লেখকঃ খান মুহাম্মদ মুস্তফা
আজ একটি ভিন্ন রকমের গল্প আপনাদের কাছে তুলে ধরব।
৯টি পরিবারের ২১ জন ছেলে-মেয়ে গল্প….
একটি ভালবাসার গল্প….
একটি ভাল লাগার গল্প……
এক দল শিশুর গল্প….
আপনারা জানেন WFHGC গ্রুপ হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করানোর দায়িত্ব নেওয়ার একটা বিশাল প্রজেক্ট করছে…..
ইতিমধ্যে কাজ চলছে……
আমরা ঠিক জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে দিয়েছি…
আমাদের যতটুকু সম্ভব হয়েছে আমরা ততটুকু চেষ্টা করেছি এবং সার্থক হয়েছি…..।
ভার্তি করিয়েছি অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের।
দায়িত্ব নিয়েছি তাদের……
জানি না কত বছর পারবো তবে কথা দিয়ে আসছি যে যে স্কুলে আছে সে স্কুলের পড়ালেখা শেষ করা পর্যন্ত আমরা তাদের সকল প্রকার শিক্ষা খরচ আমরা আমাদের গ্রুপ WFHGC পক্ষ থেকে বহন করব।সেটা বলে তাদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি।
আজ থেকে ১মাস আগে আমরা WFHGC টিম গিয়ে গ্রামে গ্রামে খোঁজ করে একটা লিষ্ট করেছিলাম।কিন্তু যখন ওদের আজ খাতা,কলম,পেনসিল এবং যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী দিতে গেলাম….তখন অনেকই আমাদের কাছে আসে যারা পূর্বে বাদ পড়ে….
আর তাদের অনেকের বাবা মৃত।এদের পড়ালেখা করতে মন চা্য়না কিন্তু তাদের কোন অভিভাবক নাই।তাই আমরা বলে আসলাম তোমরা পড়বে এবং আমরাই তোমাদের অভিভাবক। জানিনা কিছু ভুল বলেছি কি না…?
এবার আসি আজ যাদের শিক্ষ্যা সামগ্রী দিয়ে আসলাম তাদের গল্পে…..
প্রতিটি পরিবারে গেলাম….
ওদের প্রায় পরিবারের প্রথম কথা ছিল মনে করছিলাম আপনারা আর আসবেন না……..।এই রকম অনেকেই আশা দিয়ে গেছিল…..এবং নাম ও লিখে নিয়ে গেছিলেন।কিন্তুু পরে তাদের আর দেখা মিলেনি।
যাক আমাদের জবাব দেওয়ার মত কিছুই ছিল না….
তার যখন ওদের হাতে ৫ মাসের শিক্ষ্যা সামগ্রী তুলে দিলাম….
ওদের হাঁসিটি বলে প্রকাশ করা যাবে না……
তখনই আমরা বুঝে গেলাম….আমাদের সার্থকতা।
আর ওদের মধ্যেই অনেকেই আমরা গাইড বই দেওয়া কথা ছিল….
কিন্তুু আমরা কথা দিয়ে আসছি কয়েকদিনের মধ্যে আমরা নিয়ে যাব।জানি না পারব কি না….তবে আপনাদের পাশে পেলে হয়তো অসম্ভব কিছুই না।
একটি মহিলা কান্না করে দিচ্ছিল কারণ আমরা ওনার ছেলেকে শিক্ষ্যা সামগ্রী না দিয়ে চলে যাচ্ছিলাম।পরে ওনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওনার স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে।নিজে কোন রকম পরিবার চালান।তারপরে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন।তিন বছর অনেক কষ্টে ছেলের খরচ যোগার করেছেন।কিন্তুু এখন ওনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না তাই ওনি ছেলেকে কোন কারখানায় দেওয়ার ব্যবস্থা করতেছেন।
তাই ছেলে এখন আর স্কুলে যাই না।আমরা ওনাকে কথা দিয়ে আসছি আপনার ছেলেকে এখন স্কুলে পাঠান।আজ থেকে ওর দায়িত্ব আমাদের।
এই রকম অনেক শুশি আছে যারা আজ শিশুশ্রমে লিপ্ত।
আমরা পারি না ওদের পাশে দাড়াঁতে…..?
ওদের ভালবেসে বুকে টেনে নিতে….?
আসুন আমাদের সাথে ওদের জন্য কিছু করার চেষ্ঠা করি।
ওদের হতে তুলে দিই বই,খাতা,কলম,পেনসিল।
বিশেষ করে ধন্যবাদ দিব শ্রদ্ধেয় চাচু ও WFHGC পরিবারের একজন সিনিয়র সদস্য জনাব মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন‘কে।
আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন।
ধন্যবাদ WFHGC পরিবারের সবাইকে।
ভালবাসি এই পরিবারের সবাইকে।♥♥
ভালবাসার অন্য নাম WFHGC ♥♥♥
পড়বে ওরা,গড়বে দেশ♥♥