ছোট থেকেই আমাদের শিশুদের মধ্যে গড়ে উঠুক ভালো অভ্যাস। তাহলেই বড় হয়ে তারা সেই অভ্যাসগুলির কারনে সমাজকে বদলে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজ আমরা তুর্য আর তুর্ণ নামে দুই ভাইয়ের গল্প বলবো। দুজনই মডেলিং করে,অভিনয় করে। দূরন্ত টেলিভিশনে তুর্যতো জনপ্রিয় একটি মুখ। মেছো তোতা গেছো ভূত যারা দেখেছে তারা নিশ্চই তুর্যকে চিনবে। এছাড়াও বিজ্ঞাপনে তুর্য নিয়মিত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ করে ওদের যখন শ্যুটিং থাকে না তখন ওরা দুই ভাই মিলে বাসায় সবাইকে নানা ভাবে সাহায্য করে।ওদের বাসায় বড়রাও দারুন অনুপ্রেরণার গল্প তৈরি করেছে। তুর্য আর তুর্ণ যে নানা ভাবে হেল্প করছে সেটা তারা করছে নিজ দায়িত্বে কিন্তু বড়রা তার বিনিময়ে ওদের সম্মানি দিচ্ছে ফলে কাজগুলো করে ওরা আরো বেশি আনন্দ পাচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে অথবা অবসরে তূর্য, তূর্ণ ঘরের টুকটাক কাজে সাহায্য করে( যেমন- ঝাড়ামোছা, বাবার মাথা বিলি,ফুপির চশমা আনা,দাদীর রসুন বাছা,নিজের পড়ার টেবিল গুছানো ইত্যাদি) করে ১০,২০,৫০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে।এখান থেকে ওরা কিছু নিজেদের ইচ্ছে মতো খরচ করে কিছু জমায়। এই যে ভালো অভ্যাস তৈরি হচ্ছে,টাকা জমাচ্ছে,অন্যকে হেল্প করছে এটি সত্যিই খুব দরকার। প্রত্যেকের উচিত ছোটদের এসব শেখানো।
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন থেকে আগামী দুইদিন ওদের আরো কিছু কাজের বিনিময়ে যা পারিশ্রমিক দেয়া হবে সেটা এবং আগের কিছু অংশ সহ একটা অংশ ওরা “বিদ্যানন্দ” কে ডোনেট করবে।হয়তো সেটা সামান্য তবুও ওদের জন্য অনেক আনন্দের………. সবাই সহযোগীতার হাত বাড়াই,হয়তো কষ্টের সময় তাড়াতাড়ি শেষ হবে।ইনশাআল্লাহ।
আমরা চাই ছোটরা বেড়ে উঠুক তুর্য,তুর্ণর মত দারুণ পরিবেশে যেখানে বড়রা ছোটদের উৎসাহ দিবে,ভালো কাজের প্রতি আকর্শন বাড়াবে আর ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠবে।
— জাজাফী