সাফল্য কিভাবে আসে?সাফল্যের জন্য কি কি করতে হয়?কতটুকু চেষ্টা করা উচিত?কখন হাল ছেড়ে দিতে হয়? সফলরা কি করে? কিভাবে তারা সফল হয় এসব নিয়ে ভাবতে গেলে সবার আগে যে নামটি আমাদের সামনে চলে আসে তিনি বিশ্বের সব থেকে সম্পদশালী মানুষ মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিলগেটস। তার বাল্যকাল কেমন ছিল?তিনি কিভাবে শুরু করেছিলেন এবং তার শুরুটা কেমন ছিল তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। এই বিখ্যাত মানুষটির মা তাকে কি বলতেন? আমাদের মত স্কুলে যেতে বলতেন?এ প্লাসের বন্যা বইয়ে দিতে বলতেন নাকি অন্য কিছু বলতেন? বিলগেটসের মা কি তাকে জোর করে গন্ডায় গন্ডায় হাউজ টিউটরের কাছে পড়াতেন নাকি নানা নামের কোচিং সেন্টারে পাঠাতেন? এমন কিছুই করতেন না। আমরা এখানে খুব অল্প কথায় বিলগেটস আর তার মায়ের স্মৃতিচারণ করছি।
বিল গেটসকে দেওয়া মায়ের তিনটি উপদেশ : পরীক্ষার ফলাফল শেষে শিশুটি মায়ের কোলে দৌড়ে গেল। মা প্রশ্ন করল, “তোর পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে বাবা?” ছেলেটি বলল, “হ্যঁা মা দিয়েছে। মা বলল, ” কত পেয়েছিস বাবা?” ছেলেটি বলল,”মা আমি শূন্য পেয়েছি। ” মা বলল,” আর কি কেউ শূন্য পেয়েছে?” ছেলেটি বলল, ” না, মা। ” মা তখন বলল, “দেখেছিস বাবা, তোর মতো নম্বর আর কেউ পাইনি।তুই ৮০ কিংবা ৯০ পেলেও আমি রাগ করতাম। কিন্তু তুই একেবারে শূন্য পেয়েছিস। আজ থেকে তুই মায়ের এই তিনটি উপদেশ মেনে চলবি: ১. প্রচুর বই পড়বি। নিজের পাঠ্য বইয়ের বাইরেও একটি বিশাল জগৎ গড়ে তুলবি। ২.সবসময় বড় বড় স্বপ্ন দেখবি। এমন এমন স্বপ্ন দেখবি যা অন্য কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। ৩.এমন কাজ করবি যা কেউ করছে না। মানুষকে সবসময় স্বপ্ন দেখাবি। মায়ের এই তিনটি উপদেশ মেনে চললে কোন পরীক্ষায় কত পেয়েছিস সেটা কোন ব্যাপার না।সময়টা তখন ১৯৬৩ সালের কথা। এবং এই কথাগুলো ছিলো ৮ বছরের শিশু বিল গেটস কে দেওয়া মা মেরি বেকছিল গেটসের উপদেশ। —————— তাই কোন পরীক্ষায় খারাপ করলে আমরা ভেঙে না পড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।তাহলে সাফল্য এমনিতেই ধরা দেবে।
তাই আসুন আমাদের ছোট্ট শিশু কিশোর কিশোরীদের উপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে না দিয়ে কোচিং প্রাইভেট হোমটিউটর আর এ প্লাসের যন্ত্রনা থেকে ওদের মুক্তি দিই এবং ওদের জন্য সুন্দর একটি আগামীর স্বপ্ন ওদের মনের মধ্যে বুনে দেই। ওরা ওদের মত করে বড় হোক এবং আমরা ওদেরকে অনুপ্রেরণা দেই বড় হওয়ার সুযোগ দেই।
রংপুর রেলওয়ে ইস্টিশানের পাশে বাবুপাড়া। সেখানে সেদিন আনন্দের বান ডেকেছিল।যে শিশু কিশোর কিশোরীদের মুখ সারা বছর অন্ধকারে ঢাকা থাকে বিমর্ষ থাকে তাদের মুখেই ফুটে উঠেছিল অনাবিল হাসি।কদিন আগেও রোজা শুরুর সময় ওদের মনে হচ্ছিল রোজা রাখছি কিন্তু আমাদের ঘরে কি আদৌ কখনো ঈদ আসবে!ঈদ তো শুধু বড়লোকদের জন্য।ঈদ মানেতো খুশি আনন্দ কিন্তু আমাদের ঘরেতো কোনদিন ঈদ আসেনা খুশি হয়না আনন্দ হয়না।ছোট্ট রাতুলের ইচ্ছে করেনা ঈদগাহে যেতে।আরমানও যেতে চায়না ঈদগাহে।মনের মধ্যে অনেক না পাওয়ার দুঃখ থাকলেকি আর ছোট্ট আরমানেরা ঈদগাহে যেতে পারে।
ঈদের মাঠে সবাই যখন নতুন জামা জুতো পরে বাবা ভাই আত্মীয়দের নিয়ে নামাজে যাবে তখন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে হবে আরমানদের।সে জন্যই বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে কষ্ট লুকিয়ে রাখে।মনে করে নাহ এবারও ঈদের মাঠে যাবো না। কিন্তু ওরা কি আর জানতো যে ওদেরও বন্ধু আছে যারা ওদের কথা ভাবে।আমি যখন বলি আরমান তোমাদের বন্ধুরা আসবে তোমাদের সাথে দেখা করতে। আরমানেরা সবাই বিস্মিত হয়।বলে আমরাতো ছোট মানুষ আমাদের আবার বন্ধু কে?আমি বলি কেন তোমাদের বন্ধু কি হতে পারেনা?তোমাদের বন্ধু মানে ছোটদেরবন্ধু। এ কথা শুনে নকিব,তোফায়েল আরমান তিহাম সহ বাবু পাড়ার অন্য বাচ্চারা খুব অবাক হয়।জানতে চায় সেই বন্ধুরা এসে কি করবে?আমাদের দেখেতো তাদের খারাপ লাগবে। আমাদের গায়ে নতুন জামা জুতো নেই আমরা কি করে সেই সব বন্ধুদের সামনে যাবো? নাহ যাবো না।
আমি বলি তোমাদের বন্ধুরা আসবে তোমাদের জন্য আনন্দ নিয়ে।তারা তোমাদের জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনবে এবং তোমাদের সবার মনের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ ছুয়ে যাবে।আমার কথা ওদের কিছুটা বিশ্বাস হয় আবার কিছুটা বিশ্বাস হয়না।ওরা ভাবে ছোটদের আবার বন্ধু কিসের?ছোটদেরবন্ধু বলে কিছু হয় নাকি?আমি ওদের আশ্বাস দেই।বলি দেখবে নিশ্চই আসবে।ওরা পথ চেয়ে বসে থাকে। সন্ধ্যা পেরিয়ে সকাল হয় আরো একটা সন্ধ্যা নামে কিন্তু বন্ধুরা আর আসেনা।আসবে কি করে? বন্ধুরা যে ওদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে ব্যস্ত। তার পর এলো সেই খুশির দিন।আরমানেরা সবাই দল বেধে মিলিত হলো তাদের বন্ধুদের সাথে।বন্ধুরা এসে একে একে সবার সাথে কথা বললো আর প্রত্যেকের হাতে ধরিয়ে দিলো নতুন জামা।আরমানদের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।কাপা কাপা গলায় বললো আমরা ভেবেছিলাম আমাদের বুঝি কোন ঈদ নেই,আমাদের জন্য শুধুই রোজা। এখন দেখছি আমাদেরও ঈদ হবে।
