লেখকঃ আল ফাতাহ মামুন
‘দ্য এক্সোরসিস্ট’ চলচ্চিত্রটিকে অনেকেই সর্বকালের সেরা হরর সিনেমা বলে থাকেন। কেউ কেউ আবার ‘কিং অব হরর মুভি’ বলেও মন্তব্য করেছেন। উইলিয়াম ফ্রেডকিন পরিচালিত ‘দ্য এক্সোরসিস্ট’কে তিন কারণে সর্বকালের সেরা হরর মুভি বলে মানতে হবে। প্রথমত, ছবিটি এতই ভয়ের যে, শো চলাকালে হলের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হতো, ভয় বা আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়া দর্শকদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত ভয়ংকর ছবি হওয়ায় এক বছরের মাথায় এর সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশ্য ছবিটি এখন সবার জন্যই উম্মুক্ত। তৃতীয়ত, এটিই প্রথম অস্কারপ্রাপ্ত ভৌতিক ছবি।
১৯৭৩ সালে নির্মিত ‘দ্য এক্সোরসিস্টের’ কাহিনি এগিয়েছে কিশোরী রিগানকে কেন্দ্র করে। বয়ঃসন্ধির সময় হঠাত্ সে নিজের ভেতর অদ্ভুতুড়ে কিছু অনুভব করতে থাকে। ক্রমেই অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে থাকলে সে ফাদারের শরণাপন্ন হয়। ফাদার বুঝতে পারেন, এটা কোনো শারীরীক বা মানসিক সমস্যা নয়। এটা সেই শয়তান, যে প্রায়ই ফাদারকে বিরক্ত করত তার মৃত মায়ের রূপ ধরে। এই শয়তানই ভর করেছে কিশোরী রিগানের উপর। চলতে থাকে ফাদার ও শয়তানের লড়াই। ‘দ্য এক্সোরসিস্ট’ মূলত বিখ্যাত লেখক পিটার ব্লেটির উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র। আনন্দের কথা হলো, উপন্যাসটির বাংলা অনুবাদ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। তো আর দেরি কেন? আজই দেখে ফেল, পড়ে ফেল ‘দ্য এক্সোরসিস্ট’।
তোমাদের বয়সী কিশোর অস্কারকে নিয়ে এগিয়েছে আরেকটি ভয়ংকর সিনেমা ‘লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন’-এর গল্প। অস্কারের বান্ধবী এলি। দুজনের বয়সই ১২ বছর। পাথর্ক্য হলো, একজনের বয়স শুধু ১২, আরেক জনের ২১২। এলি আসলে একজন প্রাচীন ভ্যাম্পায়ার। মাত্র ১২ বছরেই থেমে যায় তার বয়সের ঘড়ি। তাই দু’শ বছর পরও তাকে বারো বছরের কিশোরীই মনে হয় অস্কারের কাছে। প্রথমে অস্কার জানতে পারেনি, তার বন্ধু এলি যে কত দুর্ধর্ষ ভ্যাম্পায়ার। একদিন সে দেখে ফেলে এলির রক্ত-জোগানদাতাকে। বুঝতে পারে এলি কত ভয়ানক। কিন্তু এতদিনে অস্কার-এলির বন্ধুত্ব গড়িয়ে যায় অনেক দূর। এলির সম্পর্কে এমন ভয়াবহ তথ্য জেনেও বন্ধুত্ব ভাঙার কথা কল্পনাই করতে পারেনি অস্কার। উল্টো এলিকে নানাভাবে সাহায্য করতে থাকে সে। এলির উপর নেমে আসে বিপদের ঝড়, পাশে থাকে বন্ধু অস্কার, এগিয়ে যায় গল্প। ছবিটিতে এমনসব ভয়ংকর দৃশ্য রয়েছে, যা দেখলে তুমি ভয়ে কুঁকড়ে যেতে বাধ্য। তাই ভয় পেতে চাইলে, দেখে ফেল ‘লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন’। ও হ্যাঁ! আরেকটি কথা বলতে ভুলেই গের্িছ। এটিও কিন্তু একটি উপন্যাসের আলোকেই নির্মিত সিনেমা। এ নামেই উপন্যাসটি লিখেছেন সুইডিশ লেখক জন আজভিদে লিন্ডকভিস্টিন।
Comments are closed.