প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনীর নামে আমরা আমাদের কিশোর কিশোরীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছি নানাবিধ যন্ত্রনা।সেই যন্ত্রনার চূড়ান্তধাপ এই পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা।এটিতে কিশোর কিশোরীদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ছে তা আমরা কেউ কখনো অনুধাবন করতে পারছিনা কিংবা করতে চাইছি না।সব থেকে দুঃখের বিষয় হলো আমরা ফলাফল প্রকাশের পর কোন কিশোর কিশোরীর ফলাফল আশানুরুপ না হলে তাকে অনেক সময় বেশি কথা শোনাই যা তাকে খুব ব্যথিত করে।আমরা চাই ফলাফল যাই হোক বড়রা তাদের পাশে থাকুক এবং ভবিষ্যতে যেন আরো ভালো করতে পারে সে জন্য উৎসাহীত করুক।
অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ীর ফল।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গণভবনে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। আর পিইসিতে গড় পাসের হার ৯৭.৫৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। ইবতেদায়ীতে এ বছর পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ২৬৪ শিক্ষার্থী।
জেএসসি ও জেডিসিতে সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৩৮২ জন। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। আর ১ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় ১৫ নভেম্বর।