একটি চকলেট পেলেই যেখানে ছোটরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজ হাতে যদি গোল্ডেন বুট আর এক লাখ টাকার চেক ধরিয়ে দেয় তাহলে কেমন আনন্দ হওয়ার কথা কেউ কি কল্পনা করতে পারো? এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছে তাহমিনা নামের এক ছোট্ট বন্ধু যার পায়ের যাদুতে মুগ্ধ ছিল অনেক মানুষ।ঠিকই ধরেছ তাহমিনা ফুটবল খেলে। ইউরোপ আমেরিকা হলে হুট করে ওকে হয়তো লেডি মেসি বলেও উপাধী দিয়ে দিতে দেরি হতো না। তাহমিনা খাতুনের কতই বা বয়স—নয় কি দশ! বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে পারার আনন্দের ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে পাওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠল মেয়েটি। এরপর স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ‘গোল্ডেন বুট ট্রফি’ গ্রহণের সময় ওকে আর পায় কে! কত গুলো গোল করেছিল ও জানো? একাই ৭ গোল করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
তাহমিনার দুর্দান্ত নৈপুণ্যেই ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে ময়মনসিংহের জেলার নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়েছে তারা। দলীয় শিরোপার সঙ্গে ব্যক্তিগত ট্রফি, পৃথিবীর সব আনন্দই তো তখন তাহমিনার। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাঁকে বলেছেন, ‘তুমি অনেক বড় হবে।’ মাঠে সুন্দর গোল করার মতোই সুন্দর করে কথাগুলো সাজিয়ে বলল তাহমিনা, ‘সেরা গোলদাতা হয়েছি। আমাদের দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার দুটি স্বপ্নই পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ারও সৌভাগ্য হলো। তিনি আমাকে বলেছেন, তুমি অনেক বড় হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এই উচ্চারণকে আমরা ছোটদেরবন্ধুর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই কেননা আমরা বিশ্বাস করি ছোটদেরকে এভাবে অনুপ্রেরণাদায়ী কথা বললে তারা মনে সাহস পায় এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
তাহমিনা কত বড় হবে, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপে যা করে দেখিয়েছে, তা–ই বা কম কি। তাহমিনার কোচ রবিউল ইসলামের দাবি অনুযায়ী থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় ধরলে সব মিলিয়ে তাহমিনার মোট গোল ৫০, ভাবা যায়!
বঙ্গমাতায় দোহারোর চ্যাম্পিয়নের দিনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পূর্ব উজানটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। তিন গোল করে ছেলেদের ফুটবলে সেরা গোলদাতা হয়েছে পূর্ব উজানটিয়ার রিফাত মিয়া।