আগামী ৯, ১০ ও ১১ এপ্রিল বুক ক্লাব অব দা ল্যাবরেটরিয়ান্স এর পক্ষ হতে স্কুল পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে “ল্যাবরেটরিয়ান্স সাহিত্য উৎসব ২০১৯”। এই উৎসবে দুটি গ্রুপে সর্বমোট ৩০টি প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট, সর্বমোট ১০০টি পুরস্কার, সাহিত্য ও বই বিষয়ক কর্মশালা, বইমেলা প্রভৃতি সহ থাকছে নানা ধরনের আয়োজন।
আমাদের উদ্দেশ্য
মূলত বই পড়ার পবিত্র অভ্যাসটিকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষুদ্র একটি প্রয়াসকে লক্ষ্য রেখে “বই পড়, মানুষ গড়” প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ঠা মার্চ ঢাকার স্বনামধন্য গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে গঠিত হয় বুক ক্লাব অব দা ল্যাবরেটরিয়ান্স। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতি সপ্তাহে ক্লাবের সদস্যদের মাঝে বই আদান-প্রদান করার পাশাপাশি প্রতি মাসে বিদ্যালয়ের পাঠাগার কক্ষে প্রতিযোগিয়ামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছর এ ক্লাবের উদ্যোগে একটি আন্তঃশ্রেণি উৎসবের আয়োজ করা হয়েছিলো। উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়োজনে আমরা আশানুরুপ সারা পেয়েছিলাম এবং সমাপনি অনুষ্ঠানে ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষা উপ-পরিচালক জনাব, গৌর চন্দ্র মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। এ বছর আরো বড় পরিসরে আন্তঃস্কুল পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে “ল্যাবরেটরিয়ান্স সাহিত্য উৎহব ২০১৯”। এ উৎসবকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।
এ উৎসবে ঢাকা ও এর আশেপাশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা, প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট, কর্মশালা, বই ক্রয়-বিক্রয় প্রভৃতি আয়োজনের মাধ্যমে বই পড়তে উৎসাহিত হবেন সকলে।
প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টসমূহ
‘ক’ ও ‘খ’ দুটি শ্রেণিভিত্তিক গ্রুপে ১৫টি করে মোট ৩০টি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। উক্ত আয়োজনসমূহে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী এবং সবচেয়ে বেশি সফল প্রতিযোগির(‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে পৃথকভাবে) জন্য সর্বমোট ১০০টি পুরস্কার রয়েছে।
গ্রুপঃ
‘ক’ গ্রুপঃ ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি
‘খ’ গ্রুপঃ ৯ম ও ১০ম শ্রেণি (এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০১৯ সহ)
প্রতিযোগিতার বিভাগ থাকছে তিনটি
প্রতিযোগিতার বিভাগ:
• প্রদর্শনী বিভাগ
তিনজনের দল গঠন করে এ বিভাগের এক/একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
(১) দেয়ালিকা প্রদর্শনী : “বাংলা সাহিত্য” ভিত্তিক একটি দেয়ালিকা প্রদর্শন করা।
(২) বই প্রদর্শনী : নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ২০টি বই উপস্থাপন। বইয়ের বাছাই, সাজানো ও উপস্থাপনের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।
(৩) প্রতিবেদন প্রদর্শনী : “বই পড়া কেন প্রয়োজন” বিষয়ক প্রতিবেদন/শর্টফিল্ম/প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।
• বই বিভাগ –
(১) সাহিত্য প্রতিযোগিতা : এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিরা “চাঁদের পাহাড়; বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়” বইটি পড়ে আসবে। বইটি থেকে থাকবে ৩০ টি প্রশ্নোত্তর। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের পুনরায় “পথের পাঁচালী; বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়” এই বইটি থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তারপর তাদের মধ্য থেকে বিজয়ী নির্ধারিত হবে।
(২) রহস্য উন্মোচন : রহস্য দেওয়া হবে এবং তা উন্মোচন করে সঠিক যুক্তির মাধ্যমে জিতে নাও পুরস্কার।
(৩) প্রিয় লেখক প্রিয় চরিত্র : বিখ্যাত তিন লেখকের তিন চরিত্র থাকবে। পছন্দমত লেখক-চরিত্র বাছাই করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ঐ লেখক-চরিত্রের উপর প্রতিযোগীকে বহুনির্বাচনী ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।
* ফেলুদা; সত্যজিত রায় * মিসির আলি/ হিমু; হুমায়ূন আহমেদ * তিন গোয়েন্দা; রকিব হাসান (গ্রুপ ‘ক’)/
মাসুদ রানা; কাজী আনোয়ার হোসেন (গ্রুপ ‘খ’)
(৪) বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা : দশটি নির্দিষ্ট বই এর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর পছন্দানুযায়ী যেকোনো একটি বই কে ঘিরে তার মনোভাব/ ভাবনা/ সারাংশ সে ফুটিয়ে তুলবে তার একটি পৃষ্ঠায় (তাৎক্ষণিকভাবে লিখতে হবে)।
দশটি বই –
* শেষের কবিতা; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর * শ্রীকান্ত; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় * কবি; তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় * উভচর মানুষ; আলেকজান্ডার বেলায়েভ * অসমাপ্ত আত্মজীবনী; শেখ মুজিবুর রহমান * একাত্তরের দিনগুলি; জাহানারা ইমাম * নন্দিত নরকে; হুমায়ূন আহমেদ * লালসালু; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ * গ্রামের নাম কাঁকনডুবি; মুহম্মদ জাফর ইকবাল * হাঙর নদী গ্রেনেড; সেলিনা হোসেন
(৫) গল্প পড়া : প্রত্যেক প্রতিযোগীকে একটি গল্প/ ছোটগল্প দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গল্প/ ছোটগল্পটি পড়ে ২৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে (গল্প/ ছোটগল্পটি ফেরত নেওয়ার পর প্রশ্ন দেওয়া হবে)।
• সাহিত্য বিভাগ –
(১)
গল্প লেখা : যেকোনো প্রতিযোগীর লেখা যোকোনো গল্প নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট
সময়ে জমা দিতে হবে। যথাযথভাবে বিচারকার্য শেষে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।
(২) কবিতা লেখা : যেকোনো প্রতিযোগীর লেখা
যোকোনো কবিতা নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে। যথাযথভাবে
বিচারকার্য শেষে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।
(৩) তাৎক্ষণিক গল্প লেখা :
তাৎক্ষণিকভাবে প্রদত্ত বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি গল্প লিখে
জমা দিতে হবে। (৪) তাৎক্ষণিক গল্প
বলা : বিচারক প্রদত্ত বিষয়/ প্রেক্ষাপটকে ঘিরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত
গল্প সম্পূর্ণ করতে হবে।
(৫) প্রবন্ধ পাঠ/ কবিতা আবৃত্তি : প্রবন্ধ –তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া হবে, কবিতা – মাকে আমার পড়েনা মনে; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উল্লিখিত এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে প্রতি গ্রুপে ৫০ টি করে ১০০ টি
পুরস্কার (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে) প্রদান করা হবে। বিশিষ্ট
ব্যক্তিরা এই প্রতিযোগিতার বিচারকারয পরিচালনা করবেন। আসবে পরিচিত নানা
মুখ। প্রত্যেক বিজয়ীকে প্রদান করা হবে –
(১) একটি বই
(২) একটি ক্রেস্ট
(৩) একটি সনদপত্র
দিনশেষে বের করা হবে সেরা বই পড়ুয়াকে। এছাড়াও থাকছে উভয় গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার। তাদের প্রত্যেকের জন্য থাকছে –
(১) ৫ টি বই (২) একটি ক্রেস্ট
(৩) একটি সনদপত্র
সবার অংশগ্রহণ কামনা করছি। যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ –
০১৬২৯২১০১৫৯ (জয়), ০১৮৩৩৮৪৫৬৬৬(সাজিদ)