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বসে ছিলো। কিন্তু তাদের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় আকিক সহ অন্যান্য ট্রেনযাত্রীরা দুই কিশোরের পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চায়। এ সময় তাদের কথা-বার্তায় অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে যাত্রীরা দুই কিশোর অপহরণকারী হিসাবে সন্দেহের ভিত্তিতে গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।
হিমায়েত উল আকিক বলেন, ‘আমি কলেজের ক্লাস শেষে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন যোগে নিজ বাড়ি গৌরীপুরে আসছিলাম। ট্রেনের বগিতে শিশু বাচ্চা সহ দুই কিশোরের কথাবার্তা ও আচরণ আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছিলো। পরে ট্রেনযাত্রীদের সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি’।
অপরদিকে মিরানের মা নুসরাত জাহান মুঠোফোনে জানান, ‘রবিবার স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত হয় মিরান। পুলিশ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমরা ছেলেকে নিতে ময়মনসিংহ রওনা হয়েছি’।
গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘কলেজ শিক্ষার্থী আকিক সহ অন্যান্য ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে শিশু মিরানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা শিশুটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। ঘটনা তদন্ত করে গ্রেফতারকৃত দুই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এখানে দেখা যাচ্ছে অপহরণকারী দুজনই কিশোর এবং প্রাপ্ত বয়স্ক নয়।তারা নানা কারণে অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে।কোন অপরাধীই পার পাওয়ার কথা নয় কিন্তু তারা যেহেতু কিশোর অপরাধী তাই তাদের যেন সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।ছেলেধরা বলে যে একরকম ভয় ছিলো তা একসময় গল্পের মধ্যে সীমিত ছিলো আর আজ তা বাস্তবে দেখতে হচ্ছে যা আমাদের কাম্য নয়।পৃথিবীর প্রতিটি শিশু কিশোর কিশোরী নিরাপদ হোক।
Comments are closed.