বাবার হাত ধরে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে মার্কিন মুলুকে ঢুকেছিল গুয়েতেমালা থেকে আসা শিশুটি। আর সেখানে ধরা পড়েছিল মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) অফিসারদের হাতে। আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টার মধ্যে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয় সাত বছরের বালকটি। এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়া শিশুটিকে নিয়ে এল পাসোর প্রাদেশিক হাসপাতালে রওনা দেয় মার্কিন হেলিকপ্টার, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তার। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গেল ৬ ডিসেম্বরের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন। প্রশ্ন উঠছে মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারগুলির পরিবেশ নিয়েও। এ অবস্থায় দুঃখপ্রকাশ করেছে মার্কিন সীমান্তরক্ষী সংস্থা। বাচ্চাটির ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গেল কয়েকমাস ধরে মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে হাজারো শরণার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য মেক্সিকো সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন। তাঁদের রুখতে কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। হুঙ্কার দিয়েছেন, বিক্ষোভকারী শরণার্থীরা পাথর ছুড়লে সেনারা গুলি ছুড়বে। এক দিন আগেই এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেয়াল তোলা দরকার। আর যে কোনও মূল্যে সেই দেয়াল তোলার খরচ জোগাড় করবেন তিনি। এইসব হুমকির মধ্যে শরণার্থী শিশুর মৃত্যু নিয়ে এখন অস্বস্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প। এ ঘটনা ফলাও করে প্রচার করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো।
বর্ডার রাইটস সেন্টারের অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার বলেন, মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী দায় এড়াতে চাইছে। শিশুটির মৃত্যুতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
ইত্তেফাক/টিএস