এটি নিছক কোন গল্প নয়। অন্যের জন্য বাঁচি এবং সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন দেখাই।এমনই একদল মানুষ নিজেদের জন্য ঈদের আনন্দটাকে ভাগাভাগি করে নিয়েছে সুবিধা বঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের সাথে। বাবুপাড়ার পঞ্চাশেরও অধিক শিশু কিশোর কিশোরীদের মাঝে তারা নতুন কাপড় বিতরণ করেছে। আমরা তাদের বলি ছোটদেরবন্ধু।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন প্রপদ। প্রপদ পরিবারের অবিভাবক Syed Anowerul Azim sir (Assistant professor,dept. of Geography & Environmental SCIENCE) এবং Ashan Uz Zaman (Assitant Professor, Accouting & Information systems) এবং প্রপদ পরিবারের সবার সাহায্য সহযোগিতায় রংপুর রেলওয়ে ইস্টিশানের পাশে বাবুপাড়ায় অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পোশাক প্রদান করা হয়. তাদের মুখের এক চিলতে হাসির জন্য একটু চেষ্টা। ছোটদেরবন্ধু পরিবারের পক্ষ থেকে প্রপদ এবং এর সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এই অসাধারণ কাজটি করার জন্য।আমরা চাই পৃথিবীর প্রতিটি শিশু কিশোর কিশোরী নিরাপদ হোক এবং তাদের অধিকার ফিরে পাক।তাদের জীবন হোক আনন্দের।
sarahah-তে প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারো মেসেজ পাই। সবগুলো মেসেজই পড়ি, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে উত্তর দিই না কোনোটারই। এই মেসেজগুলো দেখতে দেখতে মনে হয়, সারাহাহ না থাকলে কখনোই জানা হতো না আমার মতো সাধারণ একটা মানুষের জন্য এত ভালোবাসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে। <3
কিছুদিন আগে একটা মেসেজ পেলাম। আগেই বলেছি, সারাহাহ-এর কোনো মেসেজের উত্তর আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিই না। কিন্তু দুই বাক্যের ওই মেসেজটা কেমন যেন বুকের ভেতর এক রকম হাহাকার জাগিয়ে দিল এক মুহূর্তে। মনে হলো, এই মেসেজটার উত্তর দেয়াটা সত্যিই দরকার।
মেসেজটা ছিল এমনঃ
“তোমার ধ্রুবতারাকে নিয়ে আর কোনো লেখা দেখি না কেন? হারিয়ে ফেলেছ?”
যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা ধ্রুবতারার সঙ্গে পরিচিত। নতুন করে তার পরিচয় আর দেব না।
এই মেসেজটা খুব আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু “হারিয়ে ফেলেছ?”- এই লাইনটা কেমন যেন বুকের ভেতর শূন্যতা তৈরি করল।
জানি না মেসেজটা কার পাঠানো। জানতে চাইও না। সবকিছু জানতে নেই। কিছু জিনিস অজানাই থাকতে হয়।
তবে যিনি পাঠিয়েছেন, তাকে তার কথার উত্তরটা দিই।
আসলে ধ্রুবতারা একটা চিরসত্য। এইজন্যই তার নামের মধ্যে “ধ্রুব” আছে। এইজন্য আমরা সত্যের তুলনা দিই তার সঙ্গেঃ “ধ্রুবতারার মতো সত্য।”
তাই ধ্রুবতারা কখনো হারায় না। ধ্রুবতারাকে হারানো যায় না।
কিন্তু এই পৃথিবীর ধুলোমাটিতে ঝোপঝাড়ের ফাঁকে যে সুন্দর ফুলগুলো ফুটে থাকে সবার অগোচরে, অবহেলায়, যত্ন না নিলে তারা কিন্তু হারিয়ে যায়। তাই যাকে হারানোর ভয় নেই, তাকে নিয়ে না ভেবে যে হারিয়ে যেতে পারে, তার যত্ন নেয়াতে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলাম।
আমার ধ্রুবতারা আমার আকাশেই আছে। সন্ধ্যে নামার পর আকাশের দিকে চাইলেই তাকে জ্বলজ্বল করতে দেখি আমি। সে কখনোই হারিয়ে যায়নি। যাবেও না।
কিন্তু আমার যেই ফুলগাছগুলো ঝোপের আড়ালে অবহেলায় পড়ে আছে, তাদেরকে সময় দেয়াটা খুব বেশি দরকার মনে হয়েছে। আগাছা পরিষ্কার করে তাদের সৌন্দর্য, তাদের সুবাস ছড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়া দরকার মনে হয়েছে। আর তাই আমি আমার ফুলগাছগুলোর যত্ন নিতেই ব্যস্ত।
আমাদের স্নেহে, আমাদের যত্নেই তো একটু একটু করে এই কুঁড়িগুলো মায়াবী ফুল হয়ে ফুটবে।
(ছবিতে দেখুন কুঁড়িগুলোকে।)
যিনি আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন এবং যারা আমার পোস্ট পড়ছেন, সবাইকেই একটা কথা বলি।
আমাদের ধ্রুবতারারা আমাদের আকাশেই থাকে। কিন্তু আমরা কখনোই তাদেরকে ছুঁতে পারি না। তারা কখনোই আমাদের হয় না। ধ্রুবতারাকে ছোঁয়ার জন্য ছুটতে থাকলে এক সময় পেছন ফিরে দেখবেন, জীবনের লক্ষ্য থেকে অনেক অনেক দূরে চলে এসেছেন। সামনে তাকালে দেখবেন, এই পথের কোনো শেষ নেই। উপরে তাকালে দেখবেন, ধ্রুবতারা একটুও নিচে নেমে আসেনি! যতটা উপরে ছিল, ততটা উপরেই জ্বলজ্বল করছে। আর ঘড়ির দিকে তাকালে দেখবেন, নিজের লক্ষ্যের দিকে ফিরে যাওয়ার সময় আর নেই!
