অভিনেত্রী জয়া আহসান এখন ভীষণ রকম ব্যস্ত।তাকে নিয়ে এখন সিনেপাড়ার আগ্রহের সীমা নেই।অভিনয় জগতে দীর্ঘদিন পদচারণা থাকলেও মূলত গেরিলা সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সব থেকে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। এর পর একের পর এক অসাধারণ সব সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছে। বাংলাদেশ এবং কলকাতার সিনেমাতে তার দাপুটে অভিনয় তাকে নানা মহলে প্রশংসিত করেছে।রাজকাহীনির মত সিনেমাতে তিনি অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন বিদ্যাবালানের মত অভিনেত্রীদের। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনিত ‘পুত্র’ সিনেমাটি।
আজ ঢাকা তো কাল কলকাতা। শুটিংয়ের কাজে বছরটা এভাবেই কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। তার ফাঁকে গতকাল শুক্রবারের বিকেলটা সিলেটে শিশুদের সঙ্গে কাটিয়েছেন তিনি। সিলেটের কাজীটোলায় চালু হয়েছে ‘কিডস ক্যাম্পাস’ নামের স্কুল ও থিম পার্ক।এটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিকেলে কাটানো সময়কে ‘দারুণ’ বলে অভিহিত করেছেন জয়া আহসান।
সিলেট থেকে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফিরেছেন জয়া। ঢাকায় ফিরে পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়া বলেন, ‘শিক্ষা দুইভাবে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক। খেলাধুলা, ছবি আঁকা, সংস্কৃতিচর্চা, পরিবার ও সমাজ থেকে একটা শিশু অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পায়। আর শিশুটি যখন স্কুলে গিয়ে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করে, তখন সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পায়। একজন শিক্ষার্থী বিজ্ঞানী হবে, আমলা হবে, নাকি রাজনীতিবিদ হবে, তা নির্ধারণ করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণ মানুষ হওয়ার পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব জরুরি। সিলেটের এই স্কুলে এই দুটো ব্যাপারের সমন্বয় করা হয়েছে।’
স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন জয়া। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য তাঁর ভালো লেগেছে। তারপর সিলেট যেতে রাজি হন। জয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে যখন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়, তখন প্রোফাইল দেখতে চেয়েছিলাম। দেখে ভালো লেগেছে। সাধারণত স্কুলগুলো কোনো একটা বাড়ি ভাড়া করে পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এই স্কুলটি তেমন না। এটা পুরোপুরি বাচ্চাদের উপযোগী করে তৈরি হয়েছে। পুরো স্কুলের ৬০ ভাগ বিল্ডিং থাকলেও ৪০ ভাগে থাকছে প্রকৃতির ছোঁয়া। কর্তৃপক্ষের চেষ্টা আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। তাই সেখানে যাওয়া।’
জয়া আহসান একসময় শিক্ষকতা করতেন। কিছুদিন পর সেই চাকরি ছেড়ে দেন। বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই জয়া বলেন, ‘আমি ক্লাস নাইনের শিক্ষার্থীদের পড়াতাম। খুদে শিক্ষার্থীদেরও পড়িয়েছি। এবার অনেক দিন পর খুদে শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি থেকেছি। মনে হয়েছে, শিশুদের সারল্য বারবার যদি আমাদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে নিজেদের সম্পর্কগুলো সুন্দর হতে পারে। আমাদের উচিত, বারবার শৈশবে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করা।
আরও পড়ুন–