ছোটদেরবন্ধু সুন্দর একটি আগামীর স্বপ্ন দেখে।ইচ্ছাই শক্তি,সেই শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সুন্দর আগামী গড়তে চাই।সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে চাই সকলের অংশগ্রহণ।তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বর্ণকিশোরীরা এবং সেই সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে সুর্যকিশোরেরা।আজ আমরা স্বর্ণকিশোরী ইরার গল্প শুনবো। সে তানোর উপজেলায় এমন সুন্দর সব আয়োজন করে চলেছে যা আমাদের সুন্দর আগামীর স্বপ্ন সত্যি করতে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করি।আমরা জানি সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক অসংগতি অনেক অনাচার এবং অনেক কিছু যা হওয়া মোটেই উচিত নয়।সমাজের ব্যধী বলে যে সব বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে তারমধ্যে বাল্য বিবাহ অন্যতম।আমাদের স্বর্ণকিশোরী ইরা সেই গুরুত্বপুর্ন বিষয়টি নিয়ে কাজ করে চলেছে। আমরা সম্প্রতিকালে দেখেছি
তানোর উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল থেকে একজন করে স্বর্ণকিশোরী ও একজন করে সুর্যকিশোর নিয়ে ইরা ও তার দল “ইচ্ছাই শক্তি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয়েছিল তানোর উপজেলার অডিটোরিয়ামে। প্রধান অতিতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার মাননীয় এম পি আলহাজ্জ ওমর ফারুক চৌধুরী।সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শওকত আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিল স্বর্ণ কিশোরী প্রিফেক্ট আতিয়া সানজিদা ঐশী।ঐশী একাধারে বাল্যবিবাহ,যৌতুক এবং কিশোরী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে সারা দেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এই আয়োজনে বিশেষ বক্তা হিসেবে গুরুত্বপুর্ন কিছু কথা বলেছে গোদাগাড়ী উপজেলার স্বর্ণকিশোরী ইফাত আরা ইরা।
স্বর্ণকিশোরী তাজরিনের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পারি তাদের বিশেষ করে তার পরিকল্পনার কথা। সে আমাদের জানিয়েছে প্রত্যেক স্কুল থেকে কিশোর কিশোরীদের আনার পরিকল্পনা ছিল ওদের।সেই সাথে যোগ হয়েছিলো কাজী ও পুরোহিত। আমরা যখন জানতে চাইলাম এই আয়োজনের সাথে কাজী বা পুরোহিতের সম্পর্ক কি তখন তাজরিন বিস্তারিত জানিয়েছিল। মূলত উপজেলা নির্বাহজী অফিসার এর পরামর্শ ক্রমে তাজরিন এবং তার দল এই আয়োজন সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে । তবে তাজরিন মনে করে প্রোগ্রামটি সফল হয়েছে আরও যাদের কারণে তাদের মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলেন মাননীয় এমপি মহোদয়।সবদিক দিয়ে তিনিই সাহায্য করেছেন।ইচ্ছাই শক্তি প্রতিপাদ্যটি কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তাজরিন জানায় এটিকে প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে কারণ ইচ্ছা দিয়েই আমরা সব কিছু করতে পারি। এই আয়োজনে সবার প্রতিজ্ঞা ছিল কিশোর কিশোরী বাল্য বিয়ে না করার আর কাজী পুরোহিত প্রতিজ্ঞা করেছিল বাল্য বিয়ে না দেওয়ার।ওর সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম কেন এই আয়োজনে কাজী বা পুরোহিতের থাকাটা জরুরী ছিল।আমরা জানি বিয়ের সময় ধর্ম অনুযায়ী কাজী বা পুরোহিত থাকতে হয়।তারাই যদি সচেতন থাকে তাহলে বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়াটা আরো সহজ হবে।
শুধু নিজে সচেতন থাকার নামই জীবন নয় বরং অন্যের মাঝে সেই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারলেই সাফল্য।তবেই এই দেশটা আরো সুন্দর হবে।আমরা যে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি সেটি বাস্তবে রূপ দিতে হলে তাজরিনদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে যারা ছোটদের নিয়ে কাজ করছে,বাল্যবিবাহ রোধ,যৌতুক রোধ নিয়ে কাজ করছে আমরা চাই তাদের সেই সব কাজের কথা সবার মাঝে প্রচার করতে।কিশোর কিশোরীদের মধ্যে যারা ভালো কিছু করছে মেধার পরিচয় দিচ্ছে তাদের নিয়েও লিখতে পারেন। যে কেউ তার সুন্দর লেখাটি ছবি সহ আমাদের ইমেইল করুন [email protected] এ। আমার সেটা যত্নসহকারে প্রকাশ করবো।ছোটদেরবন্ধুর পাশেই থাকুন।
Comments are closed.