কিন্তু আপনার আশেপাশে অবহেলায় পড়ে থাকা আগাছার ফাঁকের ফুলগাছগুলোর যত্ন নিলে দেখবেন, কুঁড়িগুলো ফুল হয়ে ফুটছে। সৌরভ ছড়াচ্ছে। তাদেরকে ফুটতে সাহায্য করতে পেরে যে আনন্দ আপনি পাবেন, যে প্রশান্তি আপনি পাবেন, ধ্রুবতারার পেছনে ছুটে কখনোই তা পাবেন না! শুধু ক্লান্তি আর ব্যর্থতাই পাবেন!
ধ্রুবতারা একটা ধ্রুবক। আমরা তাই বলি, ধ্রুবতারার মতো অটল বিশ্বাস। ধ্রবতারা কখনোই তার জায়গা থেকে একটুও সরবে না! তার পেছনে না ছুটে তাকে বরং পথের নিশানা হিসেবে ব্যবহার করুন। তার দিকে তাকিয়ে দিক নির্ণয় করতে শিখুন।
নিজের লক্ষ্যের পথে হাঁটুন। চলার পথে দু’পাশে অযত্নে পড়ে থাকা ফুলগাছগুলোর পাশের আগাছা পরিষ্কার করে দিন। দেখবেন, তাদের কুঁড়িগুলো সুন্দর ফুল হয়ে ফুটে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছে আপনার লক্ষ্যে, সুরভিত করছে আপনার চলার পথ।
সোনার চামচ মূখে নিয়ে অনেকের জন্ম হয়েছে বলে আমরা কথার কথা শুনি যদিও আসলে জন্মের সময় কেউ কিছুই মুখে নিয়ে জন্মে না।সুখ,সম্মান,প্রতিপত্তি দেখে মানুষ বলে থাকে অমুক সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিল বলেই আজ তার এতো সুখ।আমাদের চারদিকে তাকালে আমরা অসংখ্য শিশু কিশোর কিশোরীকে দেখি যারা সোনার চামচতো দূরে থাকুক কোন চামচ মুখে নেওয়ার সুযোগই পায়নি।দু বেলা দু মুঠো ভাত খেতে পায় কিনা সন্দেহ আছে।বেঁচে থাকার জন্য ওদের কত কিছুইনা করতে হয়।কেউ হাত পাতে দুয়ারে দুয়ারে তো কেউ রাস্তার আসে পাশে থেকে বোতল কুড়ায় কাগজ কুড়ায় আবার কেউ কেউ আরো নিচুতে নেমে গিয়ে চুরিও করে।এই সভ্য সমাজ ওদের নাম দিয়েছে পথ শিশু,ওদের নাম দিয়েছে টোকাই এবং আরো একটু সুন্দর বাংলায় কেউ কেউ বলছে সুবিধাবঞ্চিত শিশু। এখন কথা হলো ওদেরকে সুবিধাবঞ্চিত কে করেছে?এ সমাজ করেছে এ সমাজের মানুষ করেছে।আমরাও যেহেতু এ সমাজেরই একটি অংশ তাই এই দায় আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা ১০০ জন শিশুর মূখে হাসি ফুটিয়েছি এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।
দান নয়,সহযোগীতা নয় আমরা কিছু শিশুকে নতুন জামা জুতো কিনে দিয়েছি বলতে চাইনা বরং আমরা ওদেরকে ভালোবাসা বিলিয়েছি যে ভালোবাসাটুকু ওদের প্রাপ্য ছিল।সুন্দর আগামীর স্বপ্নে বিভোর আমরা এ সমাজের একটি অংশ হয়ে সমাজেরই বৃহত্তর একটি অবহেলিত গোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়েছি আমাদের হৃদয়ে জমে থাকা ভালোবাসার কিছু অংশ দেবো বলে।আমরা ছবি তুলে সেগুলো ফেসবুক টুইটারে প্রকাশ করি তার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের কাজের প্রচার প্রসার চাইছি।আমরা একটি ভালো কাজ করেছি সেটি অন্যদের সাথে শেয়ার করছি এ উদ্দেশ্যে যেন অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে ভালো কাজে এগিয়ে আসতে পারে।
পথশিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলাম আমরা। সেই লক্ষ্য নিয়ে দিনাজপুর বন্ধুসভার সদস্যদের নিজের জমানো টাকায় দিনাজপুর শিশুপার্কে ১০০ জন পথশিশুর মাঝে নতুন জামা বিতরণ করেছি এবং দেখেছি ওদের মূখে কি অসাধারণ হাসি যে হাসি লাখ টাকা দিয়েও কেনা যায় না। নিজেদের নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকেই আমাদের সাথে এ কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছেন। তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আমাদের রাজশাহীর বন্ধু তাহমিদ হোসেন অন্তু যাদেরকে পথশিশু বলতে রাজি নয় বরং সুবিধা বঞ্চিত শিশু বলার দাবী জানিয়ে আসছে সেই সব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। তেমনই এক শিশু রাবেয়াকে প্রশ্ন করলাম নতুন জামা পেয়ে পেয়ে কেমন লাগছে?সে তার মুখে যে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিল তা দেখে মনে হয়েছে গোটা পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর মুহুর্ত আর কোন দিন আসেনি।আমরা তাই স্বপ্ন দেখি সুন্দর আগামীর এবং এই স্বপ্ন পুরণে আপনারাও এগিয়ে আসুন। আপনারা যারা এমনই সব ভালোকাজের সাথে যুক্ত আছেন তারা সেসব লিখে পাঠান আমাদেরকে। [email protected] এই ইমেইলে।সাথে ছবিও পাঠাবেন। আমরা তা আন্তরিকতার সাথে প্রকাশ করবো।
শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত খেলাধুলা ও গঠণমূলক বিনোদন। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আবদ্ধ এই ঢাকা শহরে শিশুদের ছুটোছুটির জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই, নেই কোনো প্রত্যহ বিনোদন ব্যবস্থা। তাই চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকা শিশুটি হয়তো কম্পিউটার গেমস নাহয় টেলিভিষনকে খোলামাঠ ও খেলাধুলার স্থলাভিষিক্ত করে নিয়েছে। এটি শিশুর বিকাশের অন্তরায়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে শিশুদেরকে নিয়ে অন্তত শুধু ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে যাওয়া অভিভাবকগণের পরম কর্তব্য।আপনার সন্তানকে যে দশটি যায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন। এটি যেমন শিশুদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা রাখে, ঠিক তেমনই তাদের নিত্যদিনের একঘেয়েমি দূর করে প্রাণে আনে সতেজতা। চলুন ঘুরে আসি এই ঢাকা শহরেরই শিশুদের পছন্দের চমৎকার কিছু জায়গায়!
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর
রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহসড়কে পাশেই অবস্থিত এই বাঘের বাজার।অনেকটা দূর থেকেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের দৃষ্টিনন্দন ফটক। সেটি পেরুলেই সারি সারি ফুল গাছ, আপনাকে স্বাগত জানাবে বাঘ, সিংহ, বাজপাখি, ক্যাঙ্গারু। সাফারি পার্ক হচ্ছে বন্য প্রাণীর একপ্রকার অভয়ারণ্য। সাফারি পার্কে মানুষ থাকে বন্দি আর বন্যপাণীরা থাকে খোলা অবস্থায়। বাচ্চারা বিপুল উৎসাহের সাথে এসব পশু পাখিদেরকে দেখে, পরিচিত হয় পশুপাখিদের জগতের সাথে! তাদের কল্পনার রাজ্য ডালপালা ছড়াতে পারে এই সাফারি পার্কের সূত্র ধরে!
প্রাপ্তবয়স্ক জনপ্রতি পার্কে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা এবং ১৮ বয়সীদের নিচে প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। গাড়িতে করে সাফারি পার্ক পরিদর্শনের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিজনের টিকিট ১০০ টাকা। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা। প্যাডেল বোট ভ্রমণ ৩০ মিনিট ২০০ টাকা।
২। ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া
শিশুদের জন্য এক অন্যরকম স্বপ্নপুরী হলো ফ্যান্টাসি কিংডম। আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম ছোট-বড় সকলের জন্য রোমাঞ্চকর আনন্দ উল্লাসের জায়গা। এখানে ওয়াটার কিংডমের আনন্দে সিক্ত হয় শিশুর একঘেয়ে শুষ্ক মন, এছাড়াও মজার মজার রোমাঞ্চকর সব রাইড বিলিয়ে দেয় শিশুদের মনে মুঠো মুঠো আনন্দ!
পার্কটি খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। শিশুদের প্রবেশমূল্য ৩৫০-৫০০ টাকা, বড়দের বেলায় ৬৫০-৮০০ টাকা। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে প্রবেশমূল্য ৬৫০-৮০০ টাকা। তবে ঈদের সময়টা বিশেষ অফারেও টিকিট বিক্রি করা হয়।
৩। নন্দন পার্ক, আশুলিয়া
শিশুদের বিনোদন-পিপাসা মেটানোতে একটি নান্দনিক স্থান হলো নন্দনপার্ক। সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ের বাড়ইপাড়া এলাকায় বিদেশী রাইডের সমন্বয়ে নন্দন পার্কটি সাজানো। এখানেও রয়েছে পানির জগত, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড! সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো সমগ্র পার্কটিতে। এখানে নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় পূর্ণতা পাবে শিশুর মননের চাহিদা!
নন্দন পার্ক খোলা থাকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। সব রাইডসহ প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৪৯০ টাকা।
৪। ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, সায়েদাবাদ
সায়েদাবাদের রেলক্রসিঙ্গ এর পশ্চিম পাশে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক অবস্থিত। “এলিস ইন দা ওয়ান্ডারল্যান্ড” এর মতো কথা বলা পশু পাখি না থাকলেও, এখানে শিশুদের জন্য অবাক করে দেওয়া বিনোদন ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, এখানে আকর্ষনীয় সব রাইড ও খেলনার পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা এবং পথ শিশুদের জন্যও আলোচনা সাপেক্ষে বিশেষ সুযোগ!
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। রাইডের মূল্য ৩০ টাকা।
৫। জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ
ছোটবেলায় “জাদুঘর” শুনে ভাবতাম, জাদুঘর বোধহয় জাদু দেখানোর ঘর। কিন্তু প্রথমবার জাদুঘরে গিয়ে আমার ভুল ভেঙেছিলো, কিছুটা হতাশও হয়েছিলাম। তবে শিশুদের জাদুঘরের ধারণা স্পষ্ট থাকলে আসলে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমাদের জাতীয় জাদুঘরে বিশাল সেই ডায়নোসরের কঙ্কাল, মূর্তিমান বাঘ, হরিণ, ময়ূর সব মিলিয়ে শিশুকে বিস্ময়ে হতবাক তো করবেই, সাথে আছে শেখার মতো অনেক কিছু। শাহবাগে অবস্থিত এই জাদুঘর আমাদের দেশের ঐতিহ্য বহণ করে। তাই শিশুদেরকে নিয়ে জাতীয় যাদুঘরে ঘুরতে গেলেও কিন্তু মন্দ হয় না!
ঈদের সময় জাদুঘর খোলা থাকবে বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। টিকিটের মূল্য ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ৫ টাকা, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ১০ টাকা এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ৭৫ টাকা।
৬। শিশুপার্ক, শাহবাগ
শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্ক শিশুদের পছন্দনীয় সাশ্রয়ী পার্কগুলোর মধ্যে একটি। এখানে সবচাইতে ভালোলাগার বিষয়টি হলো, এখানে সপ্তাহে একটি দিন সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছল শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এই স্থানটি শিশুরা উপভোগ করে ডানা মেলে উড়তে থাকা মুক্ত পাখির মতো! শিশুপার্কের উল্টোপাশে অবস্থিত রমনাপার্কও শিশুদের খেলাধুলা আর অবসর কাটানোর জন্য মন্দ না।
প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে শিশুদের জন্য ঈদ আয়োজন করে শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষ। ঈদে শিশুপার্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। তবে প্রতিটি রাইডে উঠতে হলে ১০ টাকার আলাদা আলাদা টিকিট কাটতে হবে।
৭। জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা অনেক শিশুরই পছন্দের জায়গা। বইয়ের ছবিতে দেখা অবাক করা পশু পাখিগুলো বাস্তবে স্বচক্ষে চিড়িয়াখানায় দেখে শিশুরা! এটা নিঃসন্দেহে শিশুদের উল্লাসিত করে! শৈশবের দুরন্তপনার জন্য এটি একটি উপযোগী স্থান।
ঈদের সময় জাতীয় চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। দুই বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য টিকিট লাগবে না।
৮। তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক, মিরপুর
তুরাগ নদীর পাড় ঘেষে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক। নদীর স্নিগ্ধতা ও গাছগাছালির মনোরম পরিবেশে এটি ইট পাথরের জগতের বাইরের একটি স্থান, যা প্রফুল্ল করবে শিশুর হৃদয়কে। সবুজের সমারোহ ও গাছগাছালির সঙ্গে শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক বিভিন্ন রাইডস এর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এছাড়াও এখানে ররয়েছে সাতার কাটার জন্য সুইমিং পুল!
প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা, প্রতিটি রাইডে ওঠার টিকিট জনপ্রতি ৪০ থেকে ৮০ টাকা। সুইমিংপুলে সাতার কাটার টিকিট জনপ্রতি ঘন্টায় ২০০ টাকা।
৯। ড্রিম হলিডে পার্ক
ঢাকা-সিলাট মহাসড়কে নরসিংদি জেলার পাঁচদোনায় এই স্বপ্নময় পার্কটি অবস্থিত। এখানে হিমালয় পাহাড়ের সদৃশ কৃত্রিম পাহাড়সহ পার্কময় জ্যান্ত ভূতদের আনাগোনা শিশুদের কল্পনার রাজ্যে নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে। এছাড়াও রয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড ও নানারকমের বিনোদন ব্যবস্থা।
ড্রিম হলিডে পার্কটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রতিদিন খোলা থাকে। পার্কে প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা।
১০। শিশু মেলা, শ্যামলী
“আরেক মেলা জগতজুড়ে,
ভাইরা মিলে, বোনরা মিলে,
রঙ কুড়িয়ে বেড়ায় তারা
নীল আকাশের অপার নীলে!”
এই জায়গাটাকে ধরে নিতা পারেন আহসান হাবীবের ছড়ার সেই শিশুদের মেলা! যেখানে শিশুরা রঙ কুড়িয়ে বেড়ায় অবিরত! ঢাকার শ্যামলীতে শিশুমেলা এখন ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড। এই শিশুমেলায় তাই শিশুদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়াটা অবশ্যই বুদ্ধিমানের মতো কাজ।
শিশু মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি রাইড এর টিকিট ৩০ টাকা।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তির স্বপ্ন কে না দেখে।দুরন্ত শৈশবের সব থেকে আকর্ষনীয় বিষয় হলো ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাজার হাজার মেধাবীদের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখা।সুন্দর আগামীর স্বপ্ন বিভোর ক্যাডেটদের প্রতিদিনই আনন্দের স্মৃতির।ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় যে ৭ টি বিষয় তোমাকে করে তুলবে অপ্রতিরোধ্য তা নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছে আমাদের বরিশাল ক্যাডেট কলেজের বন্ধু নাহিদ হাসান সেতু।
১.নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা:-
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপদ্ধতি একটু ভিন্ন রকমের হওয়ায় অনেকের মধ্যেই ভীতির সঞ্চার করে থাকে।তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে অবশ্যই এই ভীতিকে দূরে ঠেলে দিয়ে আত্নবিশাসী হতে হবে।
২.সময়ের যথাযথ ব্যবহার:সপ্তম শ্রেণীতে সাধারণত ক্যাডেট ভর্তি করা হয়ে থাকে।প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর এক বছর কিংবা তের মাসের মত সময় পাওয়া যায় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।তাই অবশ্যই এই সময়ের সর্বোচ্চ এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৩.কোচিং নির্ভর পড়াশোনা না করা:ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ও অধিকাংশ অভিভাবকের ধারণা একটি কোচিংই পারে একজন শিক্ষার্থীকে ক্যাডেট কলেজে চান্স পাইয়ে দিতে,যা মোটেও সত্য নয় । নিজেকে উদ্যমী করে গড়ে তুলে আজ থেকেই পড়াশোনা শুরু করো। তবে এক্ষেত্রে একটি
কোচিং দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে।
MENTOR SELECTION: আজই তুমি তোমার পছন্দমত একজন মানুষকে তোমার mentor হিসেবে select করে ফেলো। তিনি তোমার teacher হতে পারে ,বড় ভাই কিংবা তোমার বোন ও হতে পারে। এমনকি mentor তোমার ছোট ভাই কিংবা ছোট বোন ও হতে পারে। তবে better হয় যদি তুমি তোমার মা কিংবা তোমার বাবা কে mentor হিসেবে পেলে কেননা তাঁরাই তোমাকে ভালো বুঝেন। কীভাবে তুমি admission preparation নিবে , তোমার study problem গুলো কিভাবে solve করে সামনে এগিয়ে যাবে -এই বিষয়গুলো তে সে হবে তোমার guide।
নিজস্ব রুটিন মাফিক পড়: আজই তুমি করে ফেল তোমার নিজের রুটিন। দেখবে তোমার confidence level অনেক বেড়ে গেছে। এবার just সেই অনুযায়ী study শুরু করো।But remember that,”You have to be a hardworker.”
৬.হাতের লেখা practise করা:”প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী।”তোমার হাতের লেখাই তোমাকে একজন পরীক্ষকের সামনে তোমাকে represent করবে। তাই তুমি আজ থেকেই প্রতিদিন হাতের লেখা practise কর। দেখবে কিছুদিনের মধ্যেই তোমার হাতের লেখাই best হয়ে যাবে।
English এ expert হয়ে যাও আজই: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সর্বাধিক number থাকে english এ। তুমি যদি বিষয়টিতে দক্ষতা অর্জন করতে পার তবে তোমার জন্য exam অনেক easy হয়ে যাবে।even তুমি যদি ক্যাডেট কলেজে চান্স পাও then সেখানেও তোমাকে একটা great facility দিবে।
সবশেষে বলতে চাই ,,,try hard and soul to achieve your goal.তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।।।।।।
“ডাকঘর” শুধু একটি সাদামাটা নাম নয় বরং এটি আমাদের আত্মার আত্মীয়।ডাকঘর নামটি শুনলেই মনে হয় প্রিয়জনের ছোয়া লাগা চিঠি বুঝি এই এলো আমাদের হাতে।ডাকঘরের জন্য তাই আমাদের অনেক টান।এখন ফেসবুক টুইটার আর ইমেইল ইন্টারনেটের যুগে বাস্তবের ডাকঘর হারিয়ে যেতে বসেছে।তাহলে আমরা কেন আজ ডাকঘর নিয়ে আলোচনায় আসলাম? এর বড় একটি কারণ আছে।আমরা অন্যরকম এক ডাকঘর নিয়ে আজ শুনবো জানবো কথা বলবো।এই ডাকঘর চিঠি বিলি করেনা বরং বিলি করে আনন্দ আর ভালোবাসা।তাই ছোটদেরবন্ধু তাদেরকে সম্মান দেখিয়ে ডাকে ভালোবাসার ফেরীওয়ালা।মমতাহীন এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে চলছে শিশু কিশোর কিশোরী হত্যা নিযার্তন।যেন সবাই ভালোবাসতে ভুলে গেছে।
ফিলিস্তিন,ইরাক,চেচনিয়া,সিরিয়ায় আমরা দেখেছি অসংখ্য শিশু কিশোরের অকালে হারিয়ে যাওয়া।যারা ছিল আমাদের পৃথিবীর ফুল স্বরুপ।কিছু খারাপ মানুষের কারণে তারা হারিয়ে গেছে।আমাদের চারপাশে আমরা অগণিত শিশু কিশোর কিশোরীকে দেখি পথে পথে ঘোরে।ওদের থাকার যায়গা নেই,দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা নেই।দিন শেষে ওরা রাতে কোথায় ঘুমাবে কি খাবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ওদেরকে টোকাই বলে নয়তো পথশিশু বলে।কিন্তু আমরা সেই টোকাই ও পথশিশুদেরকে অন্য নামে চিনি।ছোটদেরবন্ধু তাহমিদ হোসাইন অন্ত জোর দাবী জানিয়েছে ওদেরকে কোন ভাবেই পথশিশু বলা যাবেনা বরং বলতে হবে সুবিধাবঞ্চিত শিশু।তার কথায় যুক্তি আছে। সে বলেছে ওরা পথে থাকে বলেই যদি ওদেরকে পথশিশু বলতে হয় তবে আপনার সন্তান ঘরে থাকে তাকে ঘর শিশু বলুন। এর বাইরে আমাদের আরেকটি নাম দিয়েছে অন্য একদল বন্ধু।তারা ওদেরকে নাম দিয়েছে নগরফুল।নগরফুল একটি সংগঠন।
এতো কিছু বলতে গিয়ে আমরা ডাকঘরকে পিছনে ফেলে এসেছি।এবার আসি ডাকঘরের কথায় যারা চিঠি বিলি না করে ভালোবাসা বিলি করে।ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয় চারদিকে।এটি একটি সংগঠন। সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর এবং নূন্যতম অধিকার নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে “ডাকঘর”। এমন উদ্যোগে সকল মানুষ যেন অংশীদার হয় এই প্রত্যাশা রাখে “ডাকঘর”। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে মজার কিছু সময় কাটাতে গত ২০-০৫-২০১৮ তারিখ চট্টগ্রাম এর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে ‘ইফতার বিতরণী’ অনুষ্ঠান করে ‘পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (১৫ তম ব্যাচ)’ এবং “ডাকঘর” সংগঠন।উক্ত আয়োজনে “নগরফুল” সংগঠন এর কিছু সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।সকলের উপস্থিতি এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান টি সম্পন্ন হয়। বাচ্চারা ছড়া,কবিতা,গান,কৌতুক,ধাঁধাসহ নানা ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ করে। পরিশেষে ইফতার গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।আমরা ছোটদেরবন্ধু পরিবারের পক্ষ থেকে ডাকঘরকে জানাই সাধুবাদ এবং ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।তাদের এ আয়োজন ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে।সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই নগরফুলকে যাদের একাংশ শরীক হয়েছিল এই সুন্দর আয়োজনে।
ছোটদেরবন্ধু সব সময় চায় এই সব ভালোকাজের মানুষদের পাশে থাকতে এবং তাদের কথা সারা দেশ সারা বিশ্বে জানিয়ে দিতে।সুন্দর আগামীর স্বপ্নে বিভোর হয়ে এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা সবার কাছে।আপনার পাশে ছড়িয়ে থাকা সেই সব ভালোমানুষ সেই সব কিশোর কিশোরী মেধাবী এবং অবহেলীতদের কথা লিখে জানান আমাদেরকে। আমরা তা আন্তরিক ভাবে প্রচার করবো।পরিশেষে ডাকঘর এবং নগরফুলকে ধন্যবাদ দিয়ে জানাতে চাই আপনারা আপনাদের প্রতিটি আয়োজনের কথা ছবি সহ আমাদের লিখে জানান আমরা নিশ্চই ভালোবাসার সাথে সেটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেব।সমাজের বিত্তবানদের উচিত ভালোকাজে পাশে থাকা।আসুন সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি এবং সেই স্বপ্নকে সত্যি করি।
রাতের আকাশে ঝিকমিক করা তারাগুলো দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে হারিয়ে যায় কেন?কেন শুধু রাতেই তারাগুলোকে দেখা যায়? নভোচারীদের কেন মহাশূণ্যে যাওয়ার সময় নভোযানে করে উদ্ভিদ নিয়ে যেতে হয়? এমন অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে প্রতিনিয়ত।আমরা কেউ কেউ গুগলে খুজি সেই সব প্রশ্নের উত্তর কারণ আমাদের সামনে বা আশেপাশেতো কোন নভোচারী নেই।আমরাতো নাসাতে বা সার্নে যেতে পারিনা তাই গুগলই আমাদের ভরসা। তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে কেউ হয়তো তার প্রিয় মানুষটির কথা মনে করেন। কেউ বা মনে করেন তার হারিয়ে যাওয়া স্বজনের কথা; ভাবেন তার প্রিয় মানুষটি মৃত্যুর পরে ঐ আকাশের তারা হয়ে গেছেন। খুব ছোটবেলায় আমরা দেখেছি আম্মু আমাদের গানশোনাতে আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা,চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।সত্যিইকি চাঁদ আমাদের মামা হয়? কি করে মামা হলো?চাঁদ যদি আমার আম্মুর মামা হয়ে থাকে তাহলে আমারও মামা হয় কি করে?
আবার কোন কোন মা তার খোকন সোনাকে শুনান চাঁদের বুড়ির গল্প।আমাদের প্রিয় কিশোর কবি সুকান্ত মস্তবড় চাঁদটাকে ঝলসানো রুটির মত দেখেছেন। আবার অন্য কবিরা চাদেঁর রুপে বিমুগ্ধ হয়েছেন।হুমায়ূন আহমেদতো জোছনা পাগল ছিলেন।এমনকি তিনি তার বইয়ে সেটা বার বার উল্লেখ করেছেন।মরতে চেয়েছিলেন কোন এক চান্নিপসর রাতে।আবার এমনও কিছু মানুষ আছেন যারা চাঁদের আলোতে একা একা হাঁটতে পছন্দ করেন কিংবা চাঁদনী রাতে সমুদ্রের পারে তার প্রেয়সীকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকতে ভালবাসেন।
কিন্তু আমি আজ তাদের কারো কথাই বলতে আসিনি; আমি এসেছি ফাতিহার কথা বলতে,ফাতিহাকে নিয়ে লিখতে।ফাতিহা আয়াত নামে আমাদের ছোট্ট বন্ধুটি থাকে আমেরিকাতে।এইতো সেদিন সে নিজে সায়েন্স পোর্টে সাক্ষাৎ করেছে নাথান রুথম্যান নামে এক বিজ্ঞানীর সাথে যিনি নভোচারীদের নিয়ে কাজ করেন। আমি এটা তাদের জন্যে লিখতে চাই যারা চোখ বন্ধ করলেই চাঁদকে দেখতে পায়, তারাভরা আকাশ ভেসে উঠে তাদের চোখের সামনে; যারা চোখ বন্ধ করলেই দেখে চাঁদে লাফাচ্ছে, নীল আর্মস্ট্রঙের সাথে কথা বলছে কিংবা মঙ্গলে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে, মিতালী পাতাচ্ছে ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে।
বুঝতে পেরেছ আমি কাদের কথা বলছি?? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছ; আমি তাদের কথাই বলছি যারা ‘নভোচারী’ হওয়ার স্বপ্ন দেখে, যারা নিজের দেশের পতাকা উড়াতে চায় সবচেয়ে উঁচুতে; যারা আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকে জয় করবার দৃঢ় সংকল্প করে মনে মনে।ফাতিহার সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে নিশ্চই তোমরা বুঝতে তার মনেও নভোচারী হওয়ার বা নভোচারিদের নিয়ে কত্ত কত্ত স্বপ্ন প্রশ্ন।তবে মজার ব্যাপার হলো ফাতিহা কিন্তু আমাদের এই প্রশ্নটি করতে ভুলে গেছে। চাঁদকে কেন আমরা সবাই মামা ডাকি?এই প্রশ্নটি সে আগামীবার যখন আবার কোন মহাকাশ গবেষকের সাথে দেখা করবে তখন নিশ্চই করবে।
তবে চল দেরি না করে ফাতিহার কাছ থেকে জেনে নেয়া যাক কি করতে হয় নভোচারী হতে হলে, কি ধরণের যোগ্যতা দরকার পরে নভোচারী হওয়ার জন্যে কিংবা কেমন নভোচারীদের জীবন, মহাশুন্যে কিভাবে কাটে তাদের সময়, কি খায় তারা মহাশুন্যে, কিভাবে ঘুমায়… এরকম সব প্রশ্নের উত্তর।
নভোচারী মানে কি?
‘নভোচারী’ শব্দটি হলো ইংরেজি শব্দ ‘Astronaut’ এর বাংলা রূপ। আবার ‘Astronaut’ শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘তারার নাবিক (Star Sailor)’। রাশিয়ায় নভোচারীদেরকে বলা হয় ‘Cosmonaut’। আর স্বাভাবিকভাবেই নভোচারীদেরকে আমরা তারার নাবিক বলতেই পারি। কারণ তারার দেশেই তাদের সমস্ত কাজ, একটা জাহাজে (Spaceship) করে ভেসে গিয়ে ওখানেই তাদের গবেষণা করতে হয়। তারার দেশে গিয়ে তারা সরেজমিনে দেখে আসেন ওই এলাকাটা। নিয়ে আসেন ওখানকার তামাম খবরাখবর।
নভোচারী হওয়ার যোগ্যতা
২০১১ এর জুন মাস পর্যন্ত ৩৮ টি দেশের মোট ৬৫৪ জন ভাগ্যবান মানুষ মহাশুন্যে যেতে পেরেছেন। নভোচারী হতে বেসামরিক কিংবা সামরিক ব্যক্তি যে কেউ আবেদন করতে পারেন। তবে আবেদন করতে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। নিচে একে একে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:
শারীরিক যোগ্যতা
উচ্চতা : ৬২ থেকে ৭৫ ইঞ্চি।
দৃষ্টিশক্তি : কাছের এবং দূরের জিনিস চিহ্নিতকরণে দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি ২০/২০। (ভুলের মাত্রা ২০/২০০ কিংবা তার চেয়ে ভালো হলেও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।)
রক্তচাপ: বসা অবস্থায় ১৪০/৯০।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান কিংবা গণিতে অন্তত তিন বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রি।
তবে ১ বছর মেয়াদী মাস্টার্স কিংবা ৩ বছর মেয়াদী ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রিধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। তাছাড়া আরো অগ্রাধিকার পাবেন দ্বাদশ শ্রেণী অব্দি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীরা।
অন্যান্য যোগ্যতা
১) অন্তত ১০০০ ঘণ্টা জেট প্ল্যান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২) আবেদনকারীকে ‘International Astronomical Union’ এর সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়
১) নভোচারী নির্বাচনে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স বিবেচ্য নয়।
২) বৈবাহিক অবস্থা বিবেচ্য নয়।
৩) ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ বিবেচ্য নয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
বেসামরিক এবং সামরিক সকল প্রার্থীদেরকে সপ্তাহব্যাপী একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যেখানে তাদেরকে পার্সোনাল ইন্টারভিও, মেডিকেল পরীক্ষা, ওরিয়েন্টেশানের মুখোমুখি হতে হয়।
এতো কিছু জানার পর আমাদের ছোট্ট ফাতিহা কি করেছে জানো? সে ভেবেছে এ আর এমন কি নিশ্চই আমরা চেষ্টা করলে নভোচারী হতে পারি। তার পর না হয় আকাশের চাদের কাছে গিয়ে জানতে চাইবো আচ্ছা মামা তোমাকে আমরা মামা ডাকি কেন?
ছোটদেরবন্ধু সুন্দর একটি আগামীর স্বপ্ন দেখে।ইচ্ছাই শক্তি,সেই শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সুন্দর আগামী গড়তে চাই।সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে চাই সকলের অংশগ্রহণ।তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বর্ণকিশোরীরা এবং সেই সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে সুর্যকিশোরেরা।আজ আমরা স্বর্ণকিশোরী ইরার গল্প শুনবো। সে তানোর উপজেলায় এমন সুন্দর সব আয়োজন করে চলেছে যা আমাদের সুন্দর আগামীর স্বপ্ন সত্যি করতে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করি।আমরা জানি সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক অসংগতি অনেক অনাচার এবং অনেক কিছু যা হওয়া মোটেই উচিত নয়।সমাজের ব্যধী বলে যে সব বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে তারমধ্যে বাল্য বিবাহ অন্যতম।আমাদের স্বর্ণকিশোরী ইরা সেই গুরুত্বপুর্ন বিষয়টি নিয়ে কাজ করে চলেছে। আমরা সম্প্রতিকালে দেখেছি
তানোর উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল থেকে একজন করে স্বর্ণকিশোরী ও একজন করে সুর্যকিশোর নিয়ে ইরা ও তার দল “ইচ্ছাই শক্তি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয়েছিল তানোর উপজেলার অডিটোরিয়ামে। প্রধান অতিতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার মাননীয় এম পি আলহাজ্জ ওমর ফারুক চৌধুরী।সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শওকত আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিল স্বর্ণ কিশোরী প্রিফেক্ট আতিয়া সানজিদা ঐশী।ঐশী একাধারে বাল্যবিবাহ,যৌতুক এবং কিশোরী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে সারা দেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এই আয়োজনে বিশেষ বক্তা হিসেবে গুরুত্বপুর্ন কিছু কথা বলেছে গোদাগাড়ী উপজেলার স্বর্ণকিশোরী ইফাত আরা ইরা।
স্বর্ণকিশোরী তাজরিনের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পারি তাদের বিশেষ করে তার পরিকল্পনার কথা। সে আমাদের জানিয়েছে প্রত্যেক স্কুল থেকে কিশোর কিশোরীদের আনার পরিকল্পনা ছিল ওদের।সেই সাথে যোগ হয়েছিলো কাজী ও পুরোহিত। আমরা যখন জানতে চাইলাম এই আয়োজনের সাথে কাজী বা পুরোহিতের সম্পর্ক কি তখন তাজরিন বিস্তারিত জানিয়েছিল। মূলত উপজেলা নির্বাহজী অফিসার এর পরামর্শ ক্রমে তাজরিন এবং তার দল এই আয়োজন সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে । তবে তাজরিন মনে করে প্রোগ্রামটি সফল হয়েছে আরও যাদের কারণে তাদের মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলেন মাননীয় এমপি মহোদয়।সবদিক দিয়ে তিনিই সাহায্য করেছেন।ইচ্ছাই শক্তি প্রতিপাদ্যটি কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তাজরিন জানায় এটিকে প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে কারণ ইচ্ছা দিয়েই আমরা সব কিছু করতে পারি। এই আয়োজনে সবার প্রতিজ্ঞা ছিল কিশোর কিশোরী বাল্য বিয়ে না করার আর কাজী পুরোহিত প্রতিজ্ঞা করেছিল বাল্য বিয়ে না দেওয়ার।ওর সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম কেন এই আয়োজনে কাজী বা পুরোহিতের থাকাটা জরুরী ছিল।আমরা জানি বিয়ের সময় ধর্ম অনুযায়ী কাজী বা পুরোহিত থাকতে হয়।তারাই যদি সচেতন থাকে তাহলে বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়াটা আরো সহজ হবে।
শুধু নিজে সচেতন থাকার নামই জীবন নয় বরং অন্যের মাঝে সেই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারলেই সাফল্য।তবেই এই দেশটা আরো সুন্দর হবে।আমরা যে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি সেটি বাস্তবে রূপ দিতে হলে তাজরিনদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে যারা ছোটদের নিয়ে কাজ করছে,বাল্যবিবাহ রোধ,যৌতুক রোধ নিয়ে কাজ করছে আমরা চাই তাদের সেই সব কাজের কথা সবার মাঝে প্রচার করতে।কিশোর কিশোরীদের মধ্যে যারা ভালো কিছু করছে মেধার পরিচয় দিচ্ছে তাদের নিয়েও লিখতে পারেন। যে কেউ তার সুন্দর লেখাটি ছবি সহ আমাদের ইমেইল করুন [email protected] এ। আমার সেটা যত্নসহকারে প্রকাশ করবো।ছোটদেরবন্ধুর পাশেই থাকুন।
হাতেকলমে শেখার আনন্দই আলাদা।ফাতিহা আয়াত সেটা নিয়মিত করে থাকে।স্কুলে শিক্ষকেরা যা পড়ায় আমরা অনেক সময় তা বুঝি আবার বুঝি না।বুঝলে আমরা সেটা নিয়ে আর ভাবি না আর না বুঝলে অনেক সময় বুঝতে জানতে চেষ্টাও করি না। ঠিক এই দিক থেকে ফাতিহা ব্যতীক্রম। সে প্রতিটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা করতে ভালোবাসে। এবার সে আমাদেরকে শেখাচ্ছে কিভাবে কার্বনডাইঅক্সাইড তৈরি করতে হয়।