লেখকঃ ইমতিয়াজ আহমেদ মাশুক
আমি যখন ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়ে সব দামী সাবজেক্ট ছেড়ে দিয়ে তথাকথিত “সাধারণ” সাবজেক্ট কৃষি তে ভর্তি হই, অনেকে চোখ মুখ কুচকিয়ে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে, “কি ছেলে রে বাবা! মাইক্রো- বায়োলজি ছেড়ে দিয়ে কৃষি তে ভর্তি হয়েছে। বাবা – কোনোদিন জমিতে – ক্ষেতে নামেও নাই আর এই ছেলে হতে যাচ্ছে চাষা!”

.
কোনো রিপ্লাই দেই নি। দেয়ার প্রয়োজন হয় নি। উত্তর টা কিছুদিন পর তারা জেনে যাবে ইন শা আল্লাহ।
.
অনেকেই ভাবে, কৃষি বিষয় টা বুঝি ক্লাস সেভেন এইটে পড়া সাধারণ কৃষিই! ভুল ধারণা ভাঙানো অতীব জরুরী। কেননা, কৃষি তে পড়ার জন্য সায়েন্সে পড়া আবশ্যক। আর হাঁস-মুরগি-কবুতর পালন করা কেই কৃষি বলে , এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসো! কৃষি তে ধানের ফলন নিয়ে গবেষণা করতে হয়, মাটির গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করতে হয়, গাছের রোগ নিয়ে ভাবতে হয়, অণুজীববিজ্ঞান, ভ্রূণ কালচার, প্রাণরসায়ন নিয়েও থিসিস করার অসংখ্য পথ আছে।
.
মনে রাখবা, কৃষি কোনো সাবজেক্ট না। একটি অনুষদ এটি। এর ভেতরে এমন কিছু সাবজেক্ট আছে, যেগুলোর প্রতিটিই তোমার সমান গুরত্ব দিয়ে পড়তে হবে। অর্থাৎ, একের ভেতর অনেক সাবজেক্ট পড়তে হবে। যেগুলো পড়তে হলে নিজেকে একেক সময় ডাক্তার, মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, ইকোনোমিস্ট, সোশ্যালিস্ট মনে হবে!

.
নিশ্চয়ই, আগ্রহ জাগছে, কি কি এমন সাবজেক্ট আছে! আচ্ছা জানাই-
১) এগ্রোনোমি
২) সয়েল সায়েন্স
৩) ফার্ম মেকানিক্স
৪) ইকোনোমিক্স
৫) স্ট্যাটিস্টিক্স
৬)ল্যাঙ্গুয়েজ
৭)কেমিস্ট্রি
৮) এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি
৯) রুরাল সোশ্যালজি
১০) জেনেটিক্স এণ্ড প্লান্ট ব্রিডিং
১১) হর্টিকালচার
১২) ক্রপ বোটানি
১৩) বায়োকেমিস্ট্রি এণ্ড মলিকুলার বায়োলজি
১৪) এনটোমলজি
১৫) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স
১৬) কম্পিউটার সায়েন্স
১৭) এগ্রোফরেস্ট্রি
১৮) বায়োটেকনোলজি
১৯)এনিম্যাল সায়েন্স
২০) প্ল্যাণ্ট প্যাথলজি
২১) এগ্রিকালচার এক্সটেনশন
.

এখন বল, যেখানে পড়ে এত এত ইন্টারেস্টিং বিষয় পড়ার সৌভাগ্য হবে, সেটি তে পড়ব না-ই বা কেন! উপরের তালিকা খেয়াল কর, ডাক্তারি পড়াশুনা (বায়োকেমিস্ট্রি, প্ল্যাণ্ট প্যাথলজি, এনিম্যাল সায়েন্স), ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা (ফার্ম মেকানিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স) সবই পাবে এখানে! আছে পতঙ্গবিদ্যা, উদ্যানবিদ্যার মত ইউনিক কিছু বিষয়ও! কি, কৃষিবিদ হতে চাও না?
.
বায়োলজি, কেমিস্ট্রি ভাল লাগে, এমন শিক্ষার্থী রা সুস্বাগতম কৃষি অনুষদে।
.
সবাই এখন যে কথা টি বেশি জানতে চায়, তা হল, জব ফ্যাসিলিটি কেমন?
আমি নিজে এজ ওয়েল এজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্বাস করি, মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দের থেকে ও কৃষির চাকরীর সুযোগ ভাল! কৃষিবিদ রা প্রথম শ্রেণির অফিসার (ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের মতই)।কৃষির জন্য বিসিএস পরীক্ষায় আলাদা কোঠা আছে, যে কেউ চাইলেই খুব সহজে উপজেলা কৃষি অফিসার হয়ে যেতে পারে। সত্যি বলতে, এটি সর্বাপেক্ষা সাধারণ চাকুরি!!! যারা কৃষি তে পড়ে, তারা ইজিলি বিসিএস উৎরায়, এটি প্রমাণিত সত্য, বিগত বছর গুলোর রেজাল্ট তাই ই বলে, এছাড়াও প্রতি বছর পাস করা ৭% শিক্ষার্থী শিক্ষক হয়ে জয়েন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের শিক্ষক হবার খুব ইচ্ছা অথচ ৭% এ আসতে পারে নাই, তারা বাইরের দেশের এডজাংড প্রফেসর হয়ে আসছে এমন অনেক নজির আছে। এছাড়া হতে পারে বিজ্ঞানী। বারি (Bangladesh Agriculture Research Institute), বিনা ( Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture) , বিরি ( Bangladesh Rice Research Institute) সহ অজস্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট রয়েছে দেশেই, এবং স্রষ্টার ইচ্ছায় তাদের অনবদ্য কর্মকুশলতায়, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ তো আছেই।
.
ব্যাংকিং সেক্টর, সেখানেও কৃষির শিক্ষার্থী প্রচুর।
.

মিল্ক ভিটা, স্কয়ার প্রভৃতিতে জব পাওয়া যায়, সাফারি পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন এসবে কিউরেটর হয় কৃষিবিদ রা। সত্যি বলতে কৃষির এত এত জায়গা আছে যে, বলে শেষ করা যাবে না। হাতের কাছে কৃষি গাইড থাকলে উল্টিয়ে দেখ, কত কত সেক্টরে জব পাবে কৃষির স্টুডেন্ট রা!
.
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি আছে। তবে সবচেয়ে ভাল হয় কৃষি ভার্সিটি গুলোতে চান্স পেলে। প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই এক নম্বর সাবজেক্ট কৃষি।
.
সবার প্রতি তথাকথিত ‘চাষা’র বিষয় পড়ার আমন্ত্রণ রইল, সমালোচক দের মুখ টা চাকুরী পাবার পরেই নাহয় বন্ধ কোরো!!!!

.
নিশ্চয়ই, আগ্রহ জাগছে, কি কি এমন সাবজেক্ট আছে! আচ্ছা জানাই-
১) এগ্রোনোমি
২) সয়েল সায়েন্স
৩) ফার্ম মেকানিক্স
৪) ইকোনোমিক্স
৫) স্ট্যাটিস্টিক্স
৬)ল্যাঙ্গুয়েজ
৭)কেমিস্ট্রি
৮) এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি
৯) রুরাল সোশ্যালজি
১০) জেনেটিক্স এণ্ড প্লান্ট ব্রিডিং
১১) হর্টিকালচার
১২) ক্রপ বোটানি
১৩) বায়োকেমিস্ট্রি এণ্ড মলিকুলার বায়োলজি
১৪) এনটোমলজি
১৫) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স
১৬) কম্পিউটার সায়েন্স
১৭) এগ্রোফরেস্ট্রি
১৮) বায়োটেকনোলজি
১৯)এনিম্যাল সায়েন্স
২০) প্ল্যাণ্ট প্যাথলজি
২১) এগ্রিকালচার এক্সটেনশন
.
এখন বল, যেখানে পড়ে এত এত ইন্টারেস্টিং বিষয় পড়ার সৌভাগ্য হবে, সেটি তে পড়ব না-ই বা কেন! উপরের তালিকা খেয়াল কর, ডাক্তারি পড়াশুনা (বায়োকেমিস্ট্রি, প্ল্যাণ্ট প্যাথলজি, এনিম্যাল সায়েন্স), ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা (ফার্ম মেকানিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স) সবই পাবে এখানে! আছে পতঙ্গবিদ্যা, উদ্যানবিদ্যার মত ইউনিক কিছু বিষয়ও! কি, কৃষিবিদ হতে চাও না?
.
বায়োলজি, কেমিস্ট্রি ভাল লাগে, এমন শিক্ষার্থী রা সুস্বাগতম কৃষি অনুষদে।
.
সবাই এখন যে কথা টি বেশি জানতে চায়, তা হল, জব ফ্যাসিলিটি কেমন?
আমি নিজে এজ ওয়েল এজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্বাস করি, মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দের থেকে ও কৃষির চাকরীর সুযোগ ভাল! কৃষিবিদ রা প্রথম শ্রেণির অফিসার (ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের মতই)।কৃষির জন্য বিসিএস পরীক্ষায় আলাদা কোঠা আছে, যে কেউ চাইলেই খুব সহজে উপজেলা কৃষি অফিসার হয়ে যেতে পারে। সত্যি বলতে, এটি সর্বাপেক্ষা সাধারণ চাকুরি!!! যারা কৃষি তে পড়ে, তারা ইজিলি বিসিএস উৎরায়, এটি প্রমাণিত সত্য, বিগত বছর গুলোর রেজাল্ট তাই ই বলে, এছাড়াও প্রতি বছর পাস করা ৭% শিক্ষার্থী শিক্ষক হয়ে জয়েন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের শিক্ষক হবার খুব ইচ্ছা অথচ ৭% এ আসতে পারে নাই, তারা বাইরের দেশের এডজাংড প্রফেসর হয়ে আসছে এমন অনেক নজির আছে। এছাড়া হতে পারে বিজ্ঞানী। বারি (Bangladesh Agriculture Research Institute), বিনা ( Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture) , বিরি ( Bangladesh Rice Research Institute) সহ অজস্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট রয়েছে দেশেই, এবং স্রষ্টার ইচ্ছায় তাদের অনবদ্য কর্মকুশলতায়, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ তো আছেই।
.
ব্যাংকিং সেক্টর, সেখানেও কৃষির শিক্ষার্থী প্রচুর।
.
মিল্ক ভিটা, স্কয়ার প্রভৃতিতে জব পাওয়া যায়, সাফারি পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন এসবে কিউরেটর হয় কৃষিবিদ রা। সত্যি বলতে কৃষির এত এত জায়গা আছে যে, বলে শেষ করা যাবে না। হাতের কাছে কৃষি গাইড থাকলে উল্টিয়ে দেখ, কত কত সেক্টরে জব পাবে কৃষির স্টুডেন্ট রা!
.
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি আছে। তবে সবচেয়ে ভাল হয় কৃষি ভার্সিটি গুলোতে চান্স পেলে। প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই এক নম্বর সাবজেক্ট কৃষি।
.
সবার প্রতি তথাকথিত ‘চাষা’র বিষয় পড়ার আমন্ত্রণ রইল, সমালোচক দের মুখ টা চাকুরী পাবার পরেই নাহয় বন্ধ কোরো!!!!
অভিনন্দন আমার ফেকাল্টিতে
লেখকঃ ইমতিয়াজ আহমেদ মাশুক
শের ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
Comments are closed.