স্কুল থেকে ফিরেই সোফার উপর বসতে বসতে পাশ থেকে বাবার অথবা মায়ের ফোনটা টেনে নেয় ফারহান।মা তখন একটা প্লেটে খাবার নিয়ে নিজ হাতে মেখে ওর মুখে তুলে দেয় আর ও খেতে খেতে মোবাইল গেমস খেলে।খাওয়া শেষ করে খুব বেশি সময় পায়না এর মাঝেই টিচার চলে আসে নয়তো কোচিং এ যেতে হয়।রাতে ফিরে একই অবস্থা।এভাবেই কাটে সারা সপ্তাহ।
আহনাফের বেলায় মোবাইল খাটেনা। সে স্কুল থেকে ফিরে সোজা কম্পিউটারের সামনে গিয়ে বসে।ফিফা টেন তার খুব প্রিয় আর প্রিয় দল জার্মানী।সে স্কুল থেকে ফিরে যতটুকু সময় পায় তা কম্পিউটারে গেমস খেলে পার করে।তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে খেলার মাঠে গিয়ে দাপিয়ে ফুটবল খেলতে কার না মন চায় কিন্তু ৯০ মিনিট সময় কোথায়?ঘুম থেকে উঠেই স্কুল তার পর কোচিং তার পর বাসায় প্রাইভেট করে করে রাত বারটা বেজে যায় তার পর ঘুম।আমাদের দূরন্ত কৈশর তাই বন্দি আজ তথাকথিত ভালো ফলাফলের আশায় কোচিং প্রাইভেট করে করে।
ভিন্ন চিত্র গ্রামে।সেখানকার বাচ্চারা কম্পিউটার ইন্টারনেট মোবাইল খুব একটা পায়না কিংবা বলা চলে একেবারেই পায় না। ফলে তারা মাঠে ঘাটে দাপিয়ে ফুটবল হাডুডু কানামাছি কত খেলা খেলতে পারে।তারাই পায় কৈশরের সত্যিকারের আনন্দ। আমাদের প্রিয় আজাদ কাশ্মীর জামান ভাইয়ের তোলা ছবিটা সে কথাই বলছে। আসুন আমরা আমাদের শিশু কিশোরদের জন্য এমন একটা পরিবেশ তৈরিতে মনোযোগী হই যেন ওদের দুরন্ত কৈশরটা বন্দী হয়ে না থাকে।
–ছোটদেরবন্ধু
Comments are closed.