চার বছর বয়সী লেখকের বিশ্ব রেকর্ড। একজন লেখক যে কিনা বিশ্ব রেকর্ড করেছে আবার তার বয়স মাত্র চার বছর! ভাবা যায়? অকল্পনীয় মনে হতে পারে। কারণ খোদ আইনস্টাইন এই বয়সে কথাই বলতে পারতেন না। তাছাড়াও বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই বয়সী শিশুরা পড়তেই শুরু করে না,লিখতেও পারে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেটা আরো বড় করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করে বিশ্ব রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে চার বছর বয়সী এক শিশু লেখক। এবং স্বীকৃতিও মিলেছে বিশ্বব্যাপী।
সৈয়দ রশীদ আল মেহেইরির বয়স সবে চার বছর। এর মধ্যেই বই লিখেছে। প্রকাশ হওয়ার পর সেই বইয়ের হাজার কপি বিক্রিও হয়েছে। চার বছরের একটা শিশুর কাছ থেকে এমন প্রত্যাশা করবে না অনেকেই। তবে সৈয়দ রশিদ আল মেহেইরি সবাইকে চমকে দিয়ে পেয়েছে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি। সম্প্রতি রশিদের নাম উঠেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
রশিদদের বাড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে। গত ৯ মার্চ তাকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি (পুরুষ) হিসেবে বই প্রকাশ করার স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৪ বছর ২১৮ দিন বয়সে বই প্রকাশ করার এ বিশ্ব রেকর্ড নিজের করে নিয়েছে সৈয়দ রশিদ।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘রশিদের লেখা দ্য এলিফ্যান্ট সৈয়দ অ্যান্ড দ্য বিয়ার নামের দুটি প্রাণীর বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির এক হাজার কপি বিক্রি হওয়ার পর আমরা এর বিষয়ে জানতে পারি। গত ৯ মার্চ বিষয়টি যাচাই করা হয়। এরপর রশিদকে দেওয়া হয় বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি।’
রশিদের মা মউজা আল দারমাকি বলেন, ‘প্রথম যখন রশিদ আমাদের গল্পটা শোনায়, আমরা তো সেটা শুনে বিস্মিত হই। কীভাবে বইটি লেখা হবে অর্থাৎ গল্পের কাঠামো কেমন হবে, তার স্পষ্ট বর্ণনাও দেয়। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চায়, সেটাও জানায়। এরপর আমরা তাকে বইটি লেখার ব্যাপারে উৎসাহ দিই।’
তবে রশিদদের পরিবারে বিশ্ব রেকর্ড করা সে একা নয়। তার বড় বোন আল ধাবির নামও আছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। আল ধাবির বয়স আট বছর। দুই ভাষায় বইয়ের সিরিজ প্রকাশ করা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তির (নারী) রেকর্ডটি এখন তার। এর আগে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি (নারী) হিসেবে দুই ভাষায় বই প্রকাশে রেকর্ডও গড়েছিল ধাবি। যেমন ভাই তেমন বোন। প্রতিভায় ভরপুর। শিশু কিশোর কিশোরীরা উৎসাহ পেলে এভাবেই নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম।
ফিচার ফটোঃ টুইটার থেকে সংগ্রহীত
আরো পড়ুন: আপনার শিশু নিরাপদতো?