ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের এক কোণে বসে কান্না করছিল ছোট্ট মেয়েটি। বয়স দশ বছর।নাম শারমিন।
তার কান্না দেখে এক ব্যক্তি তাকে মাঠের পাশে চায়ের দোকানে নিয়ে আসে। তার পরিচয় জানতে চাইলে শারমিন তার নাম জানায়। আরো জানায় তার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায়। বাবার নাম হাসান, মায়ের নাম শেফালি বেগম। ঠাকুরগাঁওয়ে কিভাবে এসেছে সে তা জানে না!
ঠাকুরগাঁওয়ে আসার পর থেকে শারমিন পথে পথে ঘুরছে। অবশেষে সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে বড় মাঠের এক কোনে বসে কান্না শুরু করে বাড়ি যাওয়ার জন্য।
শাওন খান ও চায়ের দোকানদার নাসির জানান, শারমিন তার বাবা, মার নাম ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার নাম ছাড়া ঠিকানা ভালো করে বলতে পারছে না।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, খবর পেয়ে শিশুটির পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। তার তথ্যমতে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায় শারমিনের বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিশু শারমিন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে ওসি জানান।
শারমিনকে কি পাচারকারিরা ধরে নিয়ে এসেছে? নাকি সে ভুল করে বাসে বা ট্রেনে ঠাকুরগাও চলে এসেছে তা কারো জানা নেই। ওর বাবা মা কি ওকে খুঁজছে? আমরা চাই প্রতিটি শিশু কিশোর কিশোরী নিরাপদে থাকুক। কোন শারমিনকে যেন এভাবে পথে পথে ঘুরতে না হয়।