কিছুদিন আগে পরিবার সহ বিলগেটসের দেশ নিউইয়র্কে পাড়ি দিয়েছে ছোট্ট শান।নিউইয়র্ক যাবো আর ফাষ্টফুড খাবো না তা তো হবে না।সুতরাং নিজের পছন্দমত ফাষ্টফুড খাওয়া চলছেই।ফাষ্টফুড আইটেমের মধ্যে হট ডগ অনেক পরিচিত খাবারের একটি।আমি শানকে প্রশ্ন করলাম শান তুমি জানো হটডগ প্রথম কোথায় তৈরি হয়েছিল।
শান কিছুক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করলো। ওর ভাবখানা এমন যে ও জানে কিন্তু সময় নিচ্ছে। বুদ্ধিমান ছেলেতো তাই ওরকম করে।একটু চিন্তা করে বললো নাহ হয়তো জানতাম তবে ঠিক এখন মনে পড়ছে না। তুমিই বলো কোথায় প্রথম তৈরি হয়েছিল।
আমি বললাম এই হটডগের জন্ম স্থান হলো কনি আইল্যান্ড।এই আইল্যান্ডে অনেক দোকান রয়েছে যেখানে তুমি গলা অব্দি হটডগ খেতে পারবে, যার এক একটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে।কণি আইল্যান্ড নিউইয়র্ক সিটির প্রতিবেশিনী হিসেবে পরিচিত। এটি একটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ভীষণ জনপ্রিয়। এখানে প্রায় ৫০টিরও বেশি ভিন্নধর্মী রাইড রয়েছে যা সব বয়সীদের আনন্দ দেয়।কণি আইল্যান্ডকে খরগশের দ্বীপও বলা হয়। ইংরেজীতে র্যাবিট আইল্যান্ড বলে।কনি আইল্যান্ড আমেরিকার ব্রুকলিনের দক্ষিণতম অংশে অবস্থিত।
তুমি যদি গুগল ম্যাপস বা জিপিএস ব্যবহার করো তবে ১২০৮ সার্ফ অ্যাভিনিউ ঠিকানাটি ব্যবহার করতে পারো।ম্যানহাটন থেকে ট্রেনে গেলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটেই পৌছে যেতে পারবে। এখানে দারুণ সব পুতুল এবং খেলনার দোকান আছে। এসব কথা শোনার পর শান কি আর চুপ করে বসে থাকে? সে বায়না ঘরলো এবার তাহলে বাক্সপেটরা গোছাও আর চলো যাই কণি আইল্যান্ডে।ওর ইচ্ছাকে তো আর অবহেলা করা যায় না। শেষ পযর্ন্ত সবাই মিলে রওনা হতে হলো কণি আইল্যান্ডে।
মাত্র এক ঘন্টা খুব বেশি সময় নয়। এই সময়ের মধ্যে ম্যানহাটনের গ্লিটজ এবং গ্ল্যামার থেকে ব্রুকলিনের অসাধারণ সৌন্দর্য কনি আইল্যান্ডে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। শানের মতে এটা অসাধারণ একটা জায়গা। এখানে একই সাথে আছে থ্রিলস, সূর্য, সার্ফ এবং বিনোদন যা বিশ্বের অন্যান্য শহর থেকে দূরে বিশ্বকে অনুভব করবে।এই আইল্যান্ডে আছে ভয়ংকর উত্তেজনাপুর্ণ রোলার কোস্টার এবং লুনা পার্ক, বিনোদন পার্ক, নিউ ইয়র্ক অ্যাকোয়ারিয়াম।পাশাপাশি বলতে হবে অবশ্যই সুন্দর আটলান্টিক সৈকত।
যারা আমেরিকাতে ঘুরতে যায় বিশেষ করে নিউইয়র্ক ও এর আশেপাশে তাদের জন্য কনি আইল্যান্ডে ঘুরতে না যাওয়া সত্যিই বোকামীর।কণি আইল্যান্ডে গিয়ে শান আরও কত কি যে করেছে তা বলে বুঝানো যাবে